২১ জুন চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও পেইচিং মহা গণ ভবনের পূর্ব মহাচত্বরে ইরাকের প্রেসিডেন্ট জালাল আল-তালাবানির জন্য জাঁকজমকপূর্ণ সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এদিন বিকালে মহা গণ ভবনে হু চিন থাও ও তালাবানির বৈঠক শুরু করেন। তাঁরা চীন-ইরাক দু'দেশের ঐতিহ্যিক মৈত্রীর গভীর উন্নয়ন এবং নতুন সময়পর্বে দ্বিপক্ষীয় বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা সম্পর্কের উন্নয়নের ব্যাপারে ব্যাপক মতৈক্যে পৌঁছেছেন।
হু চিন থাও বলেছেন, চীন ও ইরাকের মৈত্রী খুবই সুদীর্ঘ। দু হাজার বছর আগে, প্রাচীণকালের " রেশম পথ"-এর করণে দু'দেশের জনগণ ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত ছিলেন।চীন ও ইরাকের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর, দু'দেশের সম্পর্কের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এতে বিশেষ করে ইরাকের নতুন সরকার প্রতিষ্ঠার পর, দু'দেশের সম্পর্ক একটি নতুন পর্যায়ে উন্নত হয়েছে। দু'পক্ষ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে একটি উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। একই সঙ্গে দু'পক্ষের বিভিন্ন ক্ষেত্রের সহযোগিতা চালানো হয়েছে। উল্লেখ্য যে, কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সমস্যার সমাধানে দু'পক্ষের সুষ্ঠু সমন্বয় অব্যাহত রয়েছে। ইরাক যে একচীন নীতি অনুসরণ করে এসেছে, চীন তার প্রশংসা করেছে। ইরাকের জনগণ দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ভূখন্ডের অখন্ডতা সুরক্ষা করা এবং দেশের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য অনেক প্রচেষ্টা চালিয়েছে। চীন সরকার তাতে সহায়তা করেছে।
তালাবানি বলেছেন, চীন ও ইরাক উভয়েই গৌরবদায়ক সংস্কৃতির ইত্তরাধিকার । পুনর্গঠনে চীন সরকার অনেক সাহায্য দিয়েছে বলে ইরাক সরকার চীনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানায় । চীনের সঙ্গে মৈত্রী উন্নয়নে ইরাক অনেক গুরুত্ব দেয়। ইরাক সরকার অব্যাহতভাবে একচীন নীতি অনুসরণ করবে।
হু চিন থাও বলেছেন, চীন ইরাকের সঙ্গে উন্নয়নের যৌথ প্রচেষ্টা চালাতে ইচ্ছুক। যাতে মোট চারটি পর্যায় থেকে নতুন সময়পর্বে চীন-ইরাক দু'দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা সম্পর্ক সার্বিকভাবে ত্বরান্বিত করা যায়। এ চারটি পর্যায় হচ্ছেঃ প্রথমত, দু'দেশের উচ্চ পর্যায়ের আদানপ্রদান বজায় রাখা, সরকার, সংসদ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ ও আলোচনা জোরদার করা। দ্বিতীয়ত, পারস্পরিক উপকারিতামূলক সহযোগিতা ত্বরান্বিত করা এবং ইরাকের পুনর্গঠনে সাহায্য দেয়া। তৃতীয়ত, শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আদানপ্রদান ও সহযোগিতা সম্প্রসারণ করা। চতুর্থত, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সমস্যায় আলোচনা ও সমন্বয় ত্বরান্বিত করা।
হু চিন থাও-এর এ চারটি মতামত তালাবানি পুরোপুরি গ্রহণে রাজি হয়েছেন। তালাবানি বলেছেন, চীন ও ইরাকের সম্পর্ক সার্বিকভাবে উন্নতি হয়েছে। তা দু'দেশের জনগণের স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য অনেক সহায়তা হবে।
|