v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-06-06 18:42:12    
হু চিনথাও জি-৮+৫ সংলাপে অংশ নেবেন(ছবি)

cri

    চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিনথাও ৬ জুন পেইচিং থেকে রওয়ানা হয়ে জার্মানীতে গিয়ে জি-৮ ও ৫টি উন্নয়নশীল দেশের সংলাপে অংশ নেবেন এবং সুইডেন সফর করবেন। এটি হল এ বছর থেকে চীনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক তত্পরতা। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণায়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, হু চিনথাও'র এবারের সফরের কূটনীতির উন্নয়ন, দক্ষিণ-উত্তর সংলাপ ত্বরান্বিত, উন্নয়নশীল দেশগুলোর সঙ্গে ঐক্য জোরদার ও চীন-সুইডের বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গভীর করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ তাত্পর্য রয়েছে। এখন আমি আপনাদের কাছে এ সম্বন্ধে কিছু বলবো।

    জি-৮ পাশ্চাত্যের সাতটি দেশের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে। জি-৮-এ যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানী, ইতালি, ক্যানাডা, জাপান ও রাশিয়া রয়েছে। জি-৮ আগে উন্নত দেশগুলোর সাংগঠনিক একটি সংস্থা ছিল। কিন্তু চীন ও ভারতসহ বিভিন্ন নতুন সমৃদ্ধ দেশগুলো ক্রমান্বয়ে আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে আরো বেশি প্রভাব ফেলার কারণে ২০০৪ সাল থেকে প্রতি বছরের জি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের স্বাগতিক দেশ বিশ্বের প্রধান উন্নয়নশীল দেশগুলোর নেতৃবৃন্দগণকে সম্মেলনে অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ জানায়। এবারের সম্মেলন হল প্রেসিডেন্ট হু চিনথাও অংশ নেয়া চতুর্থ বার জি-৮ ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর নেতৃবৃন্দের সংলাপ। চীনের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছুই থিয়ানখাই এবারের সংলাপের আলোচ্য বিষয় বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, 'স্বাগতিক দেশের প্রস্তাব অনুযায়ী এবারের সংলাপে প্রধানত বিশ্বের অর্থনীতি, পুঁজিবিনিয়োগ আর সামাজিক দায়িত্ব, উদ্ভাবন আর ধী-সম্পদের স্বত্তাধিকার সুরক্ষা, আবহাওয়ার পরিবর্তন ও উন্নয়নের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হবে। এসব আলোচ্য বিষয় হল বর্তমান আন্তর্জাতিক জরুরী ও গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা এবং বিশ্বের অর্থনৈতিক স্বস্থা, স্থিতিশীলতা, সমঝোতা ও অবিরাম উন্নয়নের সঙ্গে সম্পর্কিত। উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর উচিত মিলিতভাবে এসব সমস্যা সমাধান করা।'

    চীন ছাড়া, ভারত, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও মেক্সিকো আমন্ত্রণে অংশ নিচ্ছে। সেজন্য এ সংলাপকে বলা হয় জি-৮ আর ৫ সংলাপ। তাছাড়া, আফ্রিকান দেশ নাইজেরিয়া, মিশর, আলজেরিয়া, ঘানা ও সেনেগাল এবং জাতিসংঘ, বিশ্ব ব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, অর্থনৈতিক সহযোগিতা আর উন্নয়ন সংস্থা, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা সংলাপে দোহা দফা বহুপক্ষীয় বাণিজ্যিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করবে।

    বর্তমানে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আবহাওয়ার পরিবর্তনের সমস্যার ওপর সজাগ দৃষ্টি রাখছে। সেজন্য প্রতি সম্মেলনে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। এবারের জি-৮+৫ সংলাপের আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে আবহাওয়ার পরিবর্তন হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যদিও বিশ্বের আবহাওয়া উষ্ণ হয়ে উঠার, কারণ, প্রধান দায়িত্ব ও সমাধানের পদ্ধতি নিয়ে বিভিন্ন মতভেদ রয়েছে, তবুও কমপক্ষে চারটি বিষয়ে মতৈক্য সম্পাদিত হয়েছে। চীনের জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশনের পরিচালক মা খাই বলেছেন, 'এক, বিশ্বের আবহাওয়া উষ্ণ হয়ে উঠা হল একটি স্বীকৃত্য সত্য। দুই, বিশ্বের আবহাওয়া উষ্ণ হয়ে উঠা প্রাকৃতিক ও মানবজাতির অস্তিত্ব এবং উন্নয়নের পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তিন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণ প্রাকৃতিক কারণ ছাড়া, মানবজাতির তত্পরতা বিশেষ করে জীবাশ্ন জ্বালানির প্রক্রিয়ায় বিষাক্ত গ্যাস নিঃসরণের তত্পরতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কিত। চার, বিশ্বের আবহাওয়া উষ্ণ হয়ে উঠার সমস্যা হল মানজাতির যৌথ সম্মূখীন চ্যালেঞ্জ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত মিলিতভাবে মোকাবেলা করা।'

    চীন সরকার বরাবরই আবহাওয়া পরিবর্তনের সমস্যার ওপর গুরুত্ব দেয় এবং ধারাবাহিক ব্যবস্থা নেয়। চীন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিশ্বের আবহাওয়া উষ্ণ হয়ে উঠার মাত্রা কমাতে ইচ্ছুক। ছুই থিয়ানখাই বলেছেন, 'চীনের লোকসংখ্যা বিশ্বের পাঁচ ভাগের এক ভাগ। সেজন্য, চীন সরকার এ সমস্যায় উচ্চ গুরুত্ব দেয়। আমরা মনে করি, 'যৌথ কিন্তু ভিন্ন দায়িত্ব নীতি' হল ভবিষ্যতে আবহাওয়া পরিবর্তনের সমস্যা মোকাবেলার আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ভিত্তি। প্রেসিডেন্ট হু চিনথাও এবারের সংলাপে এ সমস্যায় চীনের অবস্থান ও প্রস্তাব বর্ণনা করবেন।'

    জি-৮+৫ সংলাপের পর হু চিনথাও সুইডেনের রাজা কারল গুস্টাফের আমন্ত্রণে ৮ থেকে ১০ জুন পর্যন্ত সুইডেন সফর করবেন। এটি হল দু'দেশের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর চীনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের প্রথম সুইডেন সফর। চীন-সুইডেন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে এই সকরের গুরুত্বপূর্ণ তাত্পর্য রয়েছে। এবারের সফরের ফলে দু'দেশের রাজনৈতিক পারস্পরিক আস্থা বাড়ানো, বিভিন্ন ক্ষেত্রের পারস্পরিক কল্যানমূলক সহযোগিতা ত্বরান্বিত করা, দু'দেশের জনগণের মৈত্রী ও দু'দেশের সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে উঠা ত্বরান্বিত হবে।