v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-06-20 20:52:00    
তরমুজ কম খাওয়া ভালো এমন লোকদের কথা(ছবি)

cri
    এখন গ্রীষ্মকাল। এ সময় প্রায় সবাই মিষ্টি ও ঠাণ্ডা তরমুজ খেতে পছন্দ করেন । কিন্তু বিশেষ কিছু রোগে আক্রান্ত লোকজন যদি বেশি তরমুজ খান , তাহলে তা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হবে । আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদের জন্য তরমুজ কম খাওয়া ভালো এমন লোকদের কথা বলবো । চলুন তাহলে শুরু করা যাক আজকের অনুষ্ঠানটি ।

    ১.ডায়াবেটিস রোগী : তরমুজের মধ্যে নানা ধরনের চিনির পরিমাণ ৫ শতাংশ রয়েছে । তরমুজ খাওয়ার পর শরীরের রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে যাবে । সাধারণ লোকজন নিজেদের শরীরের রাসায়নিক রূপান্তরের মাধ্যমে রক্তে চিনির পরিমাণ স্বাভাবিকরণ রাখতে সক্ষম । কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীরা যদি বেশি তরমুজ খান, তাহলে শরীরের রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে গিয়ে শরীরের স্বাভাবিক হজম শক্তিকে নষ্ট করবে । এ জন্য ডায়াবেটিস রোগীদের তরমুজ কম বা না খাওয়াই ভালো । যদি গ্রীষ্মকালে ডায়াবেটিস রোগীরা তরমুজ খান, তাহলে অব্যশই তাদের অন্য খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে । যাতে রোগের গুরুতর প্রভাব এড়ানো যায় ।

    ২. কিডনী রোগী : কিডনী রোগীদের শরীরের সৃষ্টদূষিত পানি রূপান্তরের সামর্থ্য সাধারণ লোকজনের চেয়ে কিছুটা কম । যদি বেশি তরমুজ খান এবং শরীর অতিরিক্ত পানি গ্রহণ করে এবং যথাসময়ে তা রূপান্তর করতে না পারার জন্য কিডনীর চাপ বেড়ে যাবে । তাই কিডনী রোগীদের তরমুজ না যথাসম্ভব খাওয়াই ভালো ।

    ঠাণ্ডায় আক্রান্ত রোগী এবং মুখে ব্রন বা স্বেত রোগী : তরমুজ খাওয়ার পর শরীরে বেশি প্রস্নাবের সৃষ্টি করবে । ঠাণ্ডায় আক্রান্ত রোগীদের বেশি তরমুজ খাওয়ার পর সর্দি গুরুতর হবে এবং মুখের রোগ বেশি খাওয়ার পর বেড়ে যাবে । প্রয়োজনীয় পানি দ্রুত নিসরিত না হওয়ার ফলে মুখের রোগ দীর্ঘায়ীত হবে ।

    তা ছাড়া, খাবার খাওয়ার আগে এবং পরে বেশি তরমুজ খাওয়াও ভালো না । কারণ তরমুজের মধ্যে পানীয় উপাদান পাকস্থলীর রাসায়নিক রসকে তরল করে দেবে । খাবারে আগে বা পরে খাওয়া পাকস্থলীর স্বাভাবিক সামর্থ্যের জন্য অসহায়ক হবে । বিশেষ করে শিশু বা গর্ভবতীদের জন্য পুষ্টির উপাদান গ্রহণে যথেষ্ট ক্ষতিকর হবে । কিন্তু যদি আপনারা স্লিম হতে চান ,তাহলে খাবার খাওয়ার আগে তরমুজ খাওয়া ভালো ।

    যদিও গ্রীষ্মকালে আবহাওয়া অনেক গরম ,তখন ঠাণ্ডা তরমুজ খাওয়া আমাদের অনেক আরামদায়ক লাগবে ,কিন্তু বেশি ঠাণ্ডা তরমুজ খেলে শরীরের পাকস্থলীর জন্য অনেক ক্ষতিকর হবে । তরমুজ খাওয়ার সবচেয়ে ভালো তাপমাত্রা হবে ৮ বা ১০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড । প্রতিবার ৫০০ গ্রামের চেয়ে কম পরিমাণের তরমুজ খাওয়া সবচেয়ে ভালো এবং আস্তে আস্তে তা খেলে উপকার পাবেন । দাঁত ব্যথা এবং পাকস্থলী রোগীদের জন্য ঠাণ্ডা তরমুজ না খাওয়াই ভালো।