১) পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মোশাররফ ইসলামাবাদের লাল মসজিদে অবরুদ্ধ জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। ৭ জুলাই বেলুচিস্তানে ঘূর্ণিঝড়কবলিত ও বন্যাদুর্গত এলাকা সফরের সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ওদের আর এভাবে থাকতে দেওয়া যায় না। তারা আত্মসমর্পণ করুক এবং তাদের সঙ্গে রাখা অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দিক। নইলে তারা সবাই মারা পড়ার মতো ঝুঁকিতেই থাকবে। লাল মসজিদ ঘিরে গত পাঁচ দিনের অচলাবস্থার মধ্যে মোশাররফ এই প্রথম এ বিষয়ে মন্তব্য করলেন।
লাল মসজিদে ৭ জুলাই পঞ্চম দিরেও নিরাপত্তা বাহিনী ও জঙ্গিদের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে। পুলিশ লাল মসজিদ পরিচালিত জামিয়া ফরিদিয়া মাদরাসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। মসজিদে অবরুদ্ধ দ্বিতীয় ইমাম আবদুল রশিদ গাজি দাবি করেন, তাঁর অনুসারীদের আরও এক মাস লড়াই করার জন্য পর্যাপ্ত গোলাবারুদ ও খাদ্য মজুদ রয়েছে। তিনি বার্তা সংস্থাকে টেলিফোনে জানান, গত কয়েক দিনে নিরাপত্তা বাহিনী জানায়, ৭ জলাই প্রবল বর্ষণের মধ্যে মসজিদের ভেতর থেকে গুলি করা হলে সেনারা পাল্টা জবাব দেয়। মসজিদের ভেতর শিশু ও নারী থাকায় সেনারা সংযত ছিল। তবে কোনো জঙ্গিকে মসজিদের ভেতর থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার সুযোগ দিচ্ছে না তারা। গতকালও মসজিদে ফজরের আজান শোনা যায়নি।
তারা জানায়, মসজিদের পানি ও বিদ্যুত্ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। মজুদ খাদ্যের পরিমাণও কমে আসছে। মসজিদের ভেতর এখনো শিশু ও মহিলাসহ কয়েক শ মানুষ রয়েছে। এদের মধ্যে কমপক্ষে ৬০ জন সশস্ত্র জঙ্গি। চাপের মুখে প্রায় এক হাজার মানুষ মসজিদ ছেড়ে পালিয়েছে।
বিস্কোরণে মসজিদের দেয়ালের একটি অংশ উড়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে ,নিরাপত্তা বাহিনীর অবরোধের প্রভাব মসজিদের ভেতরও পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের খাদ্য ও প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার সুবিধার্থে মসজিদ এলাকায় ৭ মে সকালে কারফিউ কিছু সময়ের জন্য শিথিল করা হয়।
মসজিদের একটি সূত্র জানায়, লড়াইয়ে কমপক্ষে একজন ছাত্র নিহত হয়েছে। তাত্ক্ষনিকভাবে কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে কোনো তথ্য দিতে পারেননি।
২) পশিচমবঙ্গের প্রবীণ কমিউনিস্ট নেতা ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু ৮ জুলাই ৯৪ বছরে পা দিয়েছে। ১৯১৪ সালের ৮ জুলাই তিনি কলকাতার মহাত্মা গান্ধী রোডের বাড়িতে জন্নগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক বাড়ি ছিল ঢাকার(অধুনা নারায়ণগঞ্জ। বারদীতে;এখারে তাঁর শৈশবও কেটেছে।
জ্যোতি বসুই ভারতের প্রথম রাজনীতিবিদ যিনি একটানা ২৪ বছর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ২৯৭৭ সালের ২১ জুন তিনি প্রতম বামফ্রন্টের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। এরপর প্রায় ২৪ বছর একটানা এ দায়িত্ব পালন করেন। ২০০০ সালের নভেম্বরে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের হাতে দায়িত্ব দিয়ে তিনি অবসর নেন, যদিও রাজনীতি থেকে অবসর নেননি। তিনি এখনো সিপিআইএমের পলিটব্যুরোর সদস্য। আগের বছর জন্নদিনে জ্যোতি বসু বলেছিলেন, ৬৭ বছর ধরে তিনি রাজনীতি করছেন। কজ জ্যোতি বসুর জন্নদিনটি উদয়াপিত হচ্ছে অনাড়ম্বরভাবে। সকালে তাঁর সল্ট লেকের বাসভব'ইন্দিরা'য় পথের পাঁচালির ছোট শিশুরা ফুলের তোড়া দিয়ে জ্যোতি বসুকে শুভেচ্ছা জানাবে।
|