২৯তম অলিম্পিক গেমস ২০০৮ সালে পেইচিংয়ে অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে এ বছরের মে মাস থেকে পেইচিংয়ে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মসূচী শুরু হয়েছে। মে মাসের প্রথম দিকে ২০০৮ সালের অলিম্পিক গেমসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক কর্মসূচী হিসেবে "একই বিশ্বে থাকে" নামে একটি বড় আকারের চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। ২৬ জুন সংস্কৃতির সম্ভার আসরে ফাং শিয়াউ ছিয়েন এই চিত্র প্রদর্শনী সম্পর্কে কিছু তথ্য জানাবেন।
কিছু দিন আগে দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের ইয়ুন নান প্রদেশের রাজধানী খুন মিং শহরে অনুষ্ঠিত সপ্তম চীনা প্রতিবন্ধীদের গেমসে একবাহুর একজন তরুণ সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তিনি বেশ লম্বা এবং সুদর্শন। তিনি বেশ কয়েকবার তার নিজের সৃষ্ট প্রতিবন্ধীদের সাঁতার প্রতিযোগিতায় বিশ্ব রেকর্ড ভংগ করেছেন। তিনি হলেন ১৯ বছর বয়সের ওয়াং সিয়াও ফু।
ওয়াং সিয়াও ফু পাহাড়ী এলাকায় বসবাসকারী একজন গ্রামীন কিশোর থেকে এখন একজন বিশ্ববিখ্যাত সাঁতারুতে পরিণত হয়েছেন। তার সাফল্য যেমন তার নিজের মেধা ও একজন যত্নবান কোচের সঙ্গে জড়িত, তেমনি তার উপর সরকারের আন্তরিক পরিচর্যাও জড়িত। চীনে বিভিন্ন স্থানের প্রতিবন্ধী সংগঠন ক্রীড়া পরামর্শ কেন্দ্র স্থাপন করেছে। এসব কেন্দ্র ওয়াং সিয়াও ফুর মত বহু সাধারণ প্রতিবন্ধীকে শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে তুলেছে। ২৭ জুন সমাজ দর্পন আসরে শুনুন "একবাহুর তরুণ সাঁতারু ওয়াং সিয়াও ফু" নামের প্রতিবেদনটি।
উত্তর-পুর্ব চীনের চিলিন প্রদেশের চুথাই শহরে সিন লি নামে কোরীয় জাতি অধ্যুষিত একটি গ্রাম আছে। সিন লি গ্রামের অধিবাসীরা জীবনযাপনের স্বচ্ছলতা সম্পর্কে বেশি কথা বলতে পছন্দ করেন। তাহলে এই গ্রাম কেমন করে স্বচ্ছল হয়ে উঠেছে? শহর ও বিদেশে চাকরি করাই তাদের দ্রুত স্বচ্ছল হয়ে উঠার মূল কারণ। গ্রামবাসীরা চাকরির জন্য দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়ার পাশাপাশি তাদের পরিবার পরিজনের আয়ও দ্রুতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যারা গ্রামে রয়েছেন, তারা যৌথভাবে কৃষি কর্ম ও হাস-মুরগী ও পশু পালন শিল্প বিকশিত করায় তত্পর। ফলে গ্রামবাসীরা স্বচ্ছল হয়ে উঠেছেন। ২৯ জুন সেই গ্রাম এই জীবন আসরে থাং ইয়াও খান এই গ্রামের কথা আপনাদের বলবেন।
দু'বছর আগে ২০ জন উইগুর কিশোর-কিশোরী শিল্পকলা চর্চার উন্নতির জন্য পেইচিংয়ে এসেছে এবং পেইচিং সংখ্যালঘু জাতির সংস্কৃতি ও শিল্পকলা বিষয়ক বৃত্তিমূলক শিক্ষাগত বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। এই বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার জন্য তাদের যাবতীয় প্রয়োজনীয় ফি মওকুফ করা হয়েছে। পেইচিংয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ লেখাপড়ার মাধ্যমে তাদের সংস্কৃতি ও শিল্পকলার দক্ষতা বাড়বে বলে কর্তৃপক্ষ আশা করে। গত দু'বছর ধরে পেইচিংয়ে তাদের লেখাপড়া ও জীবনযাপন কেমন হয়েছে? ৩০ জুন ওরা অনন্য আসরে থাং ইয়াও খান এ সম্পর্কে আপনাদের কিছু বলবেন।
তা ছাড়া প্রতি দিন আরো রয়েছে খবর এবং অন্যান্য নিয়মিত অনুষ্ঠান। সময় মত সি আর আই এর বাংলা অনুষ্ঠানগুলো শোনার জন্য আগে থেকেই সকল শ্রোতাবন্ধুদের সাদর আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখছি।
|