v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-06-04 18:20:25    
আবহাওয়ার পরিবর্তনের মোকাবেলায় চীন সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে

cri
    চীন সরকারের একজন পদস্থ কর্মকর্তা ৪ জুন পেইচিংয়ে বলেছেন , এখন চীন পরিবেশের জন্য হুমকির উত্স বলে যে গুজব প্রচার করা হচ্ছে , তার বাস্তব ভিত্তি নেই । চীন বিশ্বের আবহাওয়ার পরিবর্তনের মোকাবেলায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেবে এবং এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করতে আগ্রহী।

    ৪ জুন অনুষ্ঠিত একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে চীনের জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিটির চেয়ারম্যান মা খাই বাস্তব ঘটনা দিয়ে তথাকথিত চীনের পরিবেশ হুমকির তত্ব খন্ডন করেছেন । তিনি বলেছেন , ১৯৫০ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত ৫২ বছরে চীনের নিঃসৃত কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমান গোটা বিশ্বে নিঃসৃত পরিমানের ৯.৩৩ শতাংশ মাত্র। ১৯৫০ সালের আগে চীনের নিঃসৃত কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমান আরো কম ছিল । ২০০৪ সালে চীনের নিঃসৃত মাথাপিছু কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমান বিশ্বের গড়পড়তা পরিমানের ৮৭ শতাংশ ছিল । আন্তর্জাতিক আণবিক সংস্থার একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে , ১৯৯০ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত জি ডি পি এক শতাংশ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নিঃসৃত কার্বন ডাই-ইক্সাইডের পরিমান ০.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায় । কিন্তু চীনে জি ডিপি এক শতাংশ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নিঃসৃত কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমান মাত্র ০.৩৮শতাংশ বৃদ্ধি পায় । মা খাই আরো বলেছেন , আগের ৫০ বছরে যে সব দেশে নিঃসৃত কার্বন ডাই অক্সাইডের মোট পরিমান ও মাথাপিছু গড়পড়তা পরিমান বেশি ছিল , তাদেরকে কেউ আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য হুমকি বলেন না । চীনের নিঃসৃত কার্বন ডাই অক্সাইডের মোট পরিমান ও মাথাপিছু গড়পড়তা পরিমান কম , কিন্তু এখন কিছু লোক চীনের উপর দোষারোপ করছেন । চীনের পক্ষে এটা এটা অন্যায় এবং বাস্তব ঘটনার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয় ।

    মা খাই বলেছেন , চীন একটি দায়িত্বশীল বড় দেশ । চীন গোটা পৃথিবীর স্বাভাবিক আবহাওয়া রক্ষার জন্য অবদান রেখেছে এবং এই কাজে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে । ১৯৯০ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত চীনে প্রতি দশ হাজার ইউয়ান জিডিপি জন্য জ্বালানী শক্তির ক্ষয় ৪৭ শতাংশ কমেছে। এর মানে এতে ৮০ কোটি টন কয়লা বেঁচে গেছে অথবা ১.৮ বিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইড কম নিসরণ করা হয়েছে । একই সময় চীন গাছ লাগানো ও বনাঞ্চল তৈরীর মাধ্যমে ৫ বিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করেছে । বিশেষ করে গত শতাব্দীতে পরিবার পরিকল্পনা নীতি কার্যকরী করার কল্যানে মোট ৩০ কোটি শিশু কম জন্ম হয়েছে । ২০০৪ সালের অনুপাত অনুযায়ী , বিশ্বে প্রত্যেক মানুষ প্রতি বছর গড়পড়তা চার টন কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ করেন । এই অনুপাতে ৩০ কোটি লোক মোট ১২০ কোটি টন কার্বন ডাই অক্সাইড কম নিসরণ করেছে । কাজেই বিশ্বের লোকসংখ্যার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ও আবহাওয়ার পরিবর্তন প্রতিরোধে চীনের সক্রিয় অবদান আছে ।

    মা খাই আরো বলেছেন , গোটা পৃথিবীর আবহাওয়ার পরিবর্তন মানব জাতির উন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টি করেছে । এ সমস্যা ধাপে ধাপে মীমাংসা করা উচিত । এক বাস্তব ঘটনা হলো শিল্পোন্নত দেশগুলো নিজের শিল্পায়ন বাস্তবায়নের পথে নিয়ন্ত্রনহীনভাবে কার্বন ডাই অক্সাইডসহ নানা ধরনের বিষাক্ত গ্যাস নিঃসরণ করেছে , তাই শিল্পোন্নত দেশগুলোকেই আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রধান দায়িত্ব বহন করতে হবে । আবহাওয়ার পরিবর্তন মোকাবেলায় তাদের উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সমর্থন দেয়ার দায়িত্বও আছে ।

    ব্যাপক উন্নয়নশীল দেশগুলোর পক্ষে অর্থনীতি উন্নয়ন ও দারিদ্রবিমোচন এখনও প্রধান কর্তব্য। মা খাই বলেছেন , যদি বাস্তব ঘটনা ও ঐতিহাসিক দায়িত্ব উপেক্ষা করে শিল্পোন্নত দেশগুলোর মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোকেও নিঃসৃত বিষাক্ত গ্যাসের পরিমান কমানোর দাবী জানানো হয় , তা' অন্যায় ও বাস্তব অবস্থার পরিপন্থী । তিনি বলেছেন , আবহাওয়া পরিবর্তনের মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উন্নয়নশীল দেশগুলোর উন্নয়নের উপর মর্যাদা দেয়া উচিত এবং তাদের নিঃসৃত গ্যাসের পরিমান কড়া সীমা রাখা উচিত নয় । চীন সরকার ২০১০ সালে চীনের জ্বালানীর ক্ষয় ২০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্য দাখিল করেছে এবং এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করবে