এখন গ্রীষ্মকাল। এ সময় প্রায় সবাই মিষ্টি ও ঠাণ্ডা তরমুজ খেতে পছন্দ করেন । কিন্তু বিশেষ কিছু রোগে আক্রান্ত লোকজন যদি বেশি তরমুজ খান , তাহলে তা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হবে । আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদের জন্য তরমুজ কম খাওয়া ভালো এমন লোকদের কথা বলবো । চলুন তাহলে শুরু করা যাক আজকের অনুষ্ঠানটি ।
১.ডায়াবেটিস রোগী : তরমুজের মধ্যে নানা ধরনের চিনির পরিমাণ ৫ শতাংশ রয়েছে । তরমুজ খাওয়ার পর শরীরের রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে যাবে । সাধারণ লোকজন নিজেদের শরীরের রাসায়নিক রূপান্তরের মাধ্যমে রক্তে চিনির পরিমাণ স্বাভাবিকরণ রাখতে সক্ষম । কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীরা যদি বেশি তরমুজ খান, তাহলে শরীরের রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে গিয়ে শরীরের স্বাভাবিক হজম শক্তিকে নষ্ট করবে । এ জন্য ডায়াবেটিস রোগীদের তরমুজ কম বা না খাওয়াই ভালো । যদি গ্রীষ্মকালে ডায়াবেটিস রোগীরা তরমুজ খান, তাহলে অব্যশই তাদের অন্য খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে । যাতে রোগের গুরুতর প্রভাব এড়ানো যায় ।
২. কিডনী রোগী : কিডনী রোগীদের শরীরের সৃষ্টদূষিত পানি রূপান্তরের সামর্থ্য সাধারণ লোকজনের চেয়ে কিছুটা কম । যদি বেশি তরমুজ খান এবং শরীর অতিরিক্ত পানি গ্রহণ করে এবং যথাসময়ে তা রূপান্তর করতে না পারার জন্য কিডনীর চাপ বেড়ে যাবে । তাই কিডনী রোগীদের তরমুজ না যথাসম্ভব খাওয়াই ভালো ।
ঠাণ্ডায় আক্রান্ত রোগী এবং মুখে ব্রন বা স্বেত রোগী : তরমুজ খাওয়ার পর শরীরে বেশি প্রস্নাবের সৃষ্টি করবে । ঠাণ্ডায় আক্রান্ত রোগীদের বেশি তরমুজ খাওয়ার পর সর্দি গুরুতর হবে এবং মুখের রোগ বেশি খাওয়ার পর বেড়ে যাবে । প্রয়োজনীয় পানি দ্রুত নিসরিত না হওয়ার ফলে মুখের রোগ দীর্ঘায়ীত হবে ।
তা ছাড়া, খাবার খাওয়ার আগে এবং পরে বেশি তরমুজ খাওয়াও ভালো না । কারণ তরমুজের মধ্যে পানীয় উপাদান পাকস্থলীর রাসায়নিক রসকে তরল করে দেবে । খাবারে আগে বা পরে খাওয়া পাকস্থলীর স্বাভাবিক সামর্থ্যের জন্য অসহায়ক হবে । বিশেষ করে শিশু বা গর্ভবতীদের জন্য পুষ্টির উপাদান গ্রহণে যথেষ্ট ক্ষতিকর হবে । কিন্তু যদি আপনারা স্লিম হতে চান ,তাহলে খাবার খাওয়ার আগে তরমুজ খাওয়া ভালো ।
যদিও গ্রীষ্মকালে আবহাওয়া অনেক গরম ,তখন ঠাণ্ডা তরমুজ খাওয়া আমাদের অনেক আরামদায়ক লাগবে ,কিন্তু বেশি ঠাণ্ডা তরমুজ খেলে শরীরের পাকস্থলীর জন্য অনেক ক্ষতিকর হবে । তরমুজ খাওয়ার সবচেয়ে ভালো তাপমাত্রা হবে ৮ বা ১০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড । প্রতিবার ৫০০ গ্রামের চেয়ে কম পরিমাণের তরমুজ খাওয়া সবচেয়ে ভালো এবং আস্তে আস্তে তা খেলে উপকার পাবেন । দাঁত ব্যথা এবং পাকস্থলী রোগীদের জন্য ঠাণ্ডা তরমুজ না খাওয়াই ভালো।
|