v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-06-11 20:39:59    
চীন আনুষ্ঠানিকভাবে " রাষ্ট্রীয় বৈজ্ঞানিক সহায়তা পরিকল্পনা" শুরু হয়েছে

cri
    সম্প্রতি চীন আনুষ্ঠানিকভাবে একটি নতুন পর্যায়ের রাষ্ট্রীয় বৈজ্ঞানিক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এর ফলে চীনের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্য অনেক সহায়ক হবে।

    এ " রাষ্ট্রীয় বৈজ্ঞানিক সহায়তার পরিকল্পনা" এ বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে । এতে মোট ৩০ বিলিয়ন ইউয়ান বিনিয়োগ করা হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। চীন সরকার আশা করে, আগামি কয়েক বছরের মধ্যে এ পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে দেশের জ্বালানীসম্পদ এবং পরিবেশসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধান করা হবে। যাতে সার্বিকভাবে গণ-পরিসেবা ক্ষেত্রের বৈজ্ঞানিক মানকে আরও বেশি উন্নত করা যায়। এ সম্পর্কে চীনের রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলার ছেন চি লি বলেছেন: " এ পরিকল্পনার লক্ষ হলো সরাসরিভাবে দেশের অর্থনীতির গঠন ও সমাজের উন্নয়নে পরিসেবা দেয়া। এর মাধ্যমে চীন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ গণ কল্যাণমূলক প্রযুক্তি ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে সক্ষম হবে। একই সঙ্গে কিছু কিছু স্বমেধাস্বত্বসম্পন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রেও সফলতা অর্জন করা সম্ভব হবে। এর ফলে বহু সংখ্যক আন্তর্জাতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতাসম্পন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলাও পরিচালনা করা যাবে।"

    চীন এখন একটি নতুন পর্যায়ের উন্নয়ন অবস্থানে প্রবেশ করেছে। যার ফলে জ্বালানীসম্পদ , পরিবেশ , গুরুতর চিকিত্সার উদ্যোগ , শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রতিদ্বন্দ্বিতার শক্তি এবং গণ-নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কঠোর চ্যালেন্জের সম্মুখীন হচ্ছে। এ জন্য " রাষ্ট্রীয় বৈজ্ঞানিক সহায়তার পরিকল্পনা"টি চালু হয়েছে। চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভাগের প্রধান ওয়াং সিয়াও ফাং আমাদের সংবাদদাতাকে এ বিষয়টি ব্যাখ্যা করার সময় বলেছেন, এ পরিকল্পনায় অন্তর্ভূক্ত কৃষি, উপকরণ এবং নির্মাণ শিল্পপ্রতিষ্ঠানসহ মোট ১১টি ক্ষেত্র জড়িত। এ পরিকল্পনার মাধ্যমে ৩৫০টি সংশ্লিষ্ট প্রকল্পকে সহায়তা দেয়া যাবে । প্রথম দফার প্রকল্পটি ইতোমধ্যেই নির্ধারিত হয়েছে। তিনি বলেছেন: " এ প্রথম দফায় প্রকল্পটির সংখ্যা বেড়ে ১৪৭টি হয়েছে । এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয় মোট ৭.৩৫ বিলিয়ন ইউয়ান পুঁজি বিনিয়োগ করেছে। এর মাধ্যমে শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষ আরও দুই গুণ বেশি পুঁজি বিনিয়োগের ক্ষেত্র সম্প্রসারণ করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।"

পেইচিং থিয়ান হুই হুয়া ডিজিটাল প্রযুক্তিগত লিমিটেড কোম্পানি একটি রঙিন ডিজিটাল " বি" আকারের পরীক্ষা সংক্রান্ত সাজ-সরঞ্জাম নিয়ে গবেষণার কাজ চলছে। এটি এবারের রাষ্ট্রীয় বৈজ্ঞানিক সহায়তার পরিকল্পনায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছে।

    এ কোম্পানির সংশ্লিষ্ট একজন প্রধান শেন চিয়ান লেই আমাদের সংবাদদাতাকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন, এ সাজ-সরঞ্জামের গবেষণার জন্য কমপক্ষে ১ কোটি ইউয়ান পুঁজি বিনিয়োগ করতে হবে । এটি থিয়ান হুই হুয়ার মতো ব্যাপকতা বেশি নয় এমন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য নিঃসন্দেহ একটি জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। তবে এ প্রকল্পটি রাষ্ট্রীয় বৈজ্ঞানিক সহায়তা পরিকল্পনায় অন্তর্ভূক্ত রয়েছে । এ কথা ঠিক যে , এ গবেষণার কাজ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের নিজের বিষয়টি নয়। তিনি বলেন: " এ গবেষণায় রাষ্ট্রীয় বৈজ্ঞানিক সহায়তা পরিকল্পনা আমাদের কোম্পানিতে মোট ৩০ লাখ ইউয়ান পুঁজি বিনিয়োগ করেছে। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রীয় বিশেষ খরচ বহন করার সঙ্গে সঙ্গে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের সংশ্লিষ্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোও বিস্তারিতভাবে পুঁজি বিনিয়োগ করেছে। তাই রাষ্ট্রীয় বৈজ্ঞানিক সহায়তার পরিকল্পনা অপরিহার্য ভূমিকা রয়েছে।"

    তাছাড়াও, জ্বালানীসম্পদ এ পরিকল্পনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মসূচী অনুযায়ী, ২০১০ সালে এ পরিকল্পনার মাধ্যমে চীন আরও ৩ বা ৪টি বড় আকারের খনিজসম্পদ সংক্রান্ত সংস্থা প্রতিষ্ঠা করে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তখনকার শিল্প ক্ষেত্রের পানি পুনবার ব্যবহারের হার ৮০ শতাংশে উন্নত করা সম্ভব হবে। এর ফলে চীন সামদ্রিক পানির ব্যবহার সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি অর্জনে সক্ষম হবে।

    একই সঙ্গে স্বাস্থ্য এবং পরিবহনসহ মানুষের জীবন যাত্রার সামগ্রীর সঙ্গে সম্পর্কিত বৈজ্ঞানিক গবেষণার বিষয়টিও এ পরিকল্পনায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এখন এ পরিকল্পনার সহায়তায় পেইচিং শহরে ব্যাপকভাবে ডিজিটাল পরিবহন সংক্রান্ত প্রশাসনের সিস্টেম চালু হয়েছে। এটি অধিক থেকে অধিকতর যানজট সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য অনেক সাহায্য করেছে। পরিসংখ্যান থেকে আরো জানা গেছে, এ সিস্টেম চালু হওয়ার পর, পেইচিং শহরের সাধারণত রাস্তায় পরিবহনের ক্ষমতা প্রায় ১২ শতাংশ উন্নত হয়েছে।