চট্টগ্রামের শ্রোতা সোহাগ মিয়া তাঁর চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, চীনের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশী। উত্তরে বলছি, চীনের সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ নীতি চালু হওয়ার পর, অধিক থেকে অধিকতর বিদেশী ছাত্রছাত্রী চীনে পড়াশুনা করতে আসেন। বতর্মানে চীনের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশী ছাত্রছাত্রী আছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশী ছাত্রছাত্রীদের জন্যে চীনা ভাষা শিক্ষার কোর্স চালু করা হয়েছে। কারণ যারা চীনে পড়াশুনা করতে চায় তাদেরকে প্রথমে চীনা ভাষা শিখতে হবে। অতীতে সারা চীনে মাত্র একটি বিশ্ববিদ্যা যাখানে বিদেশী ছাত্রছাত্রীদের জন্যে চীনা ভাষা পড়ানো হত। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পেইচিং ভাষা ও সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয়। চীনে পড়াশুনা করতে আসা বিদেশী ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুধু একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চীনা ভাষা পাড়ানো হলে বিদেশী ছাত্রছাত্রীদের চাহিদা পুরন করা যায় না। এখন চীনের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশী ছাত্রছাত্রীদের জন্যে চীনা ভাষা পড়ানো হয়। এক বছর পর তারা বিভিন্ন বিষয় পড়তে শুরু করেন। বতর্মানে পেইচিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশী।
বগুড়া জেলার শ্রোতা অহীদুজ্জামান তাঁর চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, গ্রীষ্মকালে চীনের রাজধানী পেইচিংএ কি খুব গরম হয়? তাপমাত্রা কত? উত্তরে বলছি, গ্রীষ্মকালে রাজধানী পেইচিংএ খুব বেশী গরম নয়। জুন আর জুলাই মাসে পেইচিংএর তাপমাত্রা সবচেয়ে উচু। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি।
যশোর জেলার শ্রোতা সরদার রবিউল ইসলাম তাঁর চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, চীনের কোন এলাকায় বেশী বৃষ্টিপাত পড়ে? উত্তরে বলছি, চীন একটি বিশাল দেশ বলে দক্ষিণ চীন আর উত্তর চীনের জলবায়ুর মধ্যে অনেক পাথর্ক্য রয়েছে। দক্ষিণ চীনে বৃষ্টিপাত বেশী , উত্তর চীনে বৃষ্টিপাত কম। দক্ষিণ চীনের কয়েকটি প্রদেশে জুন আর জুলাই মাসে বেশী বৃষ্টিপাত পড়ে। একটি সূত্র থেকে জানা গেছে যে, চীনে গড়পড়তা বার্ষিক বৃষ্টিপাত সবচাইতে বেশি হয় থাইওয়ান প্রদেশের হুওশাওলিয়া নামে একটি জাযগায়।
রাজশাহী জেলার শ্রোতা রিফাত তাঁর চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, চীনে ক্রিকেট খেলা জনপ্রিয় কি না? উত্তরে বলছি, চীনে ক্রিকেট খেলা প্রায় দেখা যায় না। এই খেলা চীনাদের মধ্যে মোটেই জনপ্রিয় নয়। সত্যি কথা বলতে কি, বেশির ভাগ চীনা নাগরিক এই খেলার নিয়মও জানে না। সুতরাং চীনের টিভিতে ক্রিকেট খেলা কোন দিন সম্প্রচারিত হয়নি। এই খেলা অনেক চীনা মানুষের কাছে অপরিচিত।
চট্ট্রগ্রামের শ্রোতা মুস্টাফা কামাল তাঁর চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, চীনের জাতীয় মাছ কি? উত্তরে বলছি, এখন পযর্ন্ত চীনের জাতীয় মাছ নির্বাচিত হয়নি। ভবিষ্যতে জাতীয় মাছ নিয়ে কোন নিবার্চনও হবে না। কারণ চীনা লোক এ ব্যাপারে মাথা ঘামাতে চায় না।
|