v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-07-10 16:46:45    
বিশ্ববাসীর মৈত্রীর জন্য সি আর আই এর জয়যাত্রা সুদুর প্রসারী হোক

cri
কিনাইদহ জেলার শ্রোতা শ্রীসুকদের কুমার ঘোষ তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, যহিউদ্দিন তাহের ভাই সি আর আই বাংলা বিভাগ থেকে বিদয় নেওয়াতে আমি ভিষণ ভিষণ দু:খ পেলাম। তাহের ভায়ের পরশে সি আর আই তামা থেকে স্বর্ণৈ পরিণত হয়। আমি গত ২৮ বছর সি আর আই এর সঙ্গে আছি। জাহিদুল হক দীর্ঘ ১৬ বছর সি আর আইতে থাকলেন কিন্তু তার কন্ঠে কোন দিন সংবাদ পড়তে শুনলাম না। এমন কি তাঁর কন্ঠটি এক দিনও শুনতে পারি না অথচ তাহের ভাই অল্প সময়ের মধ্যে শ্রোতাদের নিকট মধ্যশিনোমনি হয়ে উঠেন। শ্রোতা মহল সবাই তাহের ভক্ত হয়ে পড়েন। তাহের ভায়ের সি আর আই থেকে বিদায় আমরা কখনও মেনে দিতে পারছি না। আপনারা কেন তাহের ভায়ের বিদায় দিলেন? তাহের ভাইয়ের বিদায়ের জন্য আমরা সি আর আই কতৃর্পক্ষকে দায়ী করছি। তাহের ভাই কি আর কোন দিন সি আর আইতে আসবে না? আমার অনুরোধ সি আর আই বাংলা বিভাগের নিকট মাঝে মধ্যে টেলিফোনে তাহের ভাইয়ের সাক্ষাতকার নিবেন কোথায় কি করছেন জানতে? প্রিয় বন্ধু, আপনার এই চিঠি লেখার জন্য ধন্যবাদ। আমরা জানি আপনি আমাদের বাংলা অনুষ্ঠানের একজন ভক্ত শ্রোতা। দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে আপনি আমাদের বাংলা অনুষ্ঠান শুনে এসেছেন। সত্যিই আমরা খুব মুগ্ধ হয়েছি। তাহের ভাই বাংলা বিভাগে সারে নয় বছর বাংলা ভাষা বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছিলেন। তিনি একজন কমর্ঠ লোক। গত নয় বছরে বাংলা অনুষ্ঠান উন্নত করার জন্যে তিনি যে অবদান রেখেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। শুধু শ্রোতা বন্ধুরা নয় বাংলা বিভাগের সকল কর্মী তার কথা মনে রাখবে। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হবে যে, চীনের বিদেশী বিশেষজ্ঞ ব্যবস্থাপনা ব্যুর্রোর সংশ্লিষ্ট বিধান অনুযায়ী, বিদেশী বিশেষজ্ঞরা ভাষা বিশেষজ্ঞরা যারা চীনের বিভিন্ন তথ্যমাধ্যমে কাজ করেন তাদেরকে কয়েক বছরের পর পর পরিবর্তন করতে হবে। বড় জোর একটানা দশ বছর চীনে থাকতে পারেন। সুতরাং তাঁর কোন ব্যতিক্রমও নেই। আপনি চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, উনি কি আবার চীন আন্তর্জাতিক বেতারে আসতে পারবেন ? আপনার এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া একটু কঠিন। কারণ এটা দ্বিপাক্ষিক ব্যাপার। ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে আমরা তাঁর সাক্ষাত্কার নেবো। আমাদের জানার মতো তাহের এখন ব্যবসা করছেন। কয়েক দিন আগে উনি চীনে এসেছেন ।তাঁর সঙ্গে বাংলা বিভাগের সকল কর্মীর দেখা হয়েছে। চীনের সঙ্গে ব্যবসা করছেন বলে তিনি হয়তো মাঝে মাঝে চীনে আসবেন।

ঝিনাইদহ জেলার শ্রোতা নূরজাহান আক্তার তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, সি আর আই আমার জীবনে প্রবেশ করেছে আমার স্বামীর মাধ্যমে। তার সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর আমি জানতে পালাম আমার থেকে আমার স্বামী সি আর আই এর প্রতি বেশি ভালবাসা দেখান। সারা দিন চিঠি লেখা অনুষ্ঠান শোনা অন্যকে অনুষ্ঠান শুনতে বলা এই নিয়েই সে বেশি ব্যস্ত থাকতো। এর পর তার প্রবল আগ্রহ থেকে আমিও আস্তে আস্তে সি আর আই-এর বাংলা অনুষ্ঠান শুনি। এখন সি আর আই-এর বাংলা অনুষ্ঠান আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয় অনুষ্ঠান। আমি প্রত্যেক দিন আপনাদের অনুষ্ঠান শুনে থাকি। যদি এক দিন অনুষ্ঠান শুনতে না পারি তাহলে আমার মন খুব খারাপ লাগে। প্রিয় বন্ধু, আপনার মতো একজন নতুন শ্রোতা পেয়ে আমরা খুব আনন্দিত। গত দু' বছরের মধ্যে আমাদের বাংলা অনুষ্ঠান অনেক পরির্তিত হয়েছে। বাংলাদেশী বিশেষজ্ঞ আর চীনা কর্মীদের যৌথ উদ্যোগে বতর্মানে বাংলা অনুষ্ঠান আগের চাইতে অনেক উন্নত হয়েছে। আশা করি, আপনি নিয়মিত আমাদের অনুষ্ঠান শুনবেন। কোন মতামত ও পরামর্শ থাকলে আমাদের চিঠি লিখে জানাবেন। কারণ ব্যাপক শ্রোতার সহযোগিতা ছাড়া আমাদের অনুষ্ঠানের উন্নতি পাওয়া অসম্ভব।

সাতক্ষীরা জেলার শ্রোতা মিসেস রমিসা বেগম তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, আমি সি আর আই বাংলা অনুষ্ঠানের একজন নিয়মিত শ্রোতা। ১৯৯৪ সাল থেকে আমি সি আর আই বাংলা অনুষ্ঠান শুনছি এবং বিভিন্ন জ্ঞানযাচাই প্রতিযোগিতায় সযত্নে অংশ নিয়ে আসছি। এ বছরের ৩ ডিসেম্বর সি আর আই এর ৬৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। আর এ উপলক্ষ্যে আমার সি আর আই শ্রোতা জীবনের কথা তুলে ধরার প্রয়াস নিয়ে লিখতে বসলাম। ছোট বেলা থেকে রেডিও শোনার কোন অভ্যস ও অভিজ্ঞতা ধীরে রেডিও শোনার মানসিকতা অজর্ন করি। বিভিন্ন বেতারের মধ্যে সি আর আইকে আমার প্রিয় বেতার হিসেবে বেছে নিয়েছি। কেননা নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও উত্কর্ষের দিক থেকে সি আর আই যে কোন বেতার থেকে আলাদা এবং অন্যন্ত মনোসুগ্ধকর। চীনাদের সুখে সুমিষ্ট মদুময় নিপুন বাচন ভংগীমার প্রিয় মাতৃভাষা বাংলায় অনুষ্ঠান শুনে বিস্মিত হই। চীনের উন্নয়নের ছোয়া সি আর আই বাংলা অনুষ্ঠানে দৃশ্যমান। আগামী ডিসেম্বর সি আর আইএর ৬৫তম বর্ষপুর্তি। এ জন্য সি আর আইকে স্বাগতম। আমি আশা করি, কেবল ৬৫ নয়, ৭০, ৮০ পেরিয়ে সি আর আই এর জয়যাত্রা সহস্র বছরে পৌঁছক। বিশ্ববাসীর মৈত্রীর জন্য সি আর আই এর জয়যাত্রা সুদুর প্রসারী হোক। সি আর আই আমার জীবনের পরম সঙ্গী। আমি আজীবন সি আর আই এর সঙ্গে থাকবো। প্রিয় বন্ধু , আপনি এত সুন্দর চিঠি লেখার জন্যে অশেষ ধন্যবাদ। আপনি সত্যিই আমাদের এক জন ভক্ত শ্রোতা। আপনার মতো শ্রোতা পেয়ে আমাদের সুভাগ্য। আমাদের অনুষ্ঠান আরও উন্নত করার জন্য আমরা যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালাবো। আশা করি, আগের মতো ভবিষ্যতেও আমাদের বাংলা অনুষ্ঠান শুনবেন। কোন মতামত থাকলে আমাদের চিঠি লিখে জানাবেন। আমাদের অনুষ্ঠান আরও উন্নত করার জন্যে শ্রোতাদের পরার্মশ দরকার। নিয়মিত আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।

সিরাজগঞ্জ জেলার শ্রোতা মো: আপেল মাহামোদ তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, আমি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের একজন নিয়মিত শ্রোতা। প্রায় প্রত্যেক দিন আপনাদের অনুষ্ঠান শুনি। আমরা কয়েক জন লোক এক সঙ্গে আপনাদের অনুষ্ঠান শুনি। শোনার আমরা অনুষ্ঠানটি নিয়ে আলোচনা করে থাকি। গত কয়েক মাস আমরা পরীক্ষায় ব্যস্ত থাকায় বলে আপনাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে পারিনি বলে দু:খিত। তবে নিয়মিতভাবে আপনাদের অনুষ্ঠান শোনার চেষ্টা করেছি। সম্প্রতি অনুষ্ঠানের কিছু পরিবর্তন অত্যন্ত আকর্ষনীয় হয়েছে। খবরের মানও কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। এখন আগের চেয়ে বেশী করে বিশ্বের নানা ঘটনা অতি দ্রুত ও নিরপেক্ষভাবে পাছি। আমি দীর্ঘ সময় ধরে আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। গত কয়েক মাস ধরে আমি আপনাদের কাছ থেকে অনুষ্ঠান সুচী পাইনি। আশা করি, আমাদের ক্লাবে কিছু অনুষ্ঠান সূচী পাঠাবেন। প্রিয় বন্ধু, ধন্যবাদ আপনি আমাদের চিঠি লেখার জন্য এবং মনখোলা কথা বলার জন্য। আমরা এখন নতুন অনুষ্ঠান সূচী তৈরী করছি। কিছু দিন পর আমরা এই নতুন অনুষ্ঠান সূচী আপনার ক্লাবে পাঠাবো। আমাদের বাংলা অনুষ্ঠান উন্নত করার জন্যে আপনাদের ভাল ভাল পরামর্শ দরকার। অবশ্যই আমরা অনুষ্ঠান আরও সুন্দর করার জন্যে যথাসাধ্য চেষ্টা করবো। আশা করি, আপনি নিয়মিত আমাদের অনুষ্ঠান শুনবেন। নিয়মিত আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। কোন মতামত ও প্রস্তাব থাকলে আমাদের বলতে ইতস্তত: করবেন না।

নবাবগঞ্জ জেলার শ্রোতা নুনু ইসলাম তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, আমি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানের একজন পুরাতন শ্রোতা। আমি নিয়মিত আপনাদের অনুষ্ঠান শুনি। আমি মনে করি, চীন আন্তর্জাতিক বেতার একটি নিরপেক্ষ বেতার । আপনাদরে কয়েকটি অনুষ্ঠান আমার পক্ষে খুব ভাল লাগে।যেমন, প্রত্যেক বুধবারের মুখোমুখি, প্রত্যেত শনিবারের মিতালী। তবে অন্যান্য অনুষ্ঠান মোটেই মন্দ নয়। আমি লক্ষ্য করেছি, গত দু' বছরে, বাংলা অনুষ্ঠান অনেক উন্নত হয়েছে। তা একটা প্রশংসনীয় ব্যাপার। আশা করি , আমার প্রত্যাশা হল ভবিষ্যতে আপনাদের অনুষ্ঠান আরও উন্নত হবে । প্রিয় বন্ধু বধ্যবাদ আমাদের অনুষ্ঠান প্রশংসা করার জন্যে। আমরা জনি, যদিও আগের চাইতে আমাদের অনু্ষ্ঠান অনেক উন্নত হয়েছে , তবু শ্রোতাদের চাহিদা পুরুণ করতে আরও অনেক করবার আছে। আমাদের অনুষ্ঠান আরও উন্নত করার জন্যে আমরা যথাসাধ্য প্রয়াস চালাবো। এর সঙ্গে সঙ্গে আমরা শ্রোতাদের পরামর্শ চাই। সুতরাং আমাদের অনুষ্ঠান সম্বন্ধে যদি কোন মতামত থাকে তাহলে আমাদের চিঠি লিখে জানাবেন।