v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-06-26 09:06:13    
চীনের প্রবীণ শিল্পীর গাওয়া বিদেশী গান

cri

    প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আপনারা চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান শুনছেন। আমি আ.বা.ম. ছালাউদ্দিন, সুদুর পেইচিং থেকে আপনাদের জানাচ্ছি একরাশ আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা। আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদের চীনের কয়েকজন প্রবীণ শিল্পীর গান শোনাবো এবং তাঁদের সম্পর্কে কিছু কথা বলবো।

    প্রথমই শুনুন শিল্পী জেং সিংলির গাওয়া 'হাবানেরা নাচ'। এটা হচ্ছে ফ্রান্সের রচয়িতা জর্জেস বিজেটের বিখ্যাত অপেরা 'কার্মেন'-এর সঙ্গীত। হাবানেরা আফ্রিকার ঞ্চাঞ্জ সঙ্গীত হিসেবে সৃষ্টি হয়েছে এবং কিউবাতে তা আরো পরিশিলীত হয়েছে। তারপর স্পেনে এ গান স্পেনীয় আঙ্গিকে রূপান্তরিত হয়েছে যা স্থানীয় লোকদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষ স্থানে এসেছে। আচ্ছা, শ্রোতাবন্ধুরা তাহলে শোনা যাক এই গানটি।

(সংগীত-১)

    এতক্ষণ আপনারা শিল্পী জেং সিংলির গান 'হাবানেরা নাচ' শুনলেন। এখন শুনুন বিনয়ী সুরের গায়ক ওয়েই ছিসিয়ানের আমেরিকান গান 'বয়স্ক পুরুষ নদী'।

(সংগীত-২)

    এটা হচ্ছে আমেরিকার রচয়িতা জেরোমে কার্নের গীতিনাট্য 'প্রদর্শনীর জাহাজ'-এর গান। গানটিতে দীর্ঘ দিনের ইতিহাস সম্পন্ন মিসিসিপি নদী ও তার দু'পাড়ের নিগ্রোদের জীবন ধারার বর্ণনা করা হয়েছে। যাতে নিগ্রো ও শ্বেতাঙ্গ মানুষের অসামঞ্জস্য, বিশেষ করে নিগ্রোরা দিনের পর দিন এবং রাতের পর রাত অব্যাহতভাবে কাজ করে যায় কিন্তু শ্বেতাঙ্গরা অলসভাবে হেসে খেলে সময় কাটায় কোন কাজ করেনা। এই গানটিতে গভীর আবেগ প্রবণতার মধ্য দিয়ে সমাজের বৈসম্যের কথা ফুটে উঠেছে। অথচ আমরা জানি চিরশ্যমলীমায় ছাওয়া বিশ্ব সবার জন্য সমান। ওয়েই ছিসিয়ানের গাওয়া এই গান মানুষের হৃদয়কে নাড়া দিয়েছে গভীরভাবে।

    গায়িকা চাং লি চুয়ান ২০ শতাব্দীর ২০ দশকে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সাংহাই জাতীয় সঙ্গীত বৃত্তিমূলক ইন্সটিটিউট থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫৭ সালের ষষ্ঠ যুব সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় তিনি রৌপ্যপদক পেয়েছেন। তার কণ্ঠ মোলায়েম, উচ্চারণ স্পষ্ট এবং শ্বাস-প্রঃশ্বাস সাবলীল। দেশী-বিদেশী গান ও ইউরোপীয় ক্লাসিক্যাল অপেরা গাওয়ার জন্য যথেষ্ট মেধা ও অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয়। এখন শুনুন তার গান 'অ্যানটনিদা আরিয়া'।

(সংগীত-৩)

    এই অপেরাতে একজন রাশিয়ান মেয়ে অ্যানটনিদার বিয়ের দিনে, আগ্রাসকরা গ্রামবাসীদের পথ দেখিয়ে দিয়েছে, নাহলে হয়তো তারা সারা গ্রামের মানুষকে হত্যা করবে। এই উত্তেজনাপূর্ণ সময়, আনটনিদার বাবা দেশ ও গ্রামবাসীদের উদ্ধার করার জন্য, শত্রু দের ভুল পথে নিয়েছেন এবং ফলে তার জীবন হারানোর গল্পের বর্ণনা করা হয়েছে এই গানে। তার বাবা চলে যাওয়ার পর, অ্যনটনিদা একটি দুঃখের গান গেয়েছেন, তার হৃদয়ের সবটুকু দুঃখ উজার করে গেয়েছেন। আচ্ছা, তাহলে এই গানটি শুনুন।

    গে ছাওজি চীনের প্রবীণ ধারনার গায়ক ও কণ্ঠশিল্পের শিক্ষাবিদ। ১৯১৭ সালে তিনি সাংহাই-এ জন্ম গ্রহণ করেন এবং সাংহাই জাতীয় সঙ্গীত বৃত্তিমূলক ইন্সটিটিউট থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। বহু বছর আগেই তিনি একক কন্সার্ট-এর আয়োজন করেছিলেন। দীর্ঘ দিনের শিক্ষাদানের কাজে তিনি বহু শ্রেষ্ঠ গায়ককে ও গায়িকাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। এর মধ্যে তার অনেক ছাত্রছাত্রী দেশী-বিদেশী কণ্ঠশিল্প প্রতিযোগিতায় সাফল্যের সঙ্গে পদক পেয়েছেন। শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানের শেষ প্রান্তে এসে, তাহলে আমরা এক সঙ্গে গে ছাওজির 'এর্লকনিগ' গানটি শুনবো। গানটিতে ভিন্ন ভিন্ন সুরের মধ্য দিয়ে, পৃথক পৃথকভাবে যে লোক গল্প বলে, বাবা, শিশু ও এর্লকনিগ এই চারটি চরিত্র ফুটে উঠেছে সুন্দরভাবে। এ গানের কথায় নাটকীয়তাও রয়েছেঃ বাবা ঘোড়ায় চড়ে জ্বরে আক্রান্ত শিশুকে নিয়ে অন্ধকার বন ছাড়িয়ে চলেছেন চিকিত্সার জন্যে। কিন্তু এর্লকনিগ বার বার তাকে প্রলুদ্ধ করেছে মারার গান সৃষ্টি করেছে। শেষ পর্যন্ত শিশুটি তার বাবার কোলেই মারা যায়। এ এক অতিদুঃখের কাহিনী।

(সংগীত-৪)

    প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, এতক্ষণ আমি আপনাদের জন্য চীনের প্রবীণ শিল্পীদের গাওয়া কয়েকটি বিদেশী গান শোনালাম। নিশ্চয়ই আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকের অনুষ্ঠান এখানে শেষ করছি। বন্ধুরা, এ অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করেছেন আমার সহকর্মী খোং চিয়া চিয়া। আগামী সপ্তাহে আবার কথা হবে। আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।