v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-07-10 18:38:14    
আই এ ই এ উত্তর কোরিয়ায় পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে

cri

    আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার নির্বাহী পরিষদ ৯ জুলাই ভিয়েনায় এক বিশেষ সম্মেলনের আয়োজন করেছে । সম্মেলনে ৩ জুলাই মহাপরিচালক মোহামেদ আল বারাদেইর দাখিল করা সংশ্লিষ্ট প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে । এ প্রস্তাব অনুযায়ী , আই এ ই এ পর্যবেক্ষকদেরকে উত্তর কোরিয়ায় পাঠাবে , তারা উত্তর কোরিয়ার ইয়ুংবিয়ং পরমাণু ঘাঁটির বন্ধের বিষয়টি তত্ত্ববধান করবে ।

    সম্মেলন শেষে বারাদেই উত্তর কোরিয়ার পরমাণু পরীক্ষা প্রক্রিয়ায় ফিরে আসার জন্য স্বাগতম জানিয়েছেন । তিনি বলেছেন , আই এ ই এ ও উত্তর কোরিয়া ইয়ুংবিয়ংয়ের চারটি পরমাণু ব্যবস্থা বন্ধের বিষয়ে একমত হয়েছে । উত্তর কোরিয়ার পরমাণু ব্যবস্থা বন্ধ প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে । উত্তর কোরিয়ার আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ ছাড়া আই এ ই এ ইয়ুংবিয়ং যেতে পারে না বলে পর্যবেক্ষক দলের উত্তর কোরিয়ায় যাওয়ার সময় ঠিক হয় নি । বারাদেই আশা করেন পর্যবেক্ষক দল এক বা দু'সপ্তাহের মধ্যে উত্তর কোরিয়ায় যেতে পারবে । এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার ইংহাপ সংবাদ সংস্থার খবর থেকে জানা গেছে , ৮ জনের একটি পর্যবেক্ষক দল ১৪ অথবা ১৭ জুলাই উত্তর কোরিয়ায় যাবে ।

    কোরিয় উপদ্বীপের পরমাণু সমস্যা ২০ শতাব্দীর ৯০ দশকের প্রথম দিকে শুরু হয় । যখন যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়াকে পরমানু অস্ত্রের উন্নয়ন করছে বলে অভিযুক্ত করে , তবে উত্তর কোরিয়া দৃঢ়ভাবে বলেছে যে পরমাণু অস্ত্র উন্নয়নের সামর্থ তার নেই । এ থেকে প্রথম কোরিয় উপদ্বীপের পরমাণু সংকটের শুরু । ২০০৩ সালে উত্তর কোরিয়া "পরমাণু অস্ত্র অবিস্তার চুক্তি" থেকে সরে গেছে । কোরিয় উপদ্বীপের পরমাণু সমস্যা আবার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে । চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারী , পঞ্চম দফা ছ'পক্ষীয় বৈঠকে গৃহীত "যৌথ বিবৃতির প্রাথমিক পদক্ষেপ বাস্তাবয়নের" যৌথ দলিল এ সমস্যা সমাধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়েছে । দলিলে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র ত্যাগের চূড়ান্ত লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য ইয়ুংবিয়ংয়ে তার পরমাণু ব্যবস্থা বন্ধ করা এবং আই এ ই এ'র পর্যবেক্ষদের উত্তর কোরিয়ায় যাওয়ার আমন্ত্রণ জানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে । অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো উত্তর কোরিয়াকে অর্থনীতি , জ্বালানী সম্পদ ও মানবিক সাহায্য দেবে ।

    কিছু বিশ্লেষকদের ধারণায় , বর্তমানে কোরিয় উপদ্বীপের পরমাণু সমস্যা ইতিবাচক দিকে এগুচ্ছে । ১৩ ফেব্রুয়ারী যৌথ দলিল স্বাক্ষরের সুযোগে উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়া , যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে চেয়েছে । মে মাসে উত্তর কোরিয়া এ তিনটি দেশের সঙ্গে বৈঠক করে কূটনৈতিক সম্পর্কের স্বাভাবিকায়নের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে । বিশেষ করে উত্তর কোরিয়ার উপ পররাষ্ট্র মন্ত্রী কিম কে গুয়ান ও মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী ক্রিস্টোফার হিলের বৈঠককে দু'দেশের সম্পর্কের অচলাবস্থা ভেঙে দেয়ার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে মনে করা হয় । বারাদেই মনে করেন যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার সরাসরি আলোচনা কোরিয় উপদ্বীপের পরমাণু সমস্যার অগ্রগতি হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ । ২৫ জুন উত্তর কোরিয়া স্পষ্টভাবে বলেছে যে , বিদেশে তার আটককৃত পুঁজি সমস্যার সমাধান হয়েছে বলে উত্তর কোরিয়া ১৩ ফেব্রুয়ারী যৌথ দলিলের বাস্তবায়ন শুরু করেছে । যুক্তরাষ্ট্র সঙ্গে সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে । ৬ জুলাই , উত্তর কোরিয়া ঘোষণা করেছে যে , সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর ভারী তেল দেয়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হলে উত্তর কোরিয়া অবিলম্বে ইয়ুংবিয়ংয়ের পরমাণু ব্যবস্থা বন্ধ করার কথা বিবেচনা করবে । দক্ষিণ কোরিয়া এ দিকে চলতি মাসের ১২ তারিখে উত্তর কোরিয়াকে প্রথম কিস্তির ভারী তেল জ্বালানী দেয়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবে ।

    তবে বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন যে , কোরিয় উপদ্বীপের পরমাণু সমস্যার সমাধান করতে চাইলে আরো বেশি সময় লাগবে এবং বিভিন্ন পক্ষকে আরো বেশি প্রচেষ্টা চালাতে হবে ।