v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-07-05 18:38:00    
এশিয়ার আর্থিক সংকটে চীনের ভূমিকা প্রশংসনীয়

cri
    ১৯৯৭ সালে আর্থিক সংকটের দরুন এশিয়ার অর্থনীতির গুরুতর ক্ষতি হয়েছিল । দশ বছর আগের এই আর্থিক সংকটে চীন চীনের মুদ্রা রেনমিনপির মূল্য স্থিতিশীল রাখার নীতিতে অটল ছিল । এতে পরিস্থিতির অবনতি এড়ানো সম্ভবহয়েছিল । এর সঙ্গে সঙ্গে চীনের অর্থনীতির দ্রুত উন্নয়ন এশিয়ার অর্থনীতির পুনরুদ্ধারকে তরান্বিত করেছে । এশিয়ার আর্থিক সংকটের দশম বার্ষিকী উদযাপনের সময় সি আর আইয়ের সংবাদদাতারা থাইল্যান্ড , জাপান , দক্ষিণ কোরিয়া ও সিংগাপুরের অর্থনীতিবিদ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তাদের সাক্ষাত্কার নিয়েছেন । সাক্ষাত্কারে তারা এশিয়ার আর্থিক সংকটকালীন চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার গভীর মূল্যায়ন করেছেন।

    থাইল্যান্ডের নামকরা ছুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক , বিশ্ববিদ্যালয়ের এশিয় গবেষণাগারের প্রধান সোমপোপ মানারুনসান বলেছেন , এশিয় আর্থিক সংকটের সময় চীনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল চীনা মুদ্রা রেনমিনপির মূল্য স্থিতিশীল রাখা । এটা বিশ্ব অর্থনীতির স্থিতিশীলতাকে বজায় রাখতে সাহায্য করেছে । চীনের এই প্রচেষ্টা সবার স্বীকৃতি পেয়েছে। আর্থিক সংকটের সময় চীনা মুদ্রা রেনমিনপির বিনিময় হার উঠানামা হলে বিশ্ব অর্থনীতি, বিশেষ করে এশিয়ার অর্থনীতির আরো গুরুতর ক্ষতি হত । চীন সরকারের রেনমিনপির মূল্য স্থিতিশীলরাখার প্রচেষ্টা পরিস্থিতির অবনতি রোধে সক্ষম হয়েছে ।

    জাপানের অর্থনীতি , বাণিজ্য ও শিল্প গবেষণাগারের প্রধান কোবায়াশি কেইছিরো মনে করেন , আর্থিক সংকটের সময় চীন সরকার রেনমিনপির মূল্যহ্রাস না করার নীতি ইউরোপ ও আমেরিকার বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়িয়েছে । তিনি বলেছেন , আর্থিক সংকটের সময় চীন সরকার রেনমিনপির মূল্য হ্রাস না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল । এই প্রতিশ্রুতির কল্যানে ইউরোপ ও আমেরিকার বিনিয়োগকারীরা নিশ্চিন্ত ছিলেন এবং এশিয়ায় তাদের বিনিয়োগ ফেরত্ নেন নি । ফলে এই আর্থিক সংকট চীন তথা অন্যান্য দেশে সম্প্রসারিত হয় । তিনি মনে করেন , জাপানের অর্থনীতির দ্রুত পুনরুদ্ধারেও চীনের অবদান আছে । চীনের অর্থনীতির দ্রুত প্রসার হয়েছে বলে চীনে জাপানের রপ্তানি অনেক বেড়েছে ।

    সিংগাপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব এশিয় গবেষণাগারের প্রধান , অধ্যাপক হুয়ান চাও হান মনে করেন , এশিয়ার আর্থিক সংকটে চীন খুব ভালো ভুমিকা নিয়েছে । তিনি বলেছেন , ১৯৯৮সালে আর্থিক সংকটের সময় হংকং ডলার , সিংগাপুর ডলার ও তাইওয়ানের মুদ্রার মূল্যহ্রাস পেয়েছে । তাই চীনা মুদ্রার মূল্যহ্রাস না করার প্রতিশ্রুতির প্রভাব বেশি । চীনের মুদ্রার মূল্যহ্রাস হলে পরিস্থিতির আরো অবনতি হত । অনেক অর্থনীতিবিদ বলেছেন , এশিয়ার আর্থিক সংকটে চীন খুব ভাল ভুমিকা নিয়েছে ।

    বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণপূর্ব এশিয় অঞ্চলের শীর্ষ প্রতিনিধি কাজী এম মতিন বলেছেন , আর্থিক সংকটের সময় চীন বিরাট অবদান রেখেছিল । তিনি বলেছেন , আমি মনে করি , দশ বছর আগের আর্থিক সংকটে চীন দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোকে দৃঢভাবে সমর্থন দিয়েছে । দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মুদ্রার মূল্যহ্রাসের পরিপ্রেক্ষিতে চীন যেভাবে চীনা মুদ্রার মূল্য স্থিতিশীলরাখার চেষ্টা করেছে, তা' আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করেছে । এই ধরনের সাহায্য ও সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।

    দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছান ইয়োন রি বলেছেন , এশিয়ার আর্থিক সংকটের সময় চীন খুব ভালো কাজ করেছে । যদি চীনও অন্যান্য দেশের মতই মূল্যহ্রাসের ব্যবস্থা নিয়ে রপ্তানি বাড়ানোর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নেন , তাহলে এশিয়ার অনেক দেশের অর্থনীতির আরো গুরুতর ক্ষতি হত । সেই সময় চীন রপ্তানি তো বাড়ায় নি , বরং অর্থনীতির দ্রুত প্রসারের মাধ্যমে এশিয়ার অন্য দেশের পণ্য আমদানির ব্যবস্থা নিয়েছে । এটা এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে সাহায্য করেছে ।( ফোং সিউ ছিয়েন )