v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-06-21 18:14:19    
ভারত প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে—(১)

cri

    ভারতের কংগ্রেস পার্টির চেয়ারম্যান সোনিয়া গান্ধি ১৪ জুন সন্ধ্যায় ৭২ বছর বয়সী রাজস্তান রাজ্যের গভর্নর প্রতিভা পাতিলকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন। জুলাই মাসে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পাতিল ভারতের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

    ভারতের তথ্য মাধ্যমের খবরে প্রকাশ, ক্ষমতাসীন সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চার বিভিন্ন পার্টির নেতৃবৃন্দ ১৪ জুন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-র বাসভবনে বৈঠক করে চূড়ান্তভাবে এক মত হয়ে পাতিলকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মনোনীত করেন। সোনিয়া গান্ধি বলেছেন, এটা হচ্ছে ভারত প্রতিষ্ঠার ৬০ বছরে 'ঐতিহাসিক সময়'। ক্ষমতাসীন মোর্চা সংলাপ কমিটি প্রতিষ্ঠা করবে, যাতে পাতিলকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী করা যায়।

    ভারতের ১৩তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ১৯ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন মোর্চা ও বিরোধী পার্টি আলাদা আলাদাভাবে মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দিয়ে, আগামী প্রেসিডেন্ট কে হবেন তার সিদ্ধান্ত নেবে। ২১ জুলাই ভোট গণনা কাজ শুরু হবে। সংসদে ক্ষমতাসীন মোর্চার সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকার আকস্মিক কোন ঘটনা না ঘটলে পাতিলই ভারতের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।

    প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হবার পর পাতিল বলেছেন, নারীর অবস্থান উন্নতির প্রতীক হিসেবে, তার নিজেকে ভাগ্যবান লাগে। এর আগে, ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ কয়েকজন নারী নেতার আবির্ভাব ঘটেছে। এর মধ্যে রয়েছেন ভারতের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি ও বর্তমান কংগ্রেসের চেয়ারম্যান সোনিয়া গান্ধি ইত্যাদি।

    পাতিল ভারতের মহারাষ্ট্র প্রদেশের একটি বিখ্যাত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮৫ সালে কংগ্রেসে যোগ দেন। ২০০৪ সালের নভেম্বর মাসে কংগ্রেস তাকে রাজস্থান রাজ্যের প্রথম নারী গভর্নর নিযুক্ত করে। পাতিলের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ এবং তার সুনাম রয়েছে। ফলে ক্ষমতাসীন মোর্চার বিভিন্ন দলের পাতিলের ব্যাপারে অভিন্ন অবস্থান রয়েছে। এর পাশাপাশি তিনি কংগ্রেসের নারী চেয়ারম্যান সোনিয়ার আস্থাভাজন অনুসারী। গভর্নরের দায়িত্ব গ্রহণ করার সময় তিনি একটি ধর্মবিশ্বাস পরিবর্তন সংক্রান্ত কথিত 'ধর্ম অবৈধ বিলে' স্বাক্ষর প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি মনে করেন, এই বিলে আসলে ধর্ম ও মানবাধিকার লঙ্খন করা হয়েছে।

    সমাজ-কল্যান কাজে চেষ্টা করা পাতিল হচ্ছেন অনেক সাংস্কৃতিক, শিক্ষাদান ও সমাজ-কল্যান সংস্থার চেয়ারম্যান। তিনি অন্ধ ও গরিব নারীদের জন্য শিল্প প্রশিক্ষণ স্কুল ও সেলাই কোর্স চালু করেছেন এবং নয়াদিল্লী ও মুম্বাই-এ পেশাজীবী নারী হোস্টেল প্রতিষ্ঠা করেছেন। এছাড়াও, তিনি গ্রামীণ যুব-যুবককে জন্য একটি প্রযুক্তি ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি চীনে এসে বিশ্ব নারী সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।