v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-06-19 11:13:23    
ওয়াং ফেং ও তার গান

cri

    প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আপনারা চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান শুনছেন। আমি আ.বা.ম. ছালাউদ্দিন, সুদুর পেইচিং থেকে আপনাদের জানাচ্ছি একরাশ আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা। আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদের চীনের কন্ঠ শিল্পী ওয়াং ফেং-এর কয়েকটি গান শোনাবো এবং তাঁর সম্পর্কে কিছু কথা বলবো।

(সংগীত-১)

    ছোটবেলা থেকেই ওয়াং ফেং হাতে কলমে সংগীত শিক্ষা পেয়েছেন। পরবর্তিকালে তিনি চীনের কেন্দ্রীয় সংগীত ইন্সটিটিউটে ভর্তি হন এবং বেহালা ও ভাইয়ালা শেখায় মনোনিবেশ করেন। কিন্তু তিনি তার অন্যান্য সহপাঠিদের মতো, ক্লাসিক্যাল সংগীতের পথে যান নি। বরং তিনি ১৯৯৪ সালে 'বাউ চিয়া চিয়ে ৪৩ নম্বর' নামে একটি রক সংগীতদল গঠন করেছেন এবং সংগীতদলের প্রধান গায়িকা হিসেবে সংগীত পরিবেশন করে যাচ্ছেন নিয়মিতভাবে। বহু বছরের লেখাপড়ার মধ্য দিয়ে ওয়াং ফেং গভীর অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন। এর ফলে সংগীত সৃষ্টি ও পরিবেশনের সময় তিনি নিজের ইচ্ছামতই সুরের মধ্য দিয়ে নিজেকে তুলে ধরেছেন একজন শিল্পীর প্রতিরূপ হিসেবে। তার সংগীতে সব সময়ই সংস্কৃতির চিরকালীন আমেজ ও মানুষের চাওয়া পাওয়ার অন্তর্নিহিত অর্থ প্রকাশ পেয়েছে অবলীলায়। সুতরাং, অনুরাগীদের কাছে তার গানগুলো খুবই প্রিয় হয়ে উঠেছে।

    'বাউ চিয়া চিয়ে ৪৩ নম্বর' সঙ্গীতদল প্রতিষ্ঠার ৬ বছর পর, সংগীতের আরো বেশী উন্নয়নের লক্ষ্যে তার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ওয়াংফেং ১৯৯৯ সাল থেকে ওয়ার্নার রেকর্ড প্লেয়ার কোম্পানির সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন এবং নিজের পক্ষ থেকে সংগীত ক্ষেত্রের উন্নয়নে নিজেকে আরো সম্মৃক্ত করেন। ২০০০ ও ২০০২ সালে তিনি পর পর দুটো এলবাম প্রকাশ করেছেন। যদিও তিনি রক স্টাইলেই সংগীত সৃষ্টি ও পরিবেশন করতে পছন্দ করেন; তবে আগের চেয়ে এবারে তার সংগীতের ধারায় এসেছে কিছুটা নমনীয়তা। এর পাশা পাশি, অনুরাগীরা অনুভব করছে উষ্ণ উদ্দীপনা।

    সাধারণত, রক সঙ্গীত মানুষের ভেতর অনিয়ন্ত্রিত অনুভুতি এসে দেয়। কিন্তু ওয়াং ফেং-এর সঙ্গীত প্রমাণ করেছে যে, রক সঙ্গীত ও আবেগপূর্ণও এবং শ্রুতিমধুর হতে পারে। তিনি মনে করেন, রক সঙ্গীতের সত্যিকার শক্তি হচ্ছে তার অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য। এ ক্ষেত্রে শুধু দক্ষতা নয়। তার মানে, রক হচ্ছে এক ধরনের সঙ্গীত যা জীবনে এনে দেয় উপলব্ধি ও চিন্তার সুযোগ। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে শ্রোতারা তা শুনতে পছন্দ করে ও বুঝতে পারে এবং তাদের ভালো লাগে। আচ্ছা, তাহলে আসুন এক সঙ্গে রক সঙ্গীতের আকর্ষণশক্তি ও তার নিটোল উদ্দামতাকে আমরাও অনুভব করি-সুরের ধারায়।

(সংগীত-২)

    এ গানের কথাগুলো এমনঃ বৃষ্টির ধারায় তোমার চেহারা আমার মনে ধরা পড়েছে। যে অনুভূতি কতই না উষ্ণ ও দুঃখের। হঠাত্ করে সেই আগের মধূময় দিনে ফিরে যাওয়ার মতই। মনে পড়ে অনেকবার আমরা এক সাথে ঝর ঝর বৃষ্টির ভেতর হেঁটে বেড়িয়েছি। সে দৃশ্য, সে অনুভূতি কতই না রোমান্টিক ছিল। ঠিক যেন স্বপ্নের মতো। আজও আমার মনে পড়ে, আমরা বৃষ্টিতে একান্তে হুদয়ের স্পর্ষে আলিঙ্গন করেছি। বন্ধুরা, গানটিতে ওয়াং ফেং তার সহজ হৃদয়ানুভূতির স্মরণ ও অনুভূতি প্রকাশ করেছেন আবেগের মধ্য দিয়ে।

    ২০০৪ সালে ওয়াং ফেং তার তৃতীয় এলবাম প্রকাশ করেছেন। এলবামটিতে লোক সঙ্গীত, ব্রুস ও জ্যাজসহ বিভিন্ন সঙ্গীতের উপাদান মিশিয়েছেন। সব ধরনের রকের সঙ্গে মিশিয়ে ওয়াংফেং-একটি বিশেষ স্টাইলে তার যোগ্যতাকে দেখিয়েছেন। এখন আমরা এক সঙ্গে এলবামের প্রধান গান 'আরো উঁচু দিয়ে উড়ে যায়' শুনবো।

(সংগীত-৩)

    গানের কথা হলঃ যদি একেবারে মুক্ত হয়ে যেতে চাই, তাহলে প্রথমেই প্রলূদ্ধের জাল ছিন্ন করে বেড়িয়ে আসতে হবে মুক্ত আলোয়। আমি আমার জীবনকে আরো ঝকঝকে করতে চাই। আমি আমার আকাশকে আরো নীল দেখতে চাই। আমি জানি, যে সুখ আমি চাই, সে, আকাশ ছাড়িয়ে হয়তো মহাশুন্যে বিচরণ করে। আমি আরো আরো উঁচু সিঁড়ি বেয়ে উঠে যেতে চাই। শুন্যের অসীমে উড়ে যেতে চাই। ঠিক বুনো বাতাসের মতো নিজেকে ছড়িয়ে দিতে চাই।

    আচ্ছা, শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানের শেষ প্রান্তে এসে, তাহলে আমরা এক সঙ্গে ওয়াংফেং-এর সেই গান 'ষ্ফুরিত জীবন' শুনবো। এটা হচ্ছে ২০০৫ সালে ওয়াংফেং প্রকাশিত এলবামের প্রধান গান। ছন্দ, সুর ও লয়ের মধ্য দিয়ে শ্রোতারা সঙ্গীতের উজ্জ্বল পথের এক নির্ভীক ওয়াংফেংকে দেখতে পান। আচ্ছা, তাহলে আমরা তার গানের মধ্য দিয়ে তার জীবনের ষ্ফুরণকে অনুভব করি।

(সংগীত-৪)

    গানের বাণী হলঃ অনেকবার ইতো আমার দিশা হারিয়ে গেছে। অনেক বারইতো আমার স্বপ্ন ভেঙ্গে গেছে। এখন, আর আমি বিহ্বল হয়ে পড়ে থাকবোনা। আমি আমার জীবনকে মুক্ত আলোয় দেখতে চাই। আমি ষ্ফুরিত জীবন চাই। রংধনুর ওপরে দাঁড়িয়ে থাকার মতো, বিশেষ শক্তি দেখাতে চাই।

    সুপ্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, এতক্ষণ আমি আপনাদের জন্য ওয়াংফেং-এর গাওয়া কয়েকটি জনপ্রিয় গান শোনালাম। নিশ্চয়ই আপনাদের ভালো লেগেছে। বন্ধুরা, এ অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করেছেন আমার সহকর্মী খোং চিয়া চিয়া। আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ করছি। আগামী সপ্তাহে আবার কথা হবে। আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।