১৪ জুন চীন" আবহাওয়ার পরিবর্তন মোকাবেলা করার বিশেষ বৈজ্ঞানিক কার্যক্রম"শিরোনামে একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে । যাতে আবহাওয়ার পরিবর্তন মোকাবেলার বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও প্রযুক্তির উন্নয়ন সমন্বিত করা যায় এবং সার্বিকভাবে আবহাওয়ার পরিবর্তন মোকাবেলার বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত ক্ষমতা বাড়ানো যায় । চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওয়ান কাং এ দিন বলেছেন , যখন গ্রীন হাউসের নিঃসরণ অনেক বেড়ে যায় তখন চীন তা কমিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালাবে শুধু তা নয় । বরং মানুষ ও প্রকৃতির সুষম উন্নয়ন বাস্তবায়নের জন্য উন্নয়নের মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করবে । তিনি উল্লেখ করেছেন , শিল্পোন্নত দেশগুলো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে পরিবেশ রক্ষা ও জ্বালানী শক্তি সম্পর্কিততার শিল্পপ্রতিষ্ঠানের নতুন কলাকৌশল হস্তান্তরকেসমর্থন করবে ।
চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের তথ্য বিভাগের এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওয়ান কাং পরিকল্পনাটি সম্পর্কেব্যাখ্যা করেছেন এবং ধারাবাহিক লক্ষ্য উত্থাপন করেছেন । তিনি বলেছেন , ২০২০ সাল নাগাদ আবহাওয়া পরিবর্তন ক্ষেত্রে উদ্ভাবনের ক্ষমতা বিপুলমাত্রায় বাড়ানো হবে । গ্রীন হাউসের নিঃস্বরণ নিয়ন্ত্রণ ও আবহাওয়া পরিবর্তন প্রশমিত করা যায় এমন কিছু মেধাস্বত্বসম্পন্ন প্রধান কলাকৌশলের ব্যাপারেওঅগ্রগতি হবে এবং ব্যাপকভাবে তা কাজে লাগানো হবে । আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেগুরুত্বপূর্ণ শিল্প ক্ষেত্র এবং দুর্বল অঞ্চলের খাপখাওয়ানের ক্ষমতা স্পষ্টভাবে বেড়ে যাবে । আবহাওয়া পরিবর্তনের সহযোগিতায় অংশ নেয়া এবং গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগতনীতি প্রণয়নের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত শক্তি স্পষ্টভাবে উন্নত হবে । আবহাওয়া পরিবর্তন সম্পর্কিত বিষয় গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিরাট অগ্রগতি লাভ করবে এবং আবহাওয়া পরিবর্তন সম্পর্কে জনসাধারণের বৈজ্ঞানিক চেতনা বেড়ে যাবে ।
উপরোল্লেখিত লক্ষ্যগুলোবাস্তবায়নের জন্য চীন আবহাওয়ার পরিবর্তন মোকাবেলার বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত কাজে অর্থ বিনিয়োগ ও দক্ষমানুষের সংখ্যা বাড়িয়ে দেবে এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করে আন্তর্জাতিক প্রযুক্তির হস্তান্তর ত্বরান্বিত করবে । ওয়ান কাং বলেছেন , তিনি আশা করেন , শিল্পোন্নত দেশগুলো তাদের শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে সমর্থন করবে , পরিবেশ ও জ্বালানী শক্তি ক্ষেত্রে তাদের কলাকৌশল উন্নয়নশীল দেশগুলোকে দেবে । যাতে উন্নয়নশীল দেশগুলো তা কিনতে ও ব্যবহার করতে সক্ষম হয় ও যৌথভাবে একটি নির্ভেজালউন্নয়নের পথ বেয়ে চলতে পারে ।
বর্তমানে চীনের জিডিপি জ্বালানী শক্তির ব্যয় এবং গ্রীন হাউসের নিঃসরণে কমে যাওয়ার প্রবনতা দেখা দিয়েছে । কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে গ্রীন হাউসের মোট নিঃসরণ পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে । বিংশ শতাব্দীর ৯০-এর দশকে চীন আবহাওয়া পরিবর্তন সম্পর্কিত কিছু প্রকল্প চালু করেছে । শুধু ২০০৬ সালে চীন এ ক্ষেত্রে মোট ৪৬০ কোটি রেনমিনপি বরাদ্দ করেছে ।
চীনে গাড়ি শিল্প সহ বেশ কিছু শিল্পপ্রতিষ্ঠান জ্বালানী শক্তি সাশ্রয় ও পরিবেশ রক্ষা এবং নিঃসরণ কমিয়ে দেয়ার কাজে অংশ নিয়েছে । ওয়ান কাং জানিয়েছেন , এখন চীনের বড় বড় গাড়ী শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো জ্বালানী শক্তি সাশ্রয় এবং নতুন জ্বালানী শক্তি চালিত গাড়ি উত্পাদন করাকে উন্নয়নের কৌশলগত নীতি হিসেবে গ্রহণ করেছে ।
ওয়ান কাং বলেছেন , জ্বালানী শক্তি সাশ্রয় করে পরিবেশ রক্ষা ও নিঃসরণ কমিয়ে দেয়া সহ প্রগতিশীল কলাকৌশল সমাজ উন্নয়নের প্রয়োজন । এইসব প্রগতিশীল কলাকৌশল উন্নয়ন করা হলে প্রতিদান পাওয়া যাবে । আমাদের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো শিল্পোন্নত দেশগুলোর শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে গবেষণা চালাবে বলেও আমি আশা করি ।
অতীতে আবহাওয়া মোকাবেলায় চীনের বৈজ্ঞানিক কার্যক্রমে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদের কৌশলগত পরিকল্পনা দুর্বল ছিল ," বিশেষ বৈজ্ঞানিক কার্যক্রম" পরিকল্পনাটি তার পরিবর্তন করেছে ।
|