'হিন্দুস্তান টাইমস'-এর 'টেবিল-টেনিস চ্যাম্পিয়ন থেকে প্রেসিডেন্ট' নামে একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ছোটবেলা থেকে পাতিল ক্রীড়া পছন্দ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি টেবিল-টেনিস প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। এর পর, তিনি একজন শ্রেষ্ঠ উকিল হন। তাঁর স্বমী হচ্ছেন একজন শিক্ষাবিদ। তাদের একজন ছেলে ও একজন মেয়ে আছে।
ভারতের সংবিধান অনুযায়ী, ভারতের প্রেসিডেন্ট হচ্ছে দেশের সামরিক বাহিনীর প্রধান। তবু প্রেসিডেন্টের আসলে তেমন কোন সামতা নেই, কোনো পার্টি অথবা দলের প্রতিনিধিত্ব করেন না। যখন দেশ যুদ্ধের হুমকি, বাইরের আগ্রাসী আক্রমণ বা সশস্ত্র অর্ভূথানের সম্মুখীন হয়, প্রেসিডেন্টের তখন জরুরী অবস্থা ঘোষণার সামতা রয়েছে। তাছাড়া, সরকার অচল হলে, প্রেসিডেন্ট শীর্ষ ক্ষমতা পালন করতে পারেন।
প্রেসিডেন্টের কার্যমেয়াদ ৫ বছর এবং পুনঃনির্বাচিত হতে পারেন। নির্বাচন গোপন ব্যালট পদ্ধতিতে হয়ে থাকে। ভারতের রাজ্য সভা ও লোকসভার সদস্য এবং সারা দেশের ২২টি প্রদেশ ও ৭টি কেন্দ্রীয় কেন্দ্র-শাসিত মহাঅঞ্চলের সংসদ সদস্যরা ভোট দিয়ে থাকেন।
২৪ জুলাই, ৭৫ বছর বয়সী ভারতের প্রেসিডেন্ট আবদুল কালামের কার্যমেয়াদ শেষ হবে। একজন বিশিষ্ট মহাকাশ বিজ্ঞানী হিসেবে, ভারতের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তির যুগে প্রবেশে তিনি বিরাট অবদান রেখেছেন। কিন্তু তিনি কোনো পার্টিতে যোগ দেন নি। সুতরাং ক্ষমতাসীন কংগ্রেস পার্টি অথবা প্রধান বিরোধীদল ভারতীয় জনতা পার্টি তাকে সমর্থন করতে অনিচ্ছুক।
সোনিয়া পাতিলকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করার আগে, কংগ্রেসের পার্টির তিনজন জনপ্রিয় প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শিবরাজ পাতিল জোটের অন্য বামপন্থী দলের বিরোধিতার মুখে পড়েন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রণব মূখার্জি যদিও বামপন্থীদলগুলোর সমর্থন পান, কিন্তু কংগ্রেস তাকে সরকারের 'অপরিহার্য' গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে মনে করে। সুতরাং তিনি প্রতিযোগিতা সরে দাড়ান। অন্য একজন প্রাধী ছিলেন সাংস্কৃতিক মন্ত্রী কল্যাণ সিং। কিন্তু বামপন্থী দলগুলো তার বিরোধিতা করে।
কংগ্রেসের নয়াদিল্লীর একজন প্রবীণ ব্যক্তি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রার্থী নিশ্চিত করতে হবে। কারণ বিভিন্ন পক্ষের পুরুষ প্রার্থী নিয়ে মতভেদ রয়েছে। এই অবস্থায় কোন একজন প্রস্তাব দেন, একজন নারী প্রার্থীকে মনোনীত করা। ফলে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন, কিন্তু কম বিখ্যাত ও কম বিতর্কিত পাতিল মনোনিত হন।
বিশ্লেষকরা বলেছেন, যদিও ভারতের প্রেসিডেন্ট শুধু একটি নামমাত্র পদ, তবে প্রেসিডেন্টের সরকারের কোন বিল নামঞ্চুর করার অধিকার রয়েছে এবং নির্বাচনের ফলাফল অস্পষ্ট অবস্থায় মন্ত্রীসভা গঠন করতে পারেন। সুতরাং ক্ষমতাসীন ও বিরোধী পার্টির জন্য এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
|