v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-07-02 16:50:14    
একটানা সন্ত্রাসমূলক হামলায় ব্রাউন সরকার পরীক্ষার সম্মুখীণ

cri
১ জুলাই সন্ধ্যায় বৃটেনের লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে একটি সন্দেহজনক মোড়ক উদ্ধার করা হয় । বিমানবন্দরটি কিছু সময়ের জন্যে বন্ধ করে দেয়া হয় । তবে কিছুক্ষণ পর বিমানবন্দরটি আবার খোলা হয় । এ মোড়কের মধ্যে কি কি জিনিস আছে , এখনো তা জানা যায় নি । অথচ ২৯ জুন লন্ডনের ব্যস্ততম এলাকায় দুটো বিফল বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে এবং ৩০ জুন একটি জ্বলন্ত জীপ গ্লাস্গো বিমানবন্দরের প্রধান অপেক্ষমান ভবনের দিকে ছুটে গেছে । এ দুটো ঘটনা ঘটার পর আবার হিথ্রো বিমানবন্দরে একটি সন্দেহজনক মোড়ক উদ্ধার করা হল । এটি নিসন্দেহে নতুন নিযুক্ত ব্রাউন সরকারের স্নায়ুকে আরো সংকোচিত করেছে । বর্তমানে হিথ্রো বিমানবন্দরের সন্দেহজনক মোড়কের ঘটনার উপর তদন্তের কাজ চলছে । এটিকে সন্ত্রাসমূলক হামলা হিসেবে চিন্হিত করা হবে কি না , তা এখনো জানা যায় নি । অথচ গ্লাস্গো বিমানবন্দরের হামলা ও লন্ডনের ব্যস্ততম এলাকার দুটো বিফল বিস্ফোরণের ঘটনাকে পুলিশ বিভাগ সন্ত্রাসমূলক হামলা বলে আখ্যায়িত করেছে । গ্লাস্গো বিমানবন্দরের ঘটনার পর ব্রিটেনের নিরাপত্তা বিভাগ সংগে সংগে তাদের সতর্কতার স্তর সর্বোচ্চ সংকটপূর্ণ অবস্থায় উন্নীত করেছে । তার অর্থ হচ্ছে এই যে , সন্ত্রাসমূলক হামলা আসন্ন হয়ে আসছে । ১ জুলাই রাত পর্যন্ত ব্রিটেনের সন্ত্রাস-বিরোধী বিশেষ পুলিশ ৫জন সন্দিহান ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে । তারা আলাদা আলাদাভাবে ২৯ ও ৩০ জুন লন্ডন ও গ্লাস্গোতে সংঘটিত সন্ত্রাসমূলক হামলার সংগে জড়িত ছিলেন । ৩০ জুন একটি জ্বলন্ত জীপ চালিয়ে গ্লাস্গো বিমানবন্দরের প্রধান অপেক্ষমান ভবনের দিকে ছুটে যাওয়ার সময় হাতেনাতে দুজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয় । ব্রাউন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর অল্প দিনের মধ্যে এ তিনটি ঘটনা ঘটেছে । কেমন করে এ পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যায় ? এটি নিসন্দেহে ব্রাউন সরকারের জন্যে একটি কঠোর পরীক্ষা । গত দু একদিনে ব্রাউন তার ভাষণে নিজের মনোভাব প্রকাশ করেছেন । প্রথমত সরকার সার্বিকভাবে জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষা করার দায়িত্ব পালন করবে । দ্বিতীয়ত আল কায়দার সংগে জড়িত সন্ত্রাসবাদীরা প্রথম দুটো ঘটনা পরিকল্পনা করেছে এবং বাস্তবায়ন করেছে । তৃতীয়ত ব্রিটেন এখন গুরুতর ও একটানা সন্ত্রাসমূলক হুমকীর সম্মুখীণ হচ্ছে । জনসাধারণকে প্রতিনিয়তই তাদের সতর্কতা বজায় রাখতে হবে । ১ জুলাই নতুন নিযুক্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জ্যাকুই স্মিথ গত তিন দিনের মধ্যে মন্ত্রিসভার চতুর্থ সংকটের মোকাবিলা কমিটির সভা ডেকেছেন । গ্লাস্গো বিমানবন্দরের ঘটনা ঘটার পর ব্রিটেনের লন্ডন ও অন্যান্য শহরের বিমানবন্দর, রেল স্টেশন ও জনবহুল স্থাপনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয় । অথচ সরকারের বলিষ্ঠ মনোভাব ও পুলিশ বিভাগের বিপুর প্রচেষ্টা সন্ত্রাসমূলক কাজকর্মের সাফল্যের প্রতি জনমতের সন্দেহকে দমিয়ে রাখতে পারবে না । ব্রিটেনের দি সান পত্রিকার একটি খবরে প্রকাশ , লন্ডনের ব্যস্ততম এলাকায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাকে ব্যর্থ করে তোলা নিছক আকস্মিক ঘটনা । খবরে বলা হয় , একটি নাইট ক্লাবে একজন মাতাল পুরুষ লন্ডনকে বাঁচিয়ে তুলেছে । বিশ্লেষকরা মনে করেন যে , ব্রাউন সন্ত্রাস-বিরোধী সমস্যায় সবসময় অবিচল রয়েছেন । কিছুদিন আগে তিনি লেবার পার্টির একটি নির্বাচনী অভিযানে জোর দিয়ে বলেছিলেন , সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করার জন্যে তহিনি সামরিক, নিরাপত্তামূলক , তথ্যগত , অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উপায় অবলম্বন করবেন । সুতরাং ব্রাউন সরকার সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলার জন্যে সরকারের ব্যবস্থা দুর্বল করবে না । তবে ব্রিটেন কেমন করে সন্ত্রাসমূলক হুমকীর কালো ছায়া থেকে মুক্ত করতে পারবে ? এমনি হতে হলে ব্রাউন সরকারকে তার সাহস দেখাতে হবে এবং বৈদেশিক নীতিতে নিজের ভুল উপলব্ধি করতে হবে ।