v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-06-11 17:51:04    
৪--১০ জুন,২০০৭

cri
১) দেশ ও বিদেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক সমালোচনা এবং তোপের মুখে পাকাস্তানের প্রেসিডেন্টা পারভেজ মোশাররফ দেশটির সংবাদমাধ্যমের ওপর যে কড়া বিধিনিষেধ আরোপ বরেছিলেন, অবশেষে তা স্থগিত বরা হয়েছে। ৭ জুন সরকারি কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান।

    প্রধান বিচারপতি ইফতিখার মোহাম্মদ চৌধুরীকে বরখাস্ত করার পর পাকিস্তানের সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেলগুলো প্রেসিডেন্ট মোশাররফের ব্যাপক সমালোচনা ‌করে। এ অবস্থায় সংবাদমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের জন্য মোশাররফ সম্প্রতি পাকাস্তান ইলেকট্রনিক মিডুয়া রেগুলেটরি অথরিটিকে (পিইএমআরএ) অতিরিক্ত ক্ষমতা দিয়ে ডিক্রি জারি করেন। বিষয়টি নিয়ে গত ৬ জুন পাকিস্তানের পার্লামেন্টে হইচই পড়ে যায়। পার্লামেন্টের বাইরে সাংবাদিকেরা স্নেগান দিতে থাকলে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি হয়। এ সপ্তাহের গোড়ার দিকেও দেশের বিভিন্ন স্থানে এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়।

    পরে এক সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শওকত আজিজ গণমাধ্যমের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পার্লামেন্টের ছয় সদস্যের কমিটিতে বিষয়টি নতুন করে পর্যালোচনা করা হবে। ওই কমিটিতে সংবাদমাধ্যম ও সরকারের তিনজন করে প্রতিনিধি থাকবেন। যত দ্রুত সম্ভব তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন দাখিল করবেন। ওই সময় পর্যন্ত পিইএমআরএ অ্যামেন্ডমেন্ট অর্ডিন্যান্স-২০০৭ অনুযায়ী গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।

    নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এক বিবৃতিতে গণমাধ্যমের ওপর থেকে বিধিনিষেধ তুলে নিতে পাকিস্তানের সামরিক শাসক মোশারফের প্রতি আহ্বান জানায়। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য বিষয়টি অবমাননাকর বলেও তারা উল্লেখ করে।

২) শ্রীলঙ্কার সুপ্রিম কোর্ট ৮ জুন রাজধানী কলম্বো থেকে সংখ্যালঘু তামিলদের উচ্ছোদ বদ্ধের নির্দেশ জারি করেছেন। উচ্ছেদের বিরুদ্ধে একটি রাজনৈতিক তদবিরকারী পক্ষের মৌলিক অধিকার লজ্ঘনের অভিযোগ এনে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ নির্দেশ দেন। মানবাধিকারকর্মীরা তামিল গেরিলাদের সঙ্গে লড়াইয়ে সরকারের এ উচ্ছেদকে 'যৌথ শাস্তি' অভিহিত করেন এবং এ ব্যবস্থার নিন্দা জানান।

    আদালতের একজন কর্মকর্তা জানান, ২২ জুন আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। এ সময় পর্যন্ত পুলিশের মহাপরিদর্শক উচ্ছেদ পরিচালনা থেকে বিরত থাকবেন।

    মানবাধিকারকর্মীনা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, তামিলবিরোধী অভিযান ইতিমধ্যে শ্রীলঙ্কায় গুরুতর মানবিক সংকট সৃষ্টি করেছে। এতে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ বাড়বে।

    মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, শ্রীলঙ্কায় বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সাম্প্রদায়িকভাবে লোক বেছে তাদের রাজধানী থেকে বের করে দেওয়ার মতো ঘটনা চরম ন্যক্কারজনক ছাড়া আর কিছু হতে পারে না।

৩) বেসামরিক পারমাণবিক জ্বালানি সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরে অচল অবস্থা সিরসনের লক্ষ্যে আমেরিকাকে নতুন ট্রস্তাব তিয়েছে ইনডিয়া। জার্মনিতে জি-এইট সম্মেলনের সাইডলাইনে আমোরেকার প্রেসিডেন্ট র্জজ ডাবলিউ বুশকে এ প্রস্তাব দেন ইরডিয়ার ট্রধারমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং।

    মনমোহনের মুখপাত্র সঞ্জয়া বেরু বলেন,প্রোসিডেন্ট বুশের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মনমোহনের ইতিবাচক সংলাপ হয়েছে।

    বিভিন্ন সূত্র থেকে জারা গেছে, বুশ-মনমোহন সংলাপের আগে জার্মানিতেই চলমান সঙ্কট নিরসনের লক্ষ্যে বৈঠক করেছেন ইনডিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা ইপদেষ্টা এম কে নারায়ণন ও তার আমেরেকান ট্রতিপক্ষ স্টিফেন হ্যাডলি।

    পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুত্রিতে স্বাক্ষরে অস্বীকৃতি এবং ১৯৯৮ সালে পরমাণু বোমার পরীক্ষমূলক বিস্ফোরণ সত্ত্বেও ইনডিয়ার সঙ্গে এ জ্বালাসি চুক্রির চুক্রিয়া চালাচ্ছে আমেরিকা। এর আগে তিন দশক ধরে পারমাণবিক জ্বালানি সরবরবহে ইনডিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল দেশটি।

    পরমনু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্রিতে স্বাক্ষর করবে ইনডিয়া-এ আমাবাদ ব্যক্র করে কমেরিকা-ইনডিয়ার এ তাত্পর্যপূর্ণ পারমাণবিক জ্বালানি সহায়তা চুক্রিকে সমর্থন করেন জি-এইট নেতারা।

    বুশ-মনমোহন বৈঠকের বিস্তারিত বিবরণ এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়,পরমাণু জ্বালানি রিপ্রসেসের অধিকার প্রাপ্তি নিশ্চিত এবং নিরবচ্ছিন্ন ভাবে পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহের নিশ্চয়তা নিয়ে বিতর্কের কারণে গত ২ মার্চ আলোচিত এ চুক্তি সংক্রান্ত আলোচনায় অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়।

    এর আগে অফিশিয়াল সূত্রগুলো থেকে বলা হয় , ব্যবহৃত পারমাবিক জ্বালানিগুলো সংরক্ষণ করে এগুলো আন্তর্জাতিক পারমাণবিক জ্বালানি সংস্থার (আইএইএ)কঠোর নীতির আলোকে রাক্ষণাবেক্ষণের প্রতিশ্রুতি সংক্রান্ত ইনডিয়ার এ নতুন প্রস্তার বুশ প্রশাসনকে সুবিধাজনক অবস্থায় নিয়ে যাবে।

    এর ফলে পারমাণবিক জ্বালানি রিপ্রসেসিংয়ের অধিকার পাওয়া ইনডিয়ার জন্য সহজ হবে এবং আমেরিকাও সহজেই নিয়মিতভাবে ইরডিয়াকে পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহ করতে পারবে।