v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-06-18 21:40:51    
আব্বাস ও হামাসের প্রতিদ্বন্দ্বিতা উত্তেজনকের হয়েছে

cri
    ফিলিস্তিন জরুরী সরকার ১৭ জুন দুপুরে জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের রামাল্লাহ শহরে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কাছে শপথ গ্রহণ করেছে। একই দিন আব্বাস প্রেসিডেন্টের বিবৃতিতে হামাসকে অবৈধ সামরিক শক্তি বলে ঘোষণা করেছেন। বিশ্লেষকরা মনে করেন যে, এই পদক্ষেপ থেকে দেখা যায় যে আব্বাস হামাসকে ছেড়ে দিয়ে নতুন কতৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করতে চান।

    এর আগে দিন ১৬ তারিখে আব্বাস বিশেষ প্রেসিডেন্ট আদেশ দিয়েছেন। এই আদেশ হামাস নিয়ন্ত্রিত আইন সভা এড়িয়ে গিয়ে সালাম ফাইয়েদের নেতৃত্বাধীন জরুরী সরকার গঠনের জন্য পথ সুগম করেছে। ১৭ জুন গঠিত জরুরী সরকার জরুরী অবস্থা সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী জর্দান নদীর পশ্চিম তীর ও গাজা অঞ্চলে সার্বিক শাসন বাস্তাবয়ন করতে পারে। তাতে সারা দেশের জরুরী অবস্থার সময়সূচী নিয়ন্ত্রণ করা এবং হামাসের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চালানোর সময় আব্বাস সুবিধা পাবেন।

    জরুরী সরকার গঠনের পর যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অধিকাংশ আরব দেশের সমর্থন পেয়েছে। আগে হামাসের বিরুদ্ধে শাস্তি দেয়া দেশগুলো এখন নতুন সরকারকে সাহায্য দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। তাতে বোঝা যায় যে, ভবিষ্যতে জরুরী সরকারের নীতি ও শাসন উপরোল্লেখিত দেশগুলোর আর্থিক সাহায্য পাবে। তা নিশ্চয়ই বর্তমান হামাসের অবস্থার চেয়ে ভাল হবে।

    হামাসের সামরিক শাখা অবৈধ শক্তি বলে আব্বাসের ঘোষণা হলো হামাসের বিরুদ্ধে আরেকটি আঘাত। আব্বাসের দেয়া প্রেসিডেন্ট আদেশে বলা হয়েছে, হামাসের ইজ আ দিন আল-কুয়াসাম ব্রিগেডস গাজা অঞ্চলে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে যা ফিলিস্তিনের আইন ও সংবিধানের লংঘন । আব্বাস এই সংস্থার অবৈধতা ঘোষণা করেছেন এবং জরুরী আইন অনুযায়ী এই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শাস্তি দেয়ার কথাও ঘোষণা করেন। বিশ্লেষকরা মনে করেন, আব্বাস এই সুযোগে ফিলিস্তিনের সামরিক ক্ষমতা দিয়ে দেশকে নিয়ন্ত্রণের অবস্থা পরিবর্তন করতে চান। তিনি মনে করেন সামরিক ক্ষমতা দিয়ে দেশকে নিয়ন্ত্রণ করা হলো ফিলিস্তিনের বিছিন্ন হওয়ার একটি প্রধান কারণ।

    রামাল্লাহ'র কিছু ব্যক্তি'র কাছ থেকে জানা গেছে, জরুরী সরকার গঠনের পর আব্বাস হামাসের সঙ্গে সংলাপ চালাতে অস্বীকার করবেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে তিনি সংশ্লিষ্ট দেশের কাছে গাজা অঞ্চলের নিষেধাজ্ঞা জোরদার করার জন্যও চেষ্টা চালাবেন যাতে হামাস আপোসে আসে। এই প্রস্তাব ইসরাইল ও মিশরের সমর্থন পেয়েছে। জানা গেছে, আব্বাস ইতোমধ্যে হামাসের পুলিট ব্যুরোর পরিচালকদের বৈঠক করার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। আব্বাসের একজন সহকারী জানান, হামাস শুধু তার বাহিনী ভেঙ্গে দিয়ে ফিলিস্তিনী নিরাপত্তা বাহিনী গাজায় মোতায়েনের পর দু'পক্ষের মধ্যে বৈঠক করা সম্ভব হবে।

    বর্তমানে হামাস জরুরী সরকারকে অবৈধ বলে তাকে অস্বীকার করছে। এবং তার সঙ্গে সহযোগিতা না করার মত প্রকাশ করেছে। তাছাড়া, আব্বাস হামাসের সামরিক শক্তিকে অবৈধ বলে যে ঘোষণা করেছেন হামাসের মুখপাত্র সামি আবু জুহরি বলেন, হামাস ফিলিস্তিনী জনগণের বরাবরই সমর্থন পায়। হামাসের প্রতিরোধ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

    বিশ্লেষকদের মতে ফিলিস্তিনের দুটি প্রধান সম্প্রদায়ের এবারের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফাতাহ সুবিধা পেয়েছে। বিশেষ করে জরুরী সরকার গঠনের ব্যাপারে তারা সারা বিশ্বের সমর্থন পেয়েছে। কিন্তু শাসনের ব্যাপারে হামাস মাত্র নিজের স্থান স্থাপন করেছে তারা সহজই আপোস করবে না। তাই দেখা যায়, এই ব্যাপারে দু'পক্ষের মধ্যে আরো তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।