এ বছরের পয়লা জুলাই হংকং প্রত্যাবর্তনের দশম বার্ষিকী । গত দশ-বারো দিনে সি আর আইয়ের সংবাদদাতারা প্রত্যাবর্তনের পর দশ বছরে হংকংয়ের রাজনীতি , অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও সামাজিক জীবনের পরিবর্তন সম্বন্ধে অনেক প্রবন্ধ লিখেছেন । আজ তাদের লেখা প্রথম প্রবন্ধ শ্রোতাবন্ধুদের শোনাচ্ছি । এ প্রবন্ধের শিরোনাম হলোঃ হংকংয়ে এক দেশ দুই সমাজ ব্যবস্থার নীতির কার্যকরীর সুফল ।
১৯৯৭ সালের পয়লা জুলাই দীর্ঘ শত বছর পর হংকং মাতৃভূমির সঙ্গে একীভূত হয় । চীন সরকার আবার হংকংয়ে সার্বভৌম অধিকার প্রয়োগ করতে শুরু করে । হংকংয়ের মৌলিক আইন অনুসারে চীনে এক দেশ দুই ব্যবস্থার নীতি , হংকংবাসীদের হংকং শাসনের নীতি কার্যকরী করা হয় । হংকংয়ে আগের পুঁজিবাদী ব্যবস্থার আলোকে নাগরিকদের জীবনযাত্রার প্রণালী পরিবর্তন হবে না । কুটনীতি ও প্রতিরক্ষা ছাড়া হংকংয়ে উচ্চমানের স্বশাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন হয় ।
প্রত্যাবর্তনের পর হংকংয়ের ভবিষ্যত কি হবে ? হংকংয়ের অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়ন হবে কিনা ? এ বিষয়ে অনেকের মনোভাব জটিল ছিল । হংকং মাতৃভূমিতে ফিরে আসা এক আনন্দের ব্যাপার , তবে হংকংবাসীরা প্রত্যাবর্তনের পর হংকংয়ের ভবিষ্যত সম্বন্ধে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
নাগরিক ইউ চিং বলেছেন , প্রত্যাবর্তনের কয়েক বছর পর আমাদের এই ধরনের উদ্বেগ আর নেই । আমাদের জীবনের প্রণালী পরিবর্তিত হয় নি । হংকংবাসীরা আগের মতোই কাজ করেন এবং জীবনযাপন করেন । এ অবস্থা দেখে আমাদের আস্থা বেড়েছে ।
হংকংয়ের গণ্যমান্য ব্যক্তি চেন সিয়েন চি সি আর আইয়ের সংবাদদাতাকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে বলছেন , প্রত্যাবর্তনের প্রথম দিকে অনেক হংকংবাসী হংকংয়ের ভবিষ্যত সম্পর্কে আশাবাদী ছিলেন না । তাই অনেকেই বিদেশে থাকতে শুরু করেন । দুএক বছর পর অনেক হংকংবাসী আবার বিদেশ থেকে হংকং ফিরে আসতে শুরু করেন । মিঃ চেন বলেছেন , হংকংবাসীদের বিদেশ থেকে হংকংয়ে ফিরে আসার প্রধান কারণ হলো তারা দেখেছেন প্রত্যাবর্তনরপর হংকংয়ের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি সমৃদ্ধি বজায় রয়েছে , তাই তারা হংকংয়ের ভবিষ্যত সম্বন্ধে আশাবাদী ।
1 2
|