৯ জুলাই জাতিসংঘে চীনের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং অন্য আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত থাং কুও ছিয়াং জোর দিয়ে বলেছেন,চীন আশা করে সংশ্লিষ্ট পক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সার্বিকভাবে ১৩ ফেব্রুয়ারী যৌথ দলিল বাস্তবায়ন করবে এবং ছ'পক্ষীয় বৈঠকের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে ।
আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা পরিষদের কোরিয় উপদ্বীপের পারমাণবিক সমস্যা বিষয়ক বিশেষ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, চীন আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার ছ'পক্ষীয় বৈঠকের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে এবং সম্মেলনে গৃহীত প্রধান পরিচালকের রিপোর্টের সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবকে সমর্থন করে । চীন আশা করে, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা ১৩ ফেব্রুয়ারীর যৌথ দলিল বাস্তবায়নে অবদান রাখবে এবং কোরিয় উপদ্বীপের পারমাণবিক সমস্যায় গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে ।
৯ জুলাই আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা পরিষদ বিশেষ সম্মেলনের আয়োজন করে সংস্থার মহা-পরিচালক মোহামেদ আল বারাদেই উত্থাপিত প্রস্তাব অনুযায়ী পর্যবেক্ষকদের পাঠিয়ে উত্তর কোরিয়ার ইয়োংবিয়োং পারমাণবিক স্থাপনা বন্ধ করার জন্য ত্বত্তাবধানধান ও পরীক্ষার অনুমোদন দিয়েছে । এর ফলে আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংস্থার ত্বত্তাবাধান ও পরীক্ষা কাজের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করেছে ।
৯ জুলাই ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল পত্রিকার এক খবরে জানা গেছে, মার্কিন সরকার উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক স্থাপনা বন্ধ করানোর পাশাপাশি দু'দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে । কিন্তু কয়েক জন মার্কিন কর্মকর্তা উল্লেখ করেছেন যে , উত্তরপূর্ব এশিয়ার নিরাপত্তা বাস্তবায়ন হবে কিনা তা উত্তর কোরিয়ার স্থায়ীভাবে পারমাণবিক অস্ত্র পরিত্যাগের সঙ্গে সম্পর্কিত ।
(ছাও ইয়ান হুয়া)
|