v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-07-04 18:49:46    
মূলভূভাগ ও হংকংয়ের সাংস্কৃতিক সহযোগিতা আরো ঘনিষ্ঠ হচ্ছে

cri
    এ বছর হলো হংকংয়ের মাতৃভূমির সঙ্গে একীভুত হওয়ার দশম বার্ষিকী । গত দশ বছরে হংকংয়ের সমাজ ছিল স্থিতিশীলএবং স্বাভাবিকগতিতে অর্থনীতির বিকাশ হয়েছে । বিশ্বের অন্যতম আর্থিক , বিমান চলাচল ও মালপরিবহনের কেন্দ্র হিসেবে হংকংয়ের অবস্থান বজায় রয়েছে । হংকং একটি আন্তর্জাতিক মহানগর , কাজেই চীনের ও বিদেশের সংস্কৃতি হংকংয়ে রয়েছে । হংকংয়ের সংস্কৃতি বৈচিত্রময় । তবে চীনা জাতির সংস্কৃতি হংকংয়ের সংস্কৃতির ভিত্তি । গত দশ বছরে চীনের মূলভূভাগ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সাংস্কৃতিক বিনিময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হংকংয়ের সংস্কৃতি আরো বৈচিত্রপূর্ণহয়েছে ।

    ইউয়ে অপেরা মূলভূভাগের দক্ষিণাংশের কুয়াং তুং প্রদেশের একটি আঞ্চলিক অপেরা । অনেক হংকংবাসী ইউয়ে  অপেরা দেখতে পছন্দ করেন । হংকংয়ের নাগরিকরা নামকরা ইউয়ে অপেরার শিল্পীদের খুব ভালোবাসেন । হংকংয়ে নানা ধরনের বার ও বিদেশী রেস্তোঁরা আছে । বিশেষ করে লান কুই ফান অঞ্চলে বিদেশী রেস্তোঁরা ও বারের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি । তাই সেই অঞ্চলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের বেশি দেখা যায় ।

    আজকের হংকংয়ের বড় বড় দালানগুলোর পাশে প্রাচীন মন্দিরও দেখা যায় । নারীরা বিখ্যাত মার্কার চামড়ার জুতা পরেন । কিন্তু গায়ে দেন ঐতিহ্যিক ছি ফাও। ইংরেজী ভাষা হংকংয়ে প্রচলিত । তবে হংকংবাসীরা সাধারণত কুয়াংতুং ভাষা বলেন । যে সব বিদেশী দীর্ঘ দিন হংকংয়ে থাকেন , তারাও খুব ভালো কুয়াংতুং ভাষা বলতে পারেন । তবে রাস্তাঘাটের দোকানপাটের সাইনবোর্ডগুলোতে ও পত্রপত্রিকায় সব চীনা অক্ষর।

    হংকংয়ের ইতিহাস যাদুঘরের প্রধান মিং চি ছুয়েন বলেছেন , হংকংয়ের সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্যের মূলে রয়েছে হংকংয়ের ইতিহাস । তিনি বলেছেন , হংকং এক অভিবাসীর নগর । আগে হংকংয়ে মূলভূভাগের উত্তরাংশের অভিবাসীরা বেশি ছিল । বৃটিশরা আসার পর পাশ্চাত্য দেশগুলোর অভিবাসীরাও হংকংয়ে আসতে শুরু করেন । তারা পাশ্চাত্য দেশের সংস্কৃতিও নিয়ে এসেছেন । তাই হংকংয়ের সংস্কৃতিতে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির উপাদান রয়েছে ।

    যদিও হংকংয়ে বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতির উপাদান রয়েছে , তবুও চীনা জাতির সংস্কৃতিই হংকংয়ের সংস্কৃতির ভিত্তি । মিঃ চিয়াং চেন ইউ হংকংয়ের একজন নামকরা শিল্পপতি। তার পরিবারে বরাবরই চীনের ঐতিহ্যিক সংস্কৃতি বজায় রয়েছে । তার মেয়ে চিয়াং লি ইউন বলেছেন , আমি ও আমার ভাইবোনেরা সবাই হংকংয়ে জন্মগ্রহণ করেছি এবং হংকংয়ে বড় হয়েছি । আমরা স্কুলে পাশ্চাত্য স্টাইলে শিক্ষা লাভ করি এবং বাইরে পাশ্চাত্য স্টাইলের খাবার খাই । তবে বাসায় চীনের ঐতিহ্য এখনও পরিবর্তিত হয় নি ।

    হংকং বিনোদন ও সংস্কৃতি বিষয়ক পরিষদের একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে , দশ বছরে হংকংয়ের সঙ্গে সংলগ্ন কুয়াং তুং , ফুচিয়েন ও হাইনান প্রদেশের সঙ্গে সাংস্কৃতিক বিনিময় ছাড়াও মূলভূভাগের অন্যান্য প্রদেশ বা শহরের সঙ্গে হংকংয়ের সাংস্কৃতিক বিনিময় চার হাজারেরও বেশি । এতে মোট ৭০ হাজার লোক অংশ নিয়েছেন । গত দশ বছরে দক্ষিণ চীনের কুয়াং তুং প্রদেশের সঙ্গে হংকংয়ের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের কর্মসূচী তিন হাজারের বেশি ।

    ২০০৫ সালে হংকং ও চীনের মূলভূভাগের মধ্যে ' আরো ঘনিষ্ঠ সাংস্কৃতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় । তখন থেকেই হংকং ও মূলভূভাগের সাংস্কৃতিক সহযোগিতা আরো বেড়ে যায় । হংকংয়ের ইতিহাস যাদুঘরের প্রধান মিং চি ছুয়েন বলেছেন , আমাদের সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বহুমুখী । রাজধানী যাদুঘর ও জাতীয় যাদুঘরসহ পেইচিংয়ের বড় বড় যাদুঘরগুলোর সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা আরো বেশি হবে । মূলভূভাগের বড় বড় প্রদর্শনী হংকংয়ে প্রদর্শিত হবে । ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মূলভূভাগের যৌথভাবে আয়োজিত প্রদর্শনীগুলোও হংকংয়ে প্রদর্শিত হবে । এ ছাড়া কর্মী প্রশিক্ষণ ও আদান-প্রদান ক্ষেত্রে হংকং ও মূলভূভাগের সহযোগিতা আরো ঘনিষ্ঠ হবে । ( ফোং সিউ ছিয়েন )