v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-07-12 17:48:57    
তিব্বতের রাজধানী লাসা(ছবি)

cri

    তিব্বতের রাজধানী লাসার ইতিহাস ১৩০০ বছরেরও বেশি । তা ইয়ালুচাংপু নদীর শাখা লাসা নদীর উত্তর তীরে অবস্থিত । সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা প্রায় ৩৬৫০ মিটার । শহরের লোকসংখ্যা ৩.৭৩ লাখ । কেন্দ্রীয় অঞ্চলের লোকসংখ্যা প্রায় ১.৩ লাখ । তিব্বতী, হান এবং হুই জাতিসহ ৩১টি জাতির লোক এখানে বাস করেন । তাদের মধ্যে তিব্বতী জাতির লোকদের হার ৮৭ শতাংশ ।

     আর লাসার তিব্বতী ভাষার অর্থ হল পূণ্যতীর্থ স্থান। দীর্ঘকাল ধরে লাসা তিব্বতের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ,সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় কেন্দ্র । সোনালী ও মহিমাময় পোতালা প্রাসাদ হচ্ছে রাজনীতি ও ধর্মের পবিত্র সংমিশ্রণের প্রতীক । সপ্তম শতাব্দীতে রাজা সোংস্টেন গাম্বো তিব্বতকে একীকরণ করার পর লাসাকে রাজধানী হিসেবে তার রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন । ১৯৫১ সালের ২৩ মে তিব্বত শান্তিপূর্ণভাবে মুক্তি পায় এবং লাসা শহর নতুন যুগে প্রবেশ করেছে । ১৯৮২ সালে লাসা চীনের ২৪টি সুপরিচিত ইতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক শহরের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয় ।

     বন্ধুরা প্রাচীনকালে লাসার নাম ছিল রোসা । সপ্তম শতাব্দীতে রোসার চারদিকে ছিল সবই ঘাস ও বালু মাটি । থাং রাজবংশের রাজকুমারী ওয়েন ছেং সোংস্টেন গাম্বোকে বিয়ে করার পর তাচাও ও সিয়াওচাও মন্দির নির্মাণ করা হয় । মন্দির নির্মিত হওয়ার পর আরো বেশি সন্ন্যাসী ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী আসার কারণে তাচাও মন্দিরের কাছাকাছি অনেক হোটেল ও বাসভবন নির্মাণ করা হয় । পরে তাচাও মন্দিরকে কেন্দ্র করে লাসার পুরনো শহর সৃষ্টি হয় । এর পাশাপাশি রাজা সোংস্টেন গাম্বো নিজের রাজপ্রাসাদ--পোতালা প্রাসাদ নির্মাণ শুরু করেন । ফলে রোসা জনগণের মনে একটি পূণ্যতীর্থ স্থান এবং তিব্বতের ধর্ম, রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির কেন্দ্রে পরিণত হয় ।

    লাসা হচ্ছে বিশ্বের সর্বোচ্চ শহরের অন্যতম । প্রতি বছর এ শহরে সুর্যের আলো থাকে প্রায় ৩০০০ ঘন্টারও বেশি । তাই এ শহরকে সুর্যালোকশহর বলে ডাকা হয় । প্রতি বছর বৃষ্টির পরিমাণ ২০০ থেকে ৫১০ মিলিমিটার এবং জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বৃষ্টি হয় । সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড । দিনের ও রাতের তাপমাত্রার মধ্যে পার্থক্য বেশি । কিন্তু লাসার নীল আকাশ , পরিচ্ছন্ন নদী ও টাটকা বায়ু পর্যটকদের মনে সুন্দর চাপ ফেলেছে । তা হল চীনের সবচেয়ে পরিস্কার শহর । বায়ুর মধ্যে কোনো দুষণ নেই ।

     পর্যটকরা মনে করেন, লাসা পোতালা প্রাসাদ, বার্খোর রাস্তা,তাচাও মন্দির, সেলা মন্দির , চেপাং মন্দির ও লাসা নদী নিয়ে গঠিত । কিন্তু তিব্বতবাসীরা মনে করেন ,যারা তাচাও মন্দির এবং বার্খোর রাস্তাটিতে গেলেই কেবল তারা সত্যিকারভাবেই লাসায় পৌঁছেছে । বর্তমানে লাসা শহরের পূর্বাঞ্চল প্রাচীনকালের লাসার বৈশিষ্ট্য বজায় রয়েছে ।