১ জুন শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে হোপিংলি স্কুল ও চীনে বাংলাদেশ দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে চীনা ছাত্রছাত্রীদের জন্য বাংলাদেশ-চীন সাংস্কৃতিক উত্সব নামক একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ।
(রে ১, শিশুদের গাওয়া বাংলা গান )
আপনারা এখন শুনতে পাচ্ছেন বাংলা গান হচ্ছে হোপিংলি প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রী এবং বাঙ্গালী বন্ধুদের সঙ্গে গাওয়া গান । কেমন লাগছে , ভালো কিনা ? ছাত্রছাত্রীরা বাংলাদেশের সংস্কৃতি জানার জন্য অবসর সময় বাঙ্গালী বন্ধুদের কাছ থেকে এ গানটি শিখেছে । আপনারা জানেন , হোপিংলি প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা ভালভাবে গান গাওয়ার পাশাপাশি আরো অনেক অনুষ্ঠান প্রদর্শনকরতে পারে । যেমন মিউজিক্যাল ইনস্টুমেন্ট বাজানো, দক্ষিণ এশিয়ার নাচ ও চীনা অপেরা প্রদর্শন,চীনের জাতীয় পোশাকের ফ্যাশন প্রদর্শনী এবং চীনের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্রাশের কলম ব্যবহার করা অক্ষর লেখা । তারা আনন্দদায়ক ও আন্তরিকভাবে বাঙ্গালী বন্ধু এবং আমাদের জন্য এসব অনুষ্ঠান পরিবেশন করেছে । এখন আমরা একসাথে শুনি তাঁদের কন্ঠে চীনা অপেরা গানটি ।
(রে ২, চীনা অপেরা)
ছাত্রছাত্রীদের অনুষ্ঠান দেখার পর, আমাদের বাঙ্গালী বন্ধুরা তাঁদের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন অনুষ্ঠানও প্রদর্শন করেছেন । চীনে বসবাস করা এবং লেখাপড়া করা ম্যাডাম শর্মী হোক সুন্দর এই বাংলা নাচ পরিবেশন করেছেন এবং আন্তরিকভাবে ছাত্রছাত্রীদের নাচটি শিখিয়েছেন । তা ছাড়া, আরেক জন বাঙ্গালী বন্ধু বাবর মজার পদ্ধতিতে ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটি চীনা গান গেয়েছেন ।
(রে ৩, বাপুরের চীনা গান ) ছাত্রছাত্রীরা তাঁর প্রদর্শন খুবই পছন্দ করেন ।
অনুষ্ঠানের উদ্যোগকারী হোপিংলি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষয়িত্রী ম্যাডাম থেং ইয়া চিয়ে আমাদের জন্য অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রক্রিয়ার একটি গল্প শুনিয়েছেন । তিনি বলেছেন,
(রে ৪, থেং'র কথা)
১ জুন শিশু দিবস এসেছে । আমরা ছাত্রছাত্রীদের আরো বেশি বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও চীনের ঐতিহ্যিক সংস্কৃতি জানার জন্য বাঙ্গালী বন্ধুদের সঙ্গে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করছি । এর মধ্যে আমার মনে হয় ছাত্রছাত্রীরা এবং বাঙ্গালী বন্ধুদের মৈত্রী আরো গভীর হয়েছে । অনুষ্ঠানের আগে আমরা কয়েকবার তাঁদের সঙ্গে চর্চা করেছি । এর মাধ্যমে আমাদের শিক্ষকরা এবং ছাত্রছাত্রীরা উভয়েই বাঙ্গালী বন্ধু এবং বাঙ্গালী জাতির আন্তরিকতা ও সহৃদয়তা উপলন্ধি করেছি । আমি মনে করি এ ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের ছাত্রছাত্রীরা আরো বেশি জ্ঞান অর্জন করতে পারবে এবং গভীর মৈত্রীও অর্জন করতে পারবে ।
চীনে বাংলাদেশের মিনিস্টার জনাব আবুদুস সাত্তার অনুষ্ঠান দেখার পর নিজেদের মন্তব্য এবং আশাও প্রকাশ করেছেন । তিনি বলেছেন,
(রে ৫, মিনিস্টারের কথা)
(রে ৬, ছাত্রছাত্রীদের কন্ঠে গান)
ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে বাঙ্গালী বন্ধুদের হাসিখুশিতে অনুষ্ঠান শেষ হয়ে যাবে । পেইচিং অলিম্পিক গেমস--২০০৮ ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে । হোপিংলি স্কুলের শিক্ষয়িত্রী আমাদের জানিয়েছেন যে, ভবিষ্যতে তাঁরা চীন-বাংলাদেশ মৈত্রীর জন্য আরো বেশি নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে । আমি বিশ্বাস করি, তাঁদের প্রচেষ্টায় চীন ও বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীদের মৈত্রী আরো গভীর হবে । প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ করছি, শোনার জন্য অনেক ধন্যবাদ । সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন ।
|