v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-06-08 21:26:59    
উত্তর কোরিয়ায়

cri
  উত্তর কোরিয়ায় শিশুরা অনেক আদরয়ত পেয়েছে। ১৯৭৬ সালে উত্তর কোরিয়ার সরকার " শিশু রক্ষা আইন" প্রণয়ন করে। যাতে " দেশের শ্রেষ্ঠ মেধাবী শিশুদের নানা সুযোগ সুবিধান দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ প্রস্তাব অনুযায়ী, উত্তর কোরিয়া দেশের বিভিন্ন স্থানের চমত্কার জায়গা, খোলা এবং পরিষ্কার পরিবেশে কিন্ডারগার্টেন স্থাপন করেছে। শিশুদের জন্য বিশেষ শিশু কাপড়, পণ্য ও খাদ্যদ্রব্য কারখানা তৈরী করেছে।

  উত্তর কোরিয়ায় শিশুরা সত্যি " রাজার জীবন" কাটাচ্ছে। ১৯৭৮ সালের মে মাসে প্রনীত " স্কুল এবং মাধ্যমিক স্কুলের প্রস্তাব" অনুযায়ী, স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার দূরত্ব মোট ২ কিলোমিটার এবং মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মোট ৪ কিলোমিটার দূরে না হওয়ার নিয়ে করা হয় । এ জন্যে উত্তর কোরিয়ার শহরের প্রত্যেক রাস্তা, গ্রামের প্রত্যেক মহল্লার কম্পক্ষে কম্পক্ষে একটি বা দুটি স্কুল ও মাধ্যমিক স্কুল রয়েছে । দেশটির অধিবাসীরা সংবাদদাতার কাছে বলেছে যে, " আমাদের দেশে সব চেয়ে সুন্দর ভবন হচ্ছে বিদ্যালয়"। একথা ঠিক বলেছে। সংবাদদাতা উত্তর কোরিয়ার বিভিন্ন স্থানে সাক্ষাত্কার সময় দেখেছেন যে, শহর অথবা গ্রামে বিদ্যালয় হচ্ছে সবচেয়ে সুন্দর এবং পরিষ্কার স্থান।

  উত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমে সূত্রে জানা গেছে, উত্তর কোরিয়া সরকার স্কুল এবং মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষা বইগুলোর খরচ প্রায় ৬০ শতাংশ বহন করে। কিন্ডারগার্টেন থেকে স্কুল, মাধ্যমিক স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষ করা প্রত্যেক শিশুর শিক্ষা ব্যয় প্রায় একটি পরিবারের দশ বছরের আয়ের সমান ।

  পিয়ং ইয়ংয়ের দুটি ইয়াং পাইওনিয়ার ভবন আছে। ভবন দু'টি ১৯৬৩ সালে স্থাপিত হয়েছে এবং আয়তন মোট ৫০ হাজার বর্গকিলোমিটার । এর মধ্যে প্রায় ২০০টির বেশি অফিস আছে। পিয়ং ইয়ংয়ের ওয়ান চিংথাই ইয়াং পাইওনিয়ার ভবনের আয়তন প্রায় ১ লাখ বর্গকিলোমিটার। এখানে সাজ-সরঞ্জাম প্রচুর। মানুষ এটাকে " রাজপ্রাসাদ" বলে।

  তাছাড়াও, উত্তর কোরিয়ার বিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রছাত্রীদের দেশপ্রেমের মনোভাব সৃষ্টি করার জন্যে ক্লাসের বিষয় নিয়ে গুরুত্বসহকারে শিক্ষা দেয় । স্কুলের সামাজিক ক্লাসের প্রধান বিষয় হচ্ছে দেশের ভৌগোলিক ও ঐতিহাসিক বিজ্ঞান। এর মধ্যে ছবিও আছে , যা শিশুরা ভালভাবে বুঝার জন্যে সহায়ক হয়। এমন অন্য ক্লাসের অনুশীলনেও দেশের ইতিহাস সংক্রান্ত বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত ।

  উত্তর কোরিয়ার বিদ্যালয়ের সঙ্গে শিশুদের স্বাস্থ্যও অন্তর্ভুক্ত । ছাত্রছাত্রীদের পাঠাবইয়ের মাধ্যমে শিক্ষাদানের পাশা পাশি নানা ধরণের উপায়ে ছাত্রছাত্রীদেরকে উত্সাহ দেয়া হয়। এবং ক্রীড়া অনুশীলনেও সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়ার জন্য অনুপ্রেরনা যোগানেয় হয়।এছাড়াও, বিদ্যালয়গুলোতে বাস্কেট-বল, বেস-বল,ব্যয়াম ও সুইমিং ইত্যাদি ক্রীড়া শিক্ষা দেয়া হয়। কিন্তু এগুলোর খরচ নিজেকেই দিতে হয়। যদিও এই খবর ভবিষ্যতে শিশুদের জন্যে অনেক লাভ বয়ে আনবে । উত্তর কোরিয়ার শিশুরা সত্যি " রাজার জীবন" কাটাচ্ছে।