v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-06-18 16:05:31    
নেপালের কাঠমুন্ডু বিশ্ববিদ্যালয়ে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা হবে

cri

    ২০০৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে চীনা ভাষা জনপ্রিয় করা সংক্রান্ত চীনের জাতীয় কার্যালয় এবং কাঠমুন্ডু বিশ্ববিদ্যালয় কাঠমুন্ডু বিশ্ববিদ্যালয়ে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। নেপালে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত সুন হো পিং ও কাঠমুন্ডু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাম্মার এই চুক্তি স্বাক্ষর করেন। নেপালের শিক্ষা ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব স্যুই পা থি, নেপাল ও চীনের আর্থ-বাণিজ্যিক সমিতির চেয়ারম্যান অনুপ, নেপালের সংস্কৃতি ও শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা, সংবাদাদাতা ও বিভিন্ন মহলের ব্যক্তিসহ ৪০জনেরও বেশি লোক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

    রাষ্ট্রদূত সুন হো পিং তার ভাষণে কাঠমুন্ডু বিশ্ববিদ্যালয়ে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার জন্যে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। দু'দেশ রাজনীতি, অর্থনীতি, বাণিজ্য ও সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈচিত্র্যময় ও ফলপ্রসু বিনিময় ও সহযোগিতা চালাচ্ছে। বর্তমান পৃথিবীতে ভিন্ন সভ্যতা ও সংস্কৃতির মধ্যে সংলাপ রাষ্ট্র রাষ্ট্র সম্পর্কের বিকাশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কাঠমুন্ডু বিশ্ববিদ্যালয়ে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠা হচ্ছে চীন ও নেপালের ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সার্বিক উন্নয়নের প্রতীক।

    তিনি বিশ্বাস করেন, দু'পক্ষের যৌথ প্রচেষ্টায় কাঠমুন্ডু বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট চীন ও নেপালের জনগণের মধ্যে বিনিময় এবং মৈত্রী উন্নত করার একটি সেতুতে পরিণত হবে। এর পাশাপাশি নেপালের জনগণের চীনের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি জানা এবং দু'দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময় ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। তিনি চীন ও নেপালের সংস্কৃতি ও শিক্ষার বিনিময় জোরদার করার লক্ষ্যে দু'পক্ষের প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

    উপাচার্য সাম্মার বলেছেন, নেপালের সংস্কৃতি ও শিক্ষা ক্ষেত্রে কাঠমুন্ডু বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠার মাইলফলকের তাত্পর্য রয়েছে এবং নেপালীদের চীনা ভাষা শিক্ষা বাস্তবায়নের প্রথম পদক্ষেপ। তিনি আরো বলেছেন, কাঠমুন্ডু বিশ্ববিদ্যালয়ে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠা থেকে প্রমাণিত হয়েছে, নেপাল চীনের সঙ্গে পারস্পরিক সমঝোতা ও সম্মান ত্বরান্বিত করার জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টা চালাতে ইচ্ছুক। ইনস্টিটিউট নেপাল-চীন সাংস্কৃতিক বিনিময়ের একটি প্ল্যাটফর্মে হতে ইচ্ছুক। তিনি দু'দেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং চীনের দূতাবাসকে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার সমর্থনে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

    চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে চীনের রাষ্ট্রদূত সু হো পিং ও উপাচার্য সাম্মার কাঠমুন্ডু বিশ্ববিদ্যালয়ে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট সম্পর্কে সংবাদদাতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

    কাঠমুন্ডু বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট হচ্ছে বিদেশে চীনের গড়ে তোলা ৩৪তম কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট।

    জানা গেছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দক্ষিণ এশিয়ায় চীনা ভাষা শিখা লোকের সংখ্যা ধাপে ধাপে বাড়ছে। কাঠমুন্ডু বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, এই কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে চীনা ভাষা জনপ্রিয় করা সংক্রান্ত চীনের জাতীয় কার্যালয়ের নির্দেশনায় হো বেই আর্থ-বাণিজ্য বিশ্ববিদ্যালয় চীনা ভাষা শিক্ষা কার্যক্রম ও সাংস্কৃতিক বিনিময় তত্পরতার বন্দোবস্তু করছে। এই ইনস্টিটিউট হবে নেপালের প্রথম কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট। পরে এই কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট চীনা ভাষা শিক্ষা কার্যক্রম ও চীনের সংস্কৃতি জনপ্রিয় করার একটি কেন্দ্রে পরিণত হবে।

    ১৬ মে এই কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট চীনের আনুষ্ঠানিক অনুমোদনে বিভিন্ন প্রস্তুতির কাজ পুরোদমে চলছে। হো বেই আর্থ-বাণিজ্য বিশ্ববিদ্যালয় নেপালে চীনা ভাষা শিক্ষা ও কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার কাজ চালানোর জন্য দুজন শিক্ষক পাঠাবে। জানা গেছে, কাঠমুন্ডু বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের নাম ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠান ১৩ জুন অনুষ্ঠিত হবে। নেপালের শিক্ষামন্ত্রী ও নেপালে চীনের রাষ্ট্রদূত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।

    এ পর্যন্ত বিশ্বে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের সংখ্যা ১২০টিরও বেশি। বিভিন্ন স্থানের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক তত্পরতা চালাচ্ছে। এসব ইনস্টিটিউট নিজস্ব শিক্ষার বিশেষ পদ্ধতি উন্নত করেছে এবং বিভিন্ন দেশের চীনা ভাষা শিক্ষা এবং চীনকে জানার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পরিণত হয়েছে।

    জানা গেছে, ২০১০ সাল পর্যন্ত চীন বিশ্বে ৫০০টি কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট গড়ে তুলবে।