v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-06-25 20:43:51    
চীন ইন্টারনেটের নিরাপত্তা উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেয়

cri

    বর্তমানে চীনের ইন্টারনেট প্রযুক্তির উন্নয়নে ইলেকট্রনিক বাণিজ্য হলো বাণিজ্যিক আদানপ্রদানের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যমে ইদানিং অনেক আধুনিক শহরেই যুবকদের ইন্টারনেটে কর্মসংস্থানের অনেক বেশি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তার মধ্যে কিছু কিছু লোক ইন্টারনেটের দোকান খুলেছে। যাতে অনেক মুনাফা অর্জন করা যায় । চীনের ইন্টারনেট ওয়েব-সাইট-এর প্রকাশিত এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, এখন চীনে নেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে । ইন্টারনেটে কম্পিউটার সম্পর্কিত ব্যবহারের সংখ্যাও ৫ কোটির অধিক। ইন্টারনেট সার্বিকভাবে ব্যবহারের কারণে অনেক লোকের জন্যে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে । তবে এর সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেটের নিরাপত্তার বিষয়টি বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। সম্প্রতি, " প্যান্ডার শাও সিয়াং" নামক ভাইরাস চীনের হাজার হাজার ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ও ভাইরাসের প্রতিরোধ সংক্রান্ত সোফটওয়্যার ব্যবসায়ীর জন্য একটি জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের উচিত কিভাবে ইন্টারনেটের নিরাপত্তার বিষয়টি সুরক্ষা করা যায়?

    " প্যান্ডার শাও সিয়াং" নামক ভাইরাসে আমাদের ব্যক্তিগত কম্পিউটার আক্রান্ত হলে , তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আর কাজ করা সম্ভব হবে না। তুং সাহেব হচ্ছেন ইন্টারনেটের ধরণ তৈরী করা ক্ষেত্রের একজন ডিজাইনার। এ কথা ঠিক যে, তুং সাহেবের কাজ নিশ্চিতভাবে ইন্টারনেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত । তিনি ছিলেন " প্যান্ডার শাও সিয়াং" ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়াদের মধ্যে তিনি অন্যতম। তিনি বলেছেন:" আমি ইন্টারনেটের ধরণ তৈরীর কাজ করি। আমার কম্পিউটারে সংশ্লিষ্ট অনেক পদ্ধতি রয়েছে। এটি ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার পর, আমি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের তা পাঠালে , তাদের কম্পিউটারও নিশ্চয়ই এই ধরণের সংশ্লিষ্ট ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।"

    পেইচিং রুই সিং বৈজ্ঞানিক লিমিটেড কোম্পানির গবেষণা বিষয়ক কেন্দ্রের উপ প্রধান মা চিয়ে এ বিষয়টি সম্পর্কে ব্যাখ্যা করার সময় বলেছেন, ইন্টারনেট ওয়েব-সাইটের কোন দায়িত্বশীল ব্যক্তি বা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ,তাদের কম্পিউটার ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সময় , যদি কম্পিউটারে বেশ কিছু ওয়েব-সাইটের দলিলপত্র থাকে, তাহলে ভাইরাস এ ধরণের সংশ্লিষ্ট দলিলপত্রের ভেতরে একটি খুবই ছোট কম্পিউটারের চাপস বসানো যায়। যখন ওয়েব-সাইটের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আবার তা ব্যবহার করে, তখন ভাইরাস ওয়েব-সাইটের ভেতরে ঢুকে যায়। এ ব্যাপরে রুই সিং কোম্পানি বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রচুর গবেষণা করেছে এবং এ বিষয়টি সমাধানের প্রস্তাব উপস্থাপিত হয়েছে।মা চিয়ে বলেছেন:" আমাদের প্রস্তাব হলো ইন্টারনেটের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশাসনিক কাজ সার্বিকভাবে চালানো। চূড়ান্ত ভাইরাসে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে গেছে।"

    পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, বর্তমানে সারা বিশ্বের কম্পিউটারের ভাইরাসের সংখ্যা হয়েছে মোট ৮০ হাজারেরও বেশি। পেইচিং জ্ঞানার্জন নিরাপত্তা প্রকল্প সংক্রান্ত কেন্দ্রের প্রধান ওয়াং সিন চিয়ে মনে করেন যে, ইন্টারনেট তথ্য সংক্রান্ত নিরাপত্তা সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের উচিত একটি পূর্ণাঙ্গ তথ্য নিরাপত্তা প্রশাসন পদ্ধতি স্থাপন করা। এ ব্যাপারে শুধু মাত্র একপক্ষীয় সংশ্লিষ্ট প্রতিরোধক উপায় ব্যবহার করলে , তা মৌলিকভাবে এ সমস্যার সমাধান করবে না। ইন্টারনেটের নিরাপত্তা পদ্ধতি ভালভাবে উন্নয়নের লক্ষে চীন সরকার " রাষ্ট্রীয় তথ্যায়ন উন্নয়নশীল কৌশল ২০০৬----২০২০" -এর সংশ্লিষ্ট প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। যাতে ইন্টারনেটের নিরাপত্তা বিষয়টি মোকাবিলার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ করা যায়।

    সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জি ইয়ু ছুন বলেছেন, রাষ্ট্রীয় তথ্যাদি নিরাপত্তা সুনিশ্চয়তা বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো ভাইরাস আবিষ্কৃত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এর ওপর যথাযথভাবে সংশ্লিষ্ট বৈজ্ঞানিক পদক্ষেপ নেয়া। তিনি বলেছেন:" যেমন, রাষ্ট্রীয় তথ্যাদি নিরাপত্তা সুনিশ্চয়তা ক্ষেত্রের পদ্ধতি একটি আগুণ নেভানো টিমের মতো। তা আগুণের সতর্কতামূলক সংকেত পাওয়ার পর পরই যথাযথভাবে ঘটনাস্থলে নিজে নিজেই চলে যায়।"

    বর্তমানে চীনের বিভিন্ন অঞ্চলে ৫৩টি রাষ্ট্র পর্যায়ের হাইটেক উন্নয়ন অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । ১৯৯১ সাল থেকে এ পর্যন্ত এই সব অঞ্চলের প্রধান লক্ষ্যমাত্রা বছরে ৪০ শতাংশ হারে বাড়ছে । এই সব অঞ্চলে চীনের হাইটেক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা আর জাতীয় অর্থনীতির কাঠামো উন্নত করার এক গুরুত্বপূর্ণ শক্তিতে পরিণত হয়েছে ।