৮ জুন তিনদিনব্যাপী জি-৮ শীর্ষ সম্মেলন উত্তর জার্মানীর হেইলিগেনদামে শেষ হয়েছে । সম্মেলন বিশ্বের উত্তেজনাময় কিছু সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছে এবং বিবৃতি প্রকাশ করেছে ।
৮ জুন জি-৮ শীর্ষ সম্মেলন ইরানের পারমাণবিক সমস্যা প্রসঙ্গে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, যদি ইরান পারমাণবিক সমস্যায় কোনো আপোস না করে, তাহলে জি-৮ তার বিরুদ্ধে আরো ব্যাপক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে । বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, যদি ইরান
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইরানের পারমাণবিক পরিকল্পনা শান্তির জন্য ব্যবহার করার কথা বিশ্বাস করাতে সক্ষম হয় ,তাহলে জি-৮ ইরানের সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার নতুন সম্পর্কের পৃষ্ঠা খুলবে । এর মধ্যে পারমাণবিক জ্বালানী সম্পদ ক্ষেত্রসহ রাজনীতি, অর্থনীতি ও বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ক্ষেত্রও রয়েছে ।
সুদানের দারফুর সমস্যা প্রসঙ্গে জি-৮ সুদান সরকারের দারফুর অঞ্চলে জাতিসংঘ এবং আফ্রিকান লীগের যৌথ শান্তিরক্ষী বাহিনীর মোতায়েনের অনুরোধ জানিয়েছে । তাছাড়া, জি-৮ শীর্ষ সম্মেলন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদস্যদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আচলাবস্থায় থাকা দোহা আলোচনার শুরু করার আহ্বান জানিয়েছে ।
৮ জুন জি-৮ নেতৃবৃন্দ চীন, ভারত , ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং মেক্সিকো এই ৫টি উন্নয়নশীল দেশের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে হেইলিগেনদামে সংলাপ সম্মেলন আয়োজন করেছেন । দু'পক্ষ সম্মেলনের পর প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, আবহাওয়া পরিবর্তন, জ্বালানী সম্পদ এবং পুঁজি বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করবে ।
|