সুপ্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা বিভাগের পক্ষ থেকে আমি আবাম ছালাউদ্দিন আপনাদের প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আজকের ক্রীড়া জগত।
বন্ধুরা, পেইচিং অলিম্পিক গেমসের প্রস্তুতি ও আয়োজন পেইচিং ও চীনের নাগরিকদের ইতিবাচক সমর্থনের সঙ্গে সম্পর্কিত। সম্প্রতি পেইচিং হোটেল ও গুইবিংলৌ ফ্রেন্ডশীপ হোটেল আনুষ্ঠানিকভাবে 'অলিম্পিক পরিবারের সদর দফতর হোটেলগুলোর' সদস্যে পরিণত হয়েছে। পেইচিং অলিম্পিক গেমস ২০০৮'র সময় এ দু'টি হোটেল হবে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিশনের কর্মকর্তাদের পেইচিংয়ে কার্যক্রম ও পরিচালনার ক্ষেত্রে, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদেরকে পেইচিং গুইবিংলৌ ফ্রেন্ডশীপ হোটেলের দু'জন সাধারণ কর্মচারীর সঙ্গে পরিচয় কারায় দেবো। আমরা দেখবো তাঁরা কিভাবে অলিম্পিক গেমসের জন্য সেবা করেন।
(রে ১)
'প্রিয় বন্ধুরা, আমি পেইচিং গুইবিংলৌ ফ্রেন্ডশীপ হোটেলের একজন রাঁধুনি। আমার নাম চং সিন। আমার কাজ হল মিষ্টি জাতীয় খাবার রান্না করা।'
(রে ২)
'প্রিয় বন্ধুরা, আমার নাম লি ওয়েই। আমি গুইবিংলৌ ফ্রেন্ডশীপ হোটেলের অভ্যর্থনাকক্ষের ম্যানেজার। আমার কাজ হল অতিথিদের হোটেলের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা রক্ষী করা। আমরা অতিথিদের পথপ্রদর্শক, সচিব ও সহকারী। আমরা তাঁদের জন্য পেইচিং ভ্রমণের কর্মসূচী প্রণয়ন করতে পারি।'
৩৮ বছর বয়সী চং সিন ১৯৮৬ সালে পেইচিং ছিয়ানমেন হাইস্কুল থেকে স্নাতকের পর, গুইবিংলৌ ফ্রেন্ডশীপ হোটেলে অংশ নিয়ে একজন মিষ্টি খাবার রাঁধুনিতে পরিণত হয়েছেন। ২০০৬ সাল হল গুইবিংলৌ ফ্রেন্ডশীপ হোটেলের 'অলিম্পিক গেমস উপলক্ষে প্রযুক্তি প্রতিযোগিতার বছর'। এ বছরে তিনি নিজের তৈরী 'বসন্তকালে উষ্ণ হয়ে ফুল ফুটেছে' নামক মিষ্টি নিয়ে পেইচিং গুইবিংলৌ ফ্রেন্ডশীপ হোটেলের প্রযুক্তি গেমসের মিষ্টি তৈরীর প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন। পেইচিং অলিম্পিক গেমস সম্পর্কে তিনি বলেছেন, পেইচিংয়ের একজন নাগরিক হিসেবে আমি খুব গর্ব অনূভব করি। তিনি বলেছেন,
(রে ৩)
'আমি বিশ্বাস করি, ২০০১ সালে সফলভাবে পেইচিং অলিম্পিক গেমসের আয়োজনের আবেদনের সময়ে প্রতিটি চীনা নাগরিকের অনেক আনন্দ লাগে ও গর্ব হয়। আমাদের হোটেল অলিম্পিক গেমস ২০০৮'র সদর দফতর হোটেলে পরিণত হওয়ার সময় আমার ছয় বছরের আগের সে সময়ের মতই আনন্দ ও গর্ব লাগে। পাশাপাশি আমার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব বুঝতে পেরেছি। কারণ, রান্নার কাজ হবে অলিম্পিক গেমসের সেবা কাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমি নিজের প্রযুক্তি উন্নয়নের চেষ্টা করবো। আমি আরো সুস্বাদু খাবার রান্না করে অতিথিদেরকে সেবা করবো।'
চং সিন বলেছেন, গুইবিংলৌ ফ্রেন্ডশীপ হোটেল রাঁধুনিদেরকে অলিম্পিক গেমস ২০০৮'র সময় উদ্যগী হওয়ার করার উত্সাহ দেয়। তিনি বলেছেন, কেক তৈরীর মূল উদ্দেশ্য হবে অলিম্পিক গেমসের আনন্দের কথা জানানো। তিনি বলেছেন,
(রে ৪)
'এসব মিষ্টির উপকরণ স্বাভাবিক, কিন্তু আমরা আকার থেকে আনন্দের পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করবো।'
চং সিন আন্তরিকভাবে আশা করেন, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের বন্ধুরা পেইচিং এসে অলিম্পিক গেমস ২০০৮ দেখবেন। তখন তিনি অতিথিদের সুস্বাদু খাবার রান্না করবেন। তিনি বলেছেন,
(রে ৫)
'অলিম্পিক গেমস ২০০৮ আয়োজন উপলক্ষে আমি বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের বন্ধুদেরকে পেইচিংয়ে এসে অলিম্পিক গেমস দেখার জন্য স্বাগত জানাই। আমি সুস্বাদু খাবার তৈরী করে চীনের খাদ্য সংস্কৃতি দেখাবো। আমি আন্তরিক সেবা দিয়ে আপনাদেরকে পরিবারের অনুভূতি দেবো।'
অভ্যর্থনাকক্ষের কাজ হল অতিথিদেরকে বিভিন্ন ক্ষেত্রের সমস্যা সমাধানের সাহায্য দেয়া। গুইবিংলৌ ফ্রেন্ডশীপ হোটেলের অভ্যর্থনাকক্ষের ম্যানেজার লি ওয়েই ১৯৯২ সালে গুবিংলৌ ফ্রেন্ডশীপ হোটেলে অংশ নেন। ২০০৩ সাল থেকে তিনি চার বছরে অভ্যর্থনাকক্ষের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি অব্যাহতভাবে আন্তরিক সেবা দেয়ার নীতিতে অবিচল রয়েছেন। তিনি বলেছেন, গুইবিংলৌ ফ্রেন্ডশীপ হোটেল 'অলিম্পিক পরিবারের সদর দফতরের হোটেলে' পরিণত হওয়ায় তিনি খুবই গর্ব করেন। তিনি বলেছেন, এর ফলে সকল কর্মচারী উত্সাহিত হবে। তিনি বলেছেন,
(রে ৬)
'আমরা সবসময় আমাদের অতিথিদেরকে বলি, আমাদের হোটেল এখন অলিম্পিক পরিবারের এক সদস্য। আমরা খুবই গর্ব করি। আমাদের অতিথিরাও আমাদের হোটেলে থাকার জন্য গর্ব করেন।'
লি ওয়েই বলেছেন, গুইবিংলৌ ফ্রেন্ডশীপ বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্যায়ের হোটেল হিসেবে এর পরিচালনা খুবই কড়াকড়ি। হোটেল তার কর্মচারীদেরকে প্রযুক্তির পর্যায় উন্নয়নের চেষ্টা করার অনুরোধ জানায়। যাতে অলিম্পিক গেমস ২০০৮'র সময় ভালভাবে অতিথিদেরকে সেবা করা যায়। তিনি মনে করেন, ভাষা হল বিদেশী অতিথিদের সঙ্গে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ সেতু। এছাড়া, আমাদের উচিত অতিথিদেরকে পেইচিং ভ্রমণ সংশ্লিষ্ট বর্ণনার দলিলপত্র সরবরাহ করা। তিনি বলেছেন,
(রে ৭)
'আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিশনের বেশির ভাগ কর্মকর্তা ফ্রেন্চ ভাষা পড়েন। সেজন্য আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হবে ফ্রেন্চ ভাষা শেখা। এর মাধ্যমে ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিশনের কর্মকর্তাদেরকে সেবার সময় আমাদের জন্য ভাষা কোনো বাধা হবে না। এছাড়া, আমরা পেইচিংয়ে ভ্রমণ, পরিবহন, বিনোদন এবং পেইচিংয়ের প্রাচীন সংস্কৃতির দলিলপত্র সংগ্রহের চেষ্টা করবো।'
লি ওয়েই মনে করেন, চলতি বছরে পেইচিং পরিণত হচ্ছে। যেমন পেইচিংয়ের গণ পরিবহন ব্যবস্থা আরো সুবিধাজনক ও নাগরিকদের পরিবেশ সুরক্ষার চেতনা আরো জোরদার হচ্ছে এবং বহু নাগরিক ইতিবাচকভাবে অলিম্পিক গেমস ২০০৮'র স্বেচ্ছাসেবকের জন্য আবেদন করেন। তিনি বলেছেন, অলিম্পিক গেমসের আয়োজন চীনের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে। তিনি আশা করেন, নিজেরা আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়ে পেইচিংয়ের প্রতিটি অতিথিকে সেবা করবো। আমরা একসাথে পেইচিং অলিম্পিক গমেস ২০০৮'র আয়োজন প্রত্যাশা থাকলাম।
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের ক্রীড়া জগত এখানে শেষ হল, শোনার জন্যে ধন্যবাদ। আপনারা ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, আবার কথা হবে।
|