v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-07-16 16:33:54    
৯ জুলাই- ১৫ জুলাই,২০০৭

cri
১) আর মাত্র সাড়ে ৬ মাস পর আগামী বছরের প্রথম থেকেই বাংলাদেশে শুরু হচ্ছে বছরব্যাপী একের পর এক নির্বাচন। ২০০৮-এর জানুয়ারি থেকেই শুরু হয়ে জাবে সিটি করপোরেশন আর পৌরসভা নির্বাচন। এরপর একে একে একে ইউনিয়ন পরিষদ আর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওপজেলা নির্বাচন হতে পারে অক্টাবর থেকে ডিসেন্বরের মধ্যে। জরুরি অবস্হার মধ্যেই এসব নির্বাচন হতে পারে। তবে যেখানে বা যে এলাকায় নির্বাচনের ব্যবস্থা নেয়া হবে,সেখানে জরুরি অবস্থা শিথিল করা হতে পারে। সব শেষে ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুসষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বছর। এসব নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে অক্টোবর- নভেম্বরের মধ্যে। জাতীয় সংসদের নির্বাচনের সময় জরুরি অবস্থা থাকবে না বলেই আশা করছে নির্বাচন কমিশন। এসব নির্বাচন শুরু ও শেষ হওয়ার আগেও রয়েছে অনেক কাজ। নির্বাচন কমিশনের পরিকল্পনা এ বছরই সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৩ মাস তারা রাজনৈতিক দলগুলোর প্রস্তাব মেনে নেয়া,তা নয়। আলোচনায় মতৈক্য হোক বা না হোক নির্বাচন কমিশন যেটা সঙ্গত মনে করবে নেটাই করবে। আর আলোচনায় বসতে হণেও রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের সংস্কার প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করে তার ফলাফল তমিশনকে জানাতে হবে। এছাড়া নির্বাচনে অংশ নিতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোকে অবশ্যই রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। এর জন্য শেষ সময় থাকবে আগামী বছরের জুন মাস। ২০০৮-এর জুনের মধ্যেই জাতিয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণের কাজ সম্পন্ন করতে চায় নির্বাচন কমিশন।

২) ভারত-মার্কিন বেসামরিক পরমাণু চুক্তি নিয়ে ওয়াশিংটনে সোমবার দু'দেশ বৈঠকে বসেছে। একদিকে প্রবল মার্কিন চাপ, অন্যদিকে ততধিক প্রবল ঘরোধিতা। সার্বিকভাবেভারত-মার্কিন এই চুক্তির ভবিষ্যত্ ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে। যুক্তরাষ্টের পক্ষে বৈঠকে অংশ নেবেন মার্কিন নিরাপত্তা মন্ত্রী ষ্টিফেন হ্যাভলাই ও সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বার্নস। অপরদিকর ভারতের পক্ষে বৈঠকে অংশ নেবেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এমকে নারায়ণন ও পররাষ্ট্র সচিব শিবশঙ্কর মেনন। দু'বছর আগে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ পরমাণু সমঝোতার কথা ঘোষণা করেন। তার পর দফায় দফায় বৈঠক করেও জট ছাড়াতে পারেনি দু'পক্ষ। শেষ পর্যন্ত দুটি বিষয়ে এসে চুক্তিটি আটকে রয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রের খবর, প্রবল প্রয়াস সত্ত্বেও পরমাণু জ্বালানি সরবরাহ সংক্রান্ত নয়াদিল্লির দুটি মূল দাবি কোনোভাবেইমানছে না মার্কিন প্রশাসন। মানার কোনো আশু সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। অথচ ক্রমশ ঘনিয়ে আসছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিনক্ষণ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়র এক শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তার বক্তব্য, 'পরমাণু জ্বালানি সহজে পাওয়ার জন্যই এই সমঝোতা করা হয়েছিল। কিন্তুতা পাওয়ার পথেই যদি চরম প্রতিবন্ধকতা থাকে, তাহলে প্রক্রিয়া কেমন করে এগুবে ?' তার কথায়, ২০০৫-এর ১৮ জুলাই ভারত মার্কিন যৌথ বিবৃতি এবং ২০০৬-এর ২ মার্চ পরমাণু কেন্দ্র পৃথকীকরণ পরিকল্পনার ভিত্তিতেই নয়াদিল্লি এগুবে, এমনটাই ঠিক ছিল। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা হচ্ছে না। প্রথমত, ভারতকে পরমাণু জ্বালানির পুনর্ব্যবহার প্রযুক্তি দেয়ার কথা থাকলেও আমেরিকা এখন তা থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে। দ্বিতীয়ত, আগে বলা হয়েছিল, চুক্তির পরও আমেরিকা যদি তা খারিজ করতে চায় তাহলে অন্য দেশ থেকে জ্বালানি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। এখন তাতেও আমেরিকা আপত্তি করছে। আমরা বলছি, একবার চুক্তি হয়ে গেলে পরমাণু চুল্লির' লাইফ সাইকেলের' শেষ দিনটি পর্যন্ত তোমাদের জ্বলানি দিয়ে যেতে হবে।

এ ব্যাপরে আমেরিকার সঙ্গে দ্বিমত নেই। কিন্তু কিছু বিষয় স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন।