যুক্তরাষ্ট্র উত্তর আমেরিকার মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত। দেশটির ভূখন্ড সীমায় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে আলাস্কা এবং প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যাঞ্চলের হাওয়াইয়িন দ্বীপপুন্জ রয়েছে। উত্তর দিকটি ক্যানাডার সঙ্গে সংলগ্ন। দেশটির দক্ষিণ দিকে মেক্সিকো ও মেক্সিকো উপসাগর , পশ্চিম দিকে প্রশান্ত মহাসাগর , পূর্ব দিকে আটলান্টিক মহাসাগর। দেশটির আয়তন ৯৬.৩০ লাখ বর্গকিলোমিটারের বেশি। দেশটির পূর্ব ও পশ্চিম দিকের মধ্যে দূরত্ব ৪ হাজার ৫০০ কিলোমিটার এবং দক্ষিণ ও উত্তর দিকের চওড়া ২ হাজার ৭০০ কিলোমিটার। তটরেখা মোট ২২ হাজার ৬৮০ বর্গকিলোমিটার। দেশটির বেশির ভাগ অঞ্চলেই মহাদেশীয় আবহাওয়া । তবে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে প্রায় গ্রীষ্মমন্ডলীয় আবহাওয়া বিরাজমান।
রাজধানী ওয়াশিংটন। লোকসংখ্যা ৩০ কোটিরও বেশি। মার্কিন অধিবাসীদের মধ্যে শ্বেতাঙ্গ প্রায় ৭৫ শতাংশ , ল্যাটিন আমেরিকান ১২.৫ শতাংশ, নিগ্রো ১২.৩ শতাংশ এবং এশিয়ার বংশধর ৩.৬ শতাংশ এবং চীনা লোকের সংখ্যা ২৪.৩ লাখ। তাদের মধ্যে ৫৬ শতাংশ অধিবাসী খৃষ্ট ধর্মে বিশ্বাস করে । ২৮ শতাংশ ক্যাথলিক ধর্মে বিশ্বাস করে এবং ২ শতাংশ ইহুদী।
১৫ শতাব্দীর শেষ দিকে , স্পেন, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স এবং ব্রিটেনসহ বিভিন্ন দেশের অধিবাসীরা উত্তর আমেরিকায় আসতে শুরু করে। ১৭৭৩ সালে সেখানে মোট ব্রিটেনের ১৩টি উপনিবেশ ছিল । ১৭৭৫ সালে উত্তর আমেরিকার জনগণ ব্রিটেনের ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে স্বাধীনতা ঘোষণা করে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। ১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই ফিলাডেলফিয়ায় দ্বিতীয় মূলভূভ্যাগ সংক্রান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে " স্বাধীনতা প্রস্তাব" গৃহীত হয়। এ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ' ইউ.এস.এ' প্রতিষ্ঠার ঘোষণা করা হয়েছে। ১৭৮৩ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হয়। ১৭৮৭ সালে দেশটির ফেডারেল সংবিধান প্রণীত হয়। ১৭৮৮ সালে জর্জ ওয়াশিংটন প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ১৮১২ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ব্রিটেনের ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থা শেষ হয়ে যায় ।
১৯ শতাব্দীর শুরুর দিকে পুঁজিবাদের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের অন্যান্য দেশের ভূ-ভাগ দখল করে নিতে থাকে। ১৭৭৬ সাল থেকে শুরুর পর ১০০ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ভূখন্ডসীমার আয়তনের ক্ষেত্র ১০ গুণেরও বেশি সম্প্রসারিত হয় । দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর, যুক্তরাষ্ট্রের সার্বিক রাষ্ট্রীয় শক্তি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে বিশ্বের সকল দেশের মধ্যে সামরিক শক্তিতে সবচে' ক্ষমতাধর দেশ।
১৯৭৯ সালের ১ জানুয়ারী , চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে রাষ্ট্রদূত পর্যায়ের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয় । এ বছরের ২৮ জানুয়ারী সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রীতেং সিয়াও পিং যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন। দু'পক্ষ বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক চুক্তি স্বাক্ষর করে। ২০০৬ সালের এপ্রিল মাসে চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় সফর করেন। একই সঙ্গে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন।
|