১৩ জুন রাতে লেবাননের সরকার পন্থী সাংসদ ওয়ালিদ ইদো রাজধানী বৈরুতের পশ্চিমাঞ্চলে গাড়ি বোমা হামলা শিকার হয়ে দশ জনের সঙ্গে ঘটনাস্থলে মারা গেছেন। লেবাননের নেতৃবৃন্দ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পৃথক পৃথকভাবে এই সহিংস ঘটনার নিন্দা করেছে।
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী ফৌয়াদ সিনিওরা একই দিন রাতে ঘোষণা করেছেন, ১৪ জুন জাতীয় শোক দিবস। লেবাননের প্রেসিডেন্ট এমিলি লাহুদ বলেছেন, বিভিন্ন পক্ষ লেবাননের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানের সন্ধিক্ষণে এই সহিংস তত্পরতা ঘটেছে। ফলে লেবাননের সকল নেতৃবৃন্দ লেবাননের পুনরেকীকরণ রক্ষার জন্য অবস্থান ঐক্যবদ্ধ করার দাবি জানায়। লেবাননের স্পীকার নবিন বারি বলেছেন, কেউ সাংগঠনিক সহিংসা ও অপরাধ তত্পরতার মাধ্যমে লেবাননকে যুদ্ধ বা দাঙ্গাহাঙ্গামা পরিস্থিতিতে ফেলে দিতে পারে না।
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন এক বিবৃতিতে লেবাননের জনগণকে সন্ত্রাসের সামনে সংহতি বদ্ধ হয়ে বাস্তব অভিযানের মাধ্যমে লেবানন সরকারের নেতৃবৃন্দকে সমর্থন দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। যাতে এই দেশের সম্মুখীন নানা রাজনৈতিক সমস্যা সমাধান সম্ভব হয়।
ই.ইউর পালাক্রমিক রাষ্ট্রপতি দেশ জার্মানীর প্রকাশিত বিবৃতিতে সংশ্লিষ্ট পক্ষ শীগগিরি এই ঘটনা তদন্ত করে অপরাধীকে আইন অনুযায়ী শাস্তি দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
|