২২ জুন এক মাসের সাক্ষাত্কার শেষে চীন-রাশিয়া মৈত্রী যাত্রার রাশিয়ার তথ্য মাধ্যমের দলটি পেইচিং ফিরে এসেছে । সাক্ষাত্কারে রুশ সাংবাদিকদের মনে চীন গভীর ছাপ ফেলেছে ।
রুশ সাংবাদিকদেরকে সি আর আইয়ের সংবাদদাতা এক প্রশ্ন করেছে যে , আপনার চোখে চীনের সবচেয়ে সুন্দর বিষয় কী ? তবে এ প্রশ্ন ছিল রাশিয়ার ইনটারফ্যাক্স সাংবাদিক শিরিয়ায়েভের জন্য কঠিন । কারণ তিনি মনে করেন চীনের সব কিছুই খুব সুন্দর ।
এ বিশ দিনে অনেক অনেক বিষয় আমার মনে গভীর ছাপ ফেলেছে । তার মধ্য থেকে সবচেয়ে সুন্দর বাছাই করা খুব কঠিন । যেমন চীনের সড়ক নির্মাণ খুব ভালো । আমরা চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উদান পরিদর্শন করেছি , এ জায়গা আমার হৃদয়ে অতি গভীর ছাপ ফেলেছে । চীনারা এখন বিশ্বকে খুব সুন্দর এবং উষ্ণহৃদয়ের প্রতিমূর্তি দেখাচ্ছে । আমি চীনে যা দেখেছি , সবই খুব সুন্দর ।
একই প্রশ্নে "রাশিয়া-চীন : ২১ শতাব্দীর" সাংবাদিক ওলগার উত্তর হল "চীনের খাবার" । চীনের এক মাস সময়ে ওলগার ওজন দু'কে জি বেড়েছে । তিনি বলেছেন , কোন উপায় নেই , চীনা খাবার খেতে খুবই সুস্বাদু তা খেতে পছন্দ করেন ।
আমি চীনা খাবার খেতে খুব পছন্দ করি । মস্কোয় চীনা রেঁস্তোরাও আছে । তবে তাদের রান্না খাবার তত সুস্বাদু নয় । তাই আমি প্রত্যেক বার চীনে এসে অনেক চীনা খাবার খাই । এখন ওজন ইতোমধ্যেই বেড়ে গেছে । তবে সমস্যা নেই , কারণ খুব পছন্দ ।
রাশিয়ার এন টি ভির সংবাদদাতা শাভালিয়েভ চীনের এত বেশি বৈশিষ্টময় শহর দেখে জন্য খুব অবাক হয়েছেন । তিনি বলেছেন : প্রথমে , আমি মনে করি চীন বিস্ময়বিভুত একটি দেশ । চীনে সব কিছুই আছে । যেমন অতি সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং সুদীর্ঘ ইতিহাস ও সংস্কৃতি । চীনের সাংহাই , সেন চেন , কুই লিন , বিশেষ করে পেইচিং আমার মনে সবচেয়ে বেশি গভীর ছাপ ফেলেছে । যদিও আমি পেইচিংয়ে মাত্র দু'দিন ছিলাম , তবে আমি অনুভব করতে পারি যে পেইচিং খুব আরামদায়ক একটি শহর ।
ফটোগ্রাফার হিসেবে "মস্কো নিউজ পত্রিকার" আলোকচিত্র বিভাগের পরিচালক কাসিন ক্যামেরার মাধ্যমে চীনের সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন । ক্যামেরায় চীনাদের চোখ তিনি কখনই ভুলে যাবেন না । তিনি বলেছেন আমার সবচেয়ে পছন্দ হল চীনাদের চোখে ভবিষ্যতের জন্য আশার আলোর সঞ্চালন ।
এ দিকে "কান্ট্রি লাইফ পত্রিকার" সাংবাদিক খাসানের জন্য চীনাদের উষ্ণতা সত্যিই মনে রাখার মত ।
চীনারা সবচেয়ে ভালো । আমি চীনাদের সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি । কারণ চীনারা আমার হৃদয়ে শান্তিপূর্ন প্রেমের ছাপ ফেলেছে । চীনারা অন্যদের প্রতি শত্রুতামূলক মনোভাব পোষণ করে না । যখন আমার কখনই অসুস্থ্য লাগে অথবা মন বেশ ভালো না , আমাদের চীনা বন্ধু সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সাহায্য করে । তাদের মৃদুহাসি অথবা উত্কন্ঠা সবই আমাদের মুগ্ধ করেছে ।
এ সাক্ষাত্কার দলটি এক মাসের সাক্ষাত্কার নিতে গিয়ে ৯ হাজার কিলোমিটার পথে য় চীনের হুয়াং নদী , ইয়াং জি নদী , জু নদী অতিক্রম করে চীনের ১৫টি প্রদেশ , শহর ও স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের অধিবাসীদের সাক্ষাত্কার নিয়েছে । এভাবেই এসব সাংবাদিক গভীর ও সুষ্ঠুভাবে চীন ও চীনাদের জীবনকে অনুভব করেছেন । চীন-রাশিয়া মৈত্রী যাত্রা দু'দেশের জনগণের পারস্পরিক উপলব্ধি বাড়ানোর জন্য একটি ভালো মঞ্চ ।
|