জাতিসংঘের প্রাসঙ্গিক সংস্থাগুলোর উদ্যোগে চীনের সামাজিক লিঙ্গ গবেষণা ও তহবিল সংস্থা১২ জুলাই পেইচিংয়ে ঘোষণা করেছে , তহবিল সংস্থা চীনের সামাজিক লিঙ্গের সুষমতা ত্বরান্বিত করার ৯টি প্রকল্পকে আর্থিকসাহায্য দেবে । চীনের সামাজিক লিঙ্গ গবেষণা ও তহবিল সংস্থা প্রতিষ্ঠার গত ৩ বছরে চীনের সামাজিক গোষ্ঠী ও সরকারী সংস্থা সহ বেশ কয়েকটি সংস্থারসঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা চালিয়েছে এবং মিলিতভাবে চীনের সামাজিক লিঙ্গের সুষমতা ত্বরান্বিত করেছে ।
সামাজিক লিঙ্গের সুষমতার অর্থ হল , সকল মানুষ , পুরুষ হোক নারী হোক তারা সবাই স্বাধীনভাবে যারযার ব্যক্তিগত ক্ষমতা কাজে লাগাতে পারে এবং স্বাধীনভাবে বাচ্ছাই করতে পারে । এ থেকে একটি সমাজের উন্নয়নের কথা প্রমাণিত হয় । জাতিসংঘ উন্নয়ন পরিকল্পনা পরিষদের এক নতুনতম রিপোর্ট অনুযায়ী গোটা বিশ্বে সামাজিক লিঙ্গ উন্নয়নের ইন্ডেক্সে১৭৭টি দেশের মধ্যে চীনের স্থান ৮১ । এই ইন্ডেক্স থেকে একটি সামাজিক লিঙ্গের সুষমতা প্রমাণিত হয় ।
চিনের সামাজিক লিঙ্গের সুষমতা ত্বরান্বিত করার জন্য জাতিসংঘ সামাজিক লিঙ্গ সম্পর্কিত কর্মগ্রুপের উদ্যোগে২০০৪ সালে চীনের সামাজিক লিঙ্গ গবেষণা ও তহবিল সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় । তহবিল সংস্থাটি জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার অংশগ্রহণ ও সমর্থন পেয়েছে । এ সম্পর্কে পেইচিংয়ে জাতিসংঘের মধ্যস্থতাকারী প্রতিনিধি মাদাম আন্থিয়া ওয়েব বলেছেন , বিগত কয়েক বছরে নারী অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার ব্যাপারে চীন বিরাট অগ্রগতি লাভ করেছে বটে , কিন্তু লিঙ্গের সমতা এখনো চীনা সমাজ উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ স্বরূপ । চীনের সামাজিক লিঙ্গ গবেষণা ও তহবিল সংস্থার দায়িত্ব লিঙ্গেরঅসমতা নিষ্পত্তি করতে সাহায্য করা ।
চীনের সামাজিক লিঙ্গ গবেষণা ও তহবিল সংস্থার কাজ চীনের সরকারী সংস্থা , সামাজিক গোষ্ঠী এবং বিভিন্নসংস্থার আন্তরিক সাড়া পেয়েছে । গত তিন বছরে দুপক্ষ নারীদের অধিকার ও স্বার্থের চেতনা উন্নত,এইডস প্রতিরোধ ও নারীদের স্বাস্থ্যরক্ষা এবং পারিবারিক নির্যাতনের বিরোধিতা করা সহ বহু ক্ষেত্রে কার্যকর সহযোগিতা চালিয়েছে ।
যেমন ২০০৬ সালে চীনের সামাজিক লিঙ্গ গবেষণা ও তহবিল সংস্থা এবং চীনের বেসামরিক মন্ত্রণালয় চিয়াংসু প্রদেশের স্যু চৌ শহরে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার নারীদের জন্য একটি আশ্রয় কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছে । এ সম্পর্কেএই কেন্দ্রের কর্মকর্তা মা লি বলেছেন , স্যুচৌ শহরের আশ্রয় কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ১৯৬ জন মহিলা এবং পারিবারিক নির্যাতনের শিকার ১২৮জন শিশুকে আশ্রয় দিয়েছে । যার ফলে পারিবারিক নির্যাতন থেকে তারা রেহাই পেয়েছে এবং অনেক সম্ভাব্য পারিবারিক দুর্ঘটনা এড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে ।
মিঃ মা লি বলেছেন , পারিবারিক নির্যাতনের শিকারদের জন্য অস্থায়ী আশ্রয় দেয়া পারিবারিক দ্বন্দ্ব প্রশমিত করা এবং গুরুতর মামলা রোধ করার পক্ষে সহায়ক হবে ।
তাছাড়া চিনের সামাজিক লিঙ্গ গবেষণা ও তহবিল সংস্থা পারিবারিক নারী শ্রমিকদের আইনগত সাহায্য দান প্রকল্প চালাতে পেইচিং বিশ্ববিদ্যালয়কে আর্থিক সাহায্য করবে ।
জানা গেছে , চীনের সামাজিক লিঙ্গ গবেষণা ও তহবিল সংস্থা ইতোমধ্যে চীনের সামাজিক গোষ্ঠী ও সরকারী সংস্থার সঙ্গে মিলে ২৫টি প্রকল্প চালিয়েছে । এই সব প্রকল্পে মোট ১৪ লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে । এ সম্পর্কে নিখিল চীনের জাতীয় নারী ফেডারেশনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিভাগের মন্ত্রী চৌ সিয়াওছিয়াও বলেছেন , ---৩--- আমরা আনন্দের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি , বিগত কয়েক বছরে জাতীয় নারী ফেডারেশন ও জাতিসংঘের মধ্যে বিনিময় জোরদার হয়েছে । দুপক্ষের সহযোগিতায় ভাল প্রবনতা দেখা দিয়েছে । আমাদের একই লক্ষ্য , একই পরিসেবা গোষ্ঠীএবং পরস্পরকে পরিপূরক করার প্রাধান্য রয়েছে । তাই আমি বিশ্বাস করি , আমাদের ভবিস্যতের সহযোগিতা আরও চমত্কার হবে ।---চুং শাওলি
|