v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-06-06 10:31:55    
চীনের বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত আশফাকুর রহমানের দেয়া সাক্ষাত্কারের তৃতীয়াংশ

cri
    প্রঃ আপনি চীনে আসার আগে চীনের ওপর একটা ধারণা পেয়েছেন এবং চীনা বন্ধুদের সঙ্গে মৈত্রীর সম্পর্ক নিয়ে চীনে এসেছেন?

    উঃ তারও আগে কিন্তু ঘটনা আছে। আপনি জানেন, ১৯৫০ এর দশকে বাংলাদেশের ঢাকায় একটা ন্যাশনাল এক্সিবিশন হতো। আমি তখন স্কুলে পড়ি। ১৯৫০ সালে বাংলাদেশ তখন পূর্ব পাকিস্তান ছিল। সে সময় ঢাকাতে বিরাট একটা চাইনীজ প্যাভেলিয়ন তৈরী হয়েছিল। এবং ওটাকে দেখে আমি খুব অবাক হয়েছিলাম। চীনের যে ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ডেভলপমেন্ট , ওরা মেশিন টেশিনসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে এসেছিল। এমন কি তারা আমাদেরকে মনে হয় ছোটখাট গিফটও দিয়েছিল সেই থেকেই আমার অন্য রকম অনুভূতি ছিল চীন সম্পর্কে।

    প্রঃ আমি আপনাকে আরেকটা প্রশ্ন করতে চাই। আপনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে চীনে থাকাকালীন চীনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ পেয়েছেন। চীনের নেতাদের সঙ্গে মেলামেশার বিষয়ে আপনার কি কোন গল্প আছে এবং চীনে কোন নেতার সঙ্গে ব্যক্তিগত কোন সম্পর্ক তৈরী হয়েছে কিনা?

    উঃ জ্বি, অনেক ধন্যবাদ এই প্রশ্ন করার জন্য। চীনা নেতাদের সঙ্গে দেখা করার ব্যাপারে সব রাষ্ট্রদূতেরই সুযোগ হয় যে, ঐ দেশে অর্থাত্ যে দেশে তিনি রাষ্ট্রদূত ঐ দেশের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ওঠা বসা করার। আমারও হয়েছিল, যখন আপনাদের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও'র কাছে আমার পরিচয় পত্র দিয়েছিলাম গ্রেট হলে। ঠিক তেমনি আপনাদের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও। উনার সাথেও কয়েকবার দেখা হয়েছে। তারপরে চাইনীজ স্টেট কাউন্সিলে যারা লীডারস আছেন ওনাদের সাথে , স্পীকারের সাথে, তারপরে মি. চিয়া ছিংলিন, অবশ্য ওনার সাথে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য দেখা হয়েছিল। প্রদেশে গেলে সেখানকার গভর্ণরদের সঙ্গে "কল অন" করি আমি। এর মাধ্যমে পরিচয় হয় কথাবার্তাও হয়। দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়। তারপরে প্রভিসিয়াল আরো অনেক নেতৃবৃন্দ আছে, কমিউনিষ্ট পার্টিএর নেতৃবৃন্দ আছে। পার্টি ইন পাওয়ার ওনাদের নেতৃবৃন্দ সবার সাথেই আমার সাক্ষাত্কারের সবগুলিদিন স্মরণীয়। আমি এটা বলতে পারি যে , আমি চীন দেশের নেতৃবৃন্দকে দেখেছি খুবই বাংলাদেশের প্রতি , বাংলাদেশের মানুষের প্রতি আস্থা রয়েছে । আরেকটা জিনিস আমি লক্ষ্য করেছি যে, সবসময় ওনারা বাংলাদেশ একটা ফাষ্ট ডেভেলপিং কান্ট্রি, এটা ওনারা সবসময় বলেছেন। চীন তো আপনি জানেন, চীন ইস দ্যা বিগেষ্ট ডেভেল্পিং কান্ট্রি এন্ড দ্যা ফাষ্টেস্ট গ্রোইং ডেভেল্পিং কান্ট্রি। আমাদেরকে সবসময় একত্র করতে চাইছেন ওনাদের সাথে, আপনারও ডেভেল্পিং , আমরাও ডেভেল্পিং। আমাদেরও সমস্যা আছে, আপনাদেরও সমস্যা আছে। আমরা একত্রে কাজ করে সাহায্য করে একজন আরেকজনের সম্পর্ক ভালো রেখে এগিয়ে যেতে পারি। আমাদের সাধারণ মানুষের উন্নয়ন করতে পারি, এটা ওনারা আমাদেরকে সবসময় দিয়েছেন। এবং বাংলাদেশের কথা আমি অন্যভাবে ওনাদেরকে বলেছি। কোন কোন দিকে আমরা এগুচ্ছি। যেমন মহিলাদের উন্নয়নের ব্যাপারে আমরা বাংলাদেশে কি করছি? ওনারা খুবই আগ্রহ সহকারে শুনেছেন আমাদের কথা। তারপরে আমাদের ইকনোমিক ডেভেল্পমেন্ট ইলেকটিক ইন দ্যা ভিলেজেস। রূবাল ইলেক্ট্রি ফিকেশন, গাসে ইলেকট্রিসিটি যে কিভাবে নিয়ে যাচ্ছি আমরা, আমাদের কৃষি খাতে চীন আরো কিভাবে সাহায্য করতে পারে। আপনি জানেন যে, চীন থেকে আমরা অনেক হাই ব্রিড বীজ নেই। এর ফলে আমাদের ধানের ফলন অনেক বেড়ে গেছে। এ সব কথাবার্তা হতো। আমি খুবই খুশী যে আমার এ সুযোগটা হয়েছিল চীনের নেতৃবৃন্দের সাথে এবং অনেক ইন্টারেটিং কনভারসেশন আমার সাথে হয়েছে। পরে যেটা হয়তো লিখিত আকারে পুস্তক হিসেবে বের করতে পারি।

    প্রঃ আপনি ভেবেছেন অবসর নেয়ার পর কোন জীবনী লিখবেন?

    উঃ দেখি, যদি আমি ঐ সুযোগটি পাই নিশ্চয়ই লিখবো না কেন, আমিতো দেশেও চাকরী করেছি। বিভিন্ন জাতির সাথে মিশেছি। অনেক অভিজ্ঞতাই হয়েছে। অভিজ্ঞতা যদি আমার মনে থাকে আর তা যদি তুলে ধরতে পারি। তাহলে হয়তো পরের জেনারেশন তারা হয়তো ইন্টারেট পাবে।