ঘুম হচ্ছে আমাদের জীবনের একটি প্রয়োজনীয় অংশ । আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদের ঘুমের সঠিক ভঙ্গির কথা বলবো ।
অধিকাংশ লোকজনেরই ঘুমানোর সময় একটি নিয়মিত ভঙ্গি রয়েছে । পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, ৬৫ শতাংশ লোক সবসময় এক পাশে কাত হয়ে শুয়ে থাকে। ৩০ শতাংশ লোক চিত্ হয়ে শুয়ে থাকে এবং ৫ শতাংশ লোক উপুর হয়ে শুয়ে থাকে । গবেষণা থেকে জানা গেছে, সঠিক ঘুমানোর পদ্ধতি এবং শরীরের মেরুদণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য সহায়ক পদ্ধতি হল প্রধানত চিত্ হয়ে শুয়ে থাকা এবং যুক্তিযুক্তভাবে বাম বা ডান দিকে কাত হয়ে শুয়ে থাকা । এ ছাড়া , উপুর হয়ে শুয়ে থাকাসহ বিভিন্ন ভঙ্গি শরীরে মেরুদণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর । যেমন কিছু লোক উপুর হয়ে শুয়ে থাকতে পছন্দ করে। দীর্ঘকাল ধরে তা করলে সহজভাবেই মেরুদণ্ডের রোগসহ মাথা ব্যথা, চোখ, কান ও নাকের রোগেও আক্রান্ত হয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। নারীরা সন্তানের সঙ্গে ঘুমানোর সময় সহজভাবে শিশুদের কাছে দিক কাত হয়ে শুয়ে থাকে,তাও ভালো নয় । যদি বালিশের উচ্চতা অতি উঁচু হয় এবং দীর্ঘদিন এ ধরনের বালিশ ব্যবহার করলেও মেরুদণ্ডের ক্ষতি করবে । তাহলে কিভাবে ঘুমানো উচিত এবং শরীরের জন্য তা সহায়ক কি?
১. মেরুদণ্ডের স্বাস্থ্যের ওপর গুরুত্ব দেয়া : মেরুদণ্ডের যথেষ্ট ও যুক্তিযুক্ত বিশ্রাম হচ্ছে ভালো ঘুমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ । মেরুদণ্ড অসুস্থ্য হলে ,শরীরের অনেক অংশেই ভাগ অসুস্থ লাগবে এবং ভালো ঘুম হবে না । ঘুমানোর সময় চিত্ হয়ে শুয়ে থাকা ভালো। বিশ্রামের সময় যেমন টেলিভিশন বা বই পড়ার সময় দীর্ঘ সময় ধরে সোফায় শুয়ে না থাকাই ভালো এবং উপুর হয়ে বই পড়াও ভালো নয় । ২.গুণগতমানের তোশক ও বালিশ ব্যবহার করা : ঘুমানোর সময় শরীরের বেশি ওজন কটির দিকে থাকে, দীর্ঘদিন ব্যবহারে তোশকের এ অংশ সহজভাবেই নষ্ট হয়ে যাবে । যদি সবসময় ক্ষতিগ্রস্ত তোশকে শুয়ে থাকেন এবং ঘুমান তাহলে আপনার ঘুমের মান কমে যাবে এবং শরীরের মেরুদণ্ডে অপূরণীয় ক্ষতি হবে । ৩. যথেষ্ট সময় ঘুমানো । আমাদের ঘুমের সময় বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হবে । বৃদ্ধকালে লোকজনের ঘুমের সময় শিশুদের চেয়ে অনেক কম । সাধারণত লোকজনের স্বাভাবিক ঘুমের সময় ৬ থেকে ৮ ঘন্টা পর্যন্ত । কিছু লোকের ঘুমের সময় শুধু মাত্র ৪ ঘন্টা । যথেষ্ট সময় ঘুমালে শরীরের সুস্থ্য অবস্থার জন্য তা অনেক সহায়ক হবে। সবসময় রাতে ঘুমানো লোকদের স্বাস্থ্য স্বাভাবিক ঘুমানো লোকদের চেয়ে দুর্বল ।
|