v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-07-16 16:57:10    
ইয়োংবিয়োংয়ের পারমাণবিক স্থাপনার বন্ধ হচ্ছে ছ'পক্ষীয় বৈঠকের অভিন্ন বিবৃতি বাস্তাবয়নের সুষ্ঠু সূচনা(ছবি)

cri

    উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ১৫ জুলাই স্বীকার করেছেন, উত্তর কোরিয়া ১৪ জুলাই ইয়োংবিয়োংয়ের পারমাণবিক স্থাপনা বন্ধ করেছে। আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার কর্মকর্তারা এর তত্ত্বাবধান করেছেন। উত্তর কোরিয়া নিজের প্রতিশ্রুতি পালন করেছে এবং ১৩ ফেব্রুয়ারী অভিন্ন দলিল কার্যকর করার ক্ষেত্রে নিজের সদিচ্ছা প্রকাশ করেছে। জনমত মনে করে, উত্তর কোরিয়ার এবারে ইয়োংবিয়োংয়ের পারমাণবিক স্থাপনা বন্ধ করা হচ্ছে ২০০৩ সালের আগস্ট মাসে অনুষ্ঠিত কোরিয় উপদ্বীপের পারমাণবিক সমস্যা সংক্রান্ত ছ'পক্ষীয় বৈঠকের পর অর্জিত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। এটা হচ্ছে বিভিন্ন পক্ষের ছ'পক্ষীয় বৈঠকে স্বাক্ষরিত "১৩ ফেব্রুয়ারী অভিন্ন দলিল" এর উল্লেখকৃত "কার্যক্রমের বিনিময় কার্যক্রম" এর ভিত্তিতে সমন্বয় করে অভিন্ন বিবৃতি বাস্তবায়নের এক সুষ্ঠু সূচনা।

    উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরো বলেছেন, উত্তর কোরিয়াকে ভারী তেল দেয়া "কোন কল্যাণমূলক সাহায্য নয়", এটা হচ্ছে উত্তর কোরিয়াকে তার পারমাণবিক স্থাপনা বন্ধ করার জন্য দেয় ক্ষতিপূরণ। ইয়োংবিয়োংয়ে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার কর্মকর্তাদের তত্পরতাও পরীক্ষা নয়, কেবল তত্ত্বাবধান। জাপান সফররত মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী, কোরিয় উপদ্বীপের পারমাণবিক সমস্যা সংক্রান্ত ছ'পক্ষীয় বৈঠকের মার্কিন প্রতিনিধি দলের নেতা খ্রিস্টোফার হিল ১৫ জুলাই বলেছেন, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার কর্মকর্তারা উত্তর কোরিয়া ইয়োংবিয়োংয়ের পারমাণবিক স্থাপনা সত্যি সত্যি বন্ধ করেছে কিনা তা নিয়ে ১৫ জুলাই সকাল থেকে পরীক্ষা শুরু করেছেন। হিল আরো বলেছেন, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, ইয়োংবিয়োংয়ের পারমাণবিক স্থাপনা সীল মোহর করা ও সংশ্লিষ্ট মনিটর বসানোর কাজ সম্ভবত দু'সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে।

    চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত পঞ্চম দফা ছ'পক্ষীয় বৈঠকের তৃতীয় পর্যায়ের অধিবেশনে গৃহীত "অভিন্ন বিবৃতি বাস্তবায়নের প্রাথমিক কার্যক্রম" দলিল অনুযায়ী, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র পরিত্যাগ করার উদ্দেশ্যে ইয়োংবিয়োংয়ের পারমাণবিক স্থাপনা বন্ধ ও সীল মোহর করা উচিত। এর মধ্যে আরো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম নিষ্ফ্রিয়করণ এবং উত্তর কোরিয়ায় প্রয়োজনীয় তত্ত্বাবধানের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণ জানানো। এর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষ উত্তর কোরিয়াকে ১০ লাখ টন ভারী তেলের সমমানের অর্থনীতি, জ্বালানি সম্পদ ও মানবিক সাহায্য দেবে। ৫০ হাজার টন ভারী তেলের সমান জরুরী জ্বালানি সম্পদ সাহায্য প্রথম চালান দক্ষিণ কোরিয়া দেবে।

    ম্যাকাওয়ের ক্যাংকো ডেল্টা এশিয়া ব্যাংকের উত্তর কোরিয়ার অর্থের স্থানান্তরের সমস্যা সমাধানের পর সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া ১৩ ফেব্রুয়ারীর অভিন্ন দলিল কার্যকরের জন্য ধারাবাহিক তত্পরতা নিয়েছে। ৬ জুলাই উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ছ'পক্ষীয় বৈঠকের প্রক্রিয়া দ্রুততর করার জন্য উত্তর কোরিয়া প্রথম চালানোর ভারী তেল পাওয়ার পর ইয়োংবিয়োংয়ের পারমাণবিক স্থাপনা বন্ধ ও সীল মোহর করবে। ফলে দক্ষিণ কোরিয়ার পাঠানো প্রথম চালানকৃত ৬২০০ টন ভারী তেল ১৪ জুলাই উত্তর কোরিয়ায় পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে উত্তর কোরিয়া ইয়োংবিয়োংয়ের পারমাণবিক স্থাপনা বন্ধ ও সীল মোহর করার কথা ঘোষণা করেছে।

    বিশ্লেষকরা উল্লেখ করেছেন, উত্তর কোরিয়া ইয়োংবিয়োংয়ের পারমাণবিক স্থাপনা বন্ধ ও সীল মোহর করার কাজ জটিল নয়। কিন্তু এর মূল বিষয় হচ্ছে পরবর্তী পর্যায়ের কাজ কীভাবে চলবে? এটা হবে এ মাসের ১৮ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য ছ'পক্ষীয় বৈঠকের প্রতিনিধি দলের নেতাদের সম্মেলনের প্রধান আলোচ্য বিষয়।

    গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার মহাপরিচালক মোহমেদ আল-বারাদেই দক্ষিণ কোরিয়ায় সফরকালে বলেছেন, এখন হচ্ছে কোরিয় উপদ্বীপের পারমাণবিক সমস্যা সমাধানের গুরুত্বপূর্ণ সময়। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র পরিত্যাগের প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল ও কঠিন। এ সমস্যা স্বল্প সময়ের মধ্যে সমাধান করা খুব কঠিন। তিনি আশা করেন, বিভিন্ন পক্ষ এর জন্য সহিষ্ণুতা বজায় রাখবে। জনমত মনে করে, বর্তমান পরিস্থিতিতে ছ'পক্ষীয় বৈঠকে দেখানো ইতিবাচক প্রবণতাকে মূল্য দেয়া ও অবলম্বন করা উচিত। বিভিন্ন পক্ষ নিজের প্রতিশ্রতি অনুসরণ করে ছ'পক্ষীয় বৈঠকের প্রক্রিয়া অব্যাহতভাবে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত।