চীন ও জাপানের যুবকদের বংশপরম্পরায় সম্প্রীতিতে বসবাস ও মৈত্রী বন্ধন সান্ধ্য সম্মেলন ১৯ জুন রাতে পেইচিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও ভাষণদানে আশা প্রকাশ করেছেন, চীন ও জাপানের যুবকরা দু'দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের সঠিক দিক আকঁড়ে ধরবে এবং স্বতস্ফুর্তভাবে চীন ও জাপানের মৈত্রী চালিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব বহন করবে।
হু চিন থাও উল্লেখ করেছেন, চীন ও জাপান সম্পর্ক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ সুযোগের সম্মুখীন হয়েছে। দু'পক্ষ যদি "চীন ও জাপানের সংযুক্ত বিবৃতি"সহ দু'দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত তিনটি রাজনৈতিক দলিলের মুল নীতি মেনে চলে, ইতিহাস থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে, ভবিষ্যতমুখী এবং সংলাপের মাধ্যমে মতভেদ ও অসংগতি নিষ্পত্তি করে, বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিনিময় ও সহযোগিতা জোরদার করে, তাহলে অবশ্যই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, বংশপরম্পরায় সম্প্রীতিতে বসবাস করা, পারস্পরিক উপকারিতামূলক সহযোগিতা এবং অভিন্ন উন্নয়ন বাস্তবায়িত হবে।
হু চিন থাও জোর দিয়ে বলেছেন, চীন ও জাপানের যুবকরা হচ্ছেন দু'দেশের মৈত্রী ব্রতের ভবিষ্যত। তিনি আন্তরিকভাবে আশা করেন, দু'দেশের যুবকরা হাতে হাত মিলিয়ে আরো বেশি উত্সাহ ও ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে দু'দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়ন করবেন।
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাকাসোনে ইয়াসুহিরো তাঁর ভাষণে বলেছেন, এখন জাপান ও চীনের সম্পর্ক বসন্তকাল থেকে গ্রীষ্মকালে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বিশ্বাস করেন, দু'পক্ষের মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে অবশ্যই জাপান ও চীনের সম্পর্ককে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে এবং এশিয়ার শান্তি ও উন্নয়নের জন্য অবদান রাখবে।
|