v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-06-06 15:38:57    
হু থুংয়ে থাকা বিদেশি--আমার রিপোর্টের মাধ্যমে ভারতীদের চীনকে জানাবো

cri

    আসলে পেইচিংয়ের হু থুংয়ে অনেক বিদেশি থাকেন । প্রত্যেকের জীবন যেন একটি গল্পের মত । প্রত্যেকটি গল্পই চমত্কার । প্রেমের কারণে পাল্লাভি আইয়ার নামক এ সংবাদদাতা ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে ।

    প্রথমবার আমার চীন সম্পর্কে জানতে চাওয়ার কারণ হল তখন আমার ছেলে বন্ধু চীনে কাজ করতো । সে সবসময় চীন সম্পর্কে জানতে আগ্রহী । ১৯৯৭ সালে সে প্রথমবার চীনে এসেছে । সে আমাকে বলেছে , ভবিষ্যতে বিশ্বে চীনের অবস্থান নিশ্চয়ই আরো গুরুত্বপূর্ণ হবে । চীনে যাওয়ায় তাই খুব পছন্দনীয় । এ দেশে অনেক সুযোগ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে । ২০০১ সালে সে আবার চীনে এসেছে , তাই পরের বছর ২০০২ সালে আমিও চীনে এসেছি ।

    এভাবেই আইয়ার তার ছেলে বন্ধুর সঙ্গে চীনে এসেছেন । তাঁরা বিয়ে করেছেন এবং পেইচিংয়ের এক হু থুংয়ে দু'জনের পছন্দের একটি বাড়ী খুঁজেছেন । শান্ত হু থুংয়ে , সবুজ গাছের মধ্যে একটি ছোট এবং সুন্দর চোক-মেলানো বাড়ী আছে । এ বাড়ী আইয়ারের চীনের বাসা । আইয়ার সংবাদদাতাকে বলেন :

    আমার মনে হয় থাকার সবচেয়ে ভালো বাছাই হল হু থুং । এখানে প্রতিদিন আপনি আপনার প্রতিবেশীর সঙ্গে দেখা এবং কথা হয় , তারা সবসময় হু থুংয়ে বেড়াতে যায় , তাই প্রতিদিন যখন আপনি কাজ শেষ করে বাসায় যান , তখন তাদেরকে দেখতে পান এবং তাদের সঙ্গে গল্প করতে পারেন । উচুঁ ভবনে থাকার চেয়ে আমি হু থুংয়ে থাকতে আরো বেশি পছন্দ করি । মনে হয় আমি যেন এক বড়টি পরিবারে রয়েছি । সবার সঙ্গে সম্পর্ক আন্তরিক এবং ঘনিষ্ঠ । হু থুংয়ে আমি সহজেই চীনাদের জীবন ও আসল হু থুং জীবনকে অনুভব করতে পারি ।

    সাংবাদিক হিসেবে আইয়ার চমত্কার । তিনি ২০০৭ সালের ভারতের সংবাদ পুরস্কার--প্রিম পাটিয়া পুরস্কার পেয়েছেন । ভারতের সাংবাদিকদের জন্য তা খুব বড় পুরস্কার ও গর্ব করার মত । আইয়ার বলেছেন , পুরস্কার নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা মনে করেন , চীন সম্পর্কে ভারতের উপলব্ধি যথেষ্ট নয়, তিনি চীন সম্পর্কে অনেক রিপোর্ট লিখেছেন বলে ভারতের জনগণ চীন এ বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশকে আরো বেশি জানতে পেরেছে । তাই তাঁকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে । আইয়ার বলেছেন :

    আগে ভারতের জনগণ পশ্চিমা তথ্য মাধ্যমের মাধ্যমে চীন সম্পর্কে জানত , যেমন রয়টার , এ বি সি ইত্যাদি । গত চার , পাঁচ বছরে ভারতীরা প্রথমবার ভারতীয় সাংবাদিকের পাঠানো রিপোর্টের মাধ্যমে চীনকে জানতে পেরেছে । ভারতীয় পাঠকদের জন্য তা খুবই সহায়ক হয়েছে । এখন চীন ও ভারতের সম্পর্ক দিনে দিনে ঘনিষ্ঠ হচ্ছে , বিশ্বে দু'দেশ আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে । তাই ভারতীয়দের চীনকে জানার আগ্রহও বেড়ে যাচ্ছে ।

    আইয়ার প্রায় সারা চীন ভ্রমণ করেছে । ছিংহাই-তিব্ব্ত রেলপথের চালু হওয়াসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সম্পর্কে তিনি অনেক রিপোর্ট লিখেছেন । তবে তিনি চীনের সাধারণ লোকের সুখ , দুঃখ , স্বপ্নও তাদের জীবন সম্পর্কে লিখতে আরো ইচ্ছুক ।

    আইয়ার সংবাদদাতাকে জানিয়েছেন , তিনি সবসময় তাঁর স্বামীর সঙ্গে চীন সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করেন । তিনি বলেছেন :

    ভারতীরা বিতর্ক পছন্দ করেন । স্পেনীও । আমার স্বামী একজন স্পেনীশ । যেমন চীনের অর্থনীতির উন্নয়ন দ্রুত করতে হবে অথবা আস্তে আস্তে করতে হবে , রেন মিন পির হার আরো বাড়াতে হবে অথবা স্থিতিশীল করতে হবে ? পরিবেশ বেশি গুরুত্বপূর্ণ বা অর্থনীতি বেশি গুরুত্বপূর্ণ ইত্যাদি অনেক কিছু । আমাদের বিতর্ক করার কারণ হল , আমরা উভয়েই চীনকে ভালোবাসি ।

    আইয়ার আরো বলেছেন , ২০০৮ সালে তিনি পেইচিংয়ে থাকবেন । যদিও ক্রীড়া সম্পর্কে তিনি বেশি জানেন না । তবে তিনি অলিম্পিক সম্পর্কিত অন্যান্য রিপোর্টও করবেন । ভারতীয়রাও পেইচিং অলিম্পিক সম্পর্কে জানতে আগ্রহী ।

    আইয়ার বলেছেন , তিনি ও তাঁর স্বামীর জীবনে চীন খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ । যদিও একদিন তাঁরা চীন ত্যাগ করবেন , তবে তাঁরা সবসময় চীনের ওপর দৃষ্টি রাখবেন ।