v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-05-31 16:44:06    
আট রাষ্ট্র গোষ্ঠীর পররাষ্ট্র মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে

cri

     যুক্তরাষ্ট্র , রাশিয়া, জার্মানী, ব্রিটেন, ফ্রান্স , জাপান, ইতালি এবং ক্যানাডাকে নিয়ে গঠিত আট রাষ্ট্র গোষ্ঠীর পররাষ্ট্র মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন ৩০ মে জার্মানীতে অনুষ্ঠিত হয়। এটি ছিল আগামী সপ্তাহে " জি আট" শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তুতিমূলক সম্মেলন।

    জানা গেছে, এবারের সম্মেলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ইরানের পরমাণু সমস্যা। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী রাইস সম্মেলনে আন্তর্জাতিক সমাজকে ইরানের ওপর আরো বেশী কঠোর শাস্তি আরোপের ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এ দৃঢ় অভিমত এবারের অংশগ্রহণকারীদের মতৈক্যে পৌঁছানোর ব্যাপারে সন্দেহজনক হতে পারে। রাশিয়া মনে করে, ইরানের পরমাণু সমস্যার সমাধানে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর উচিত সংলাপ করা। এ ব্যাপারে ইউরোপীয় দেশগুলোর দৃষ্টিভংগী যদিও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মোটামোটি সঙ্গতিপূর্ণ হয়েছে তবুও এ সমস্যার সমাধানে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করা। সুতরাং, এ সমস্যায় সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মতৈক্যে পৌঁছানোর ব্যাপারে একটি জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

    ভবিষ্যত কসভোর সমস্যা হচ্ছে এবারের সম্মেলনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জার্মানীর পররাষ্ট্র মন্ত্রী ফ্রান্ক-ওয়াল্টার স্টেইনমেয়ার বলেছেন, এ সমস্যার ব্যাপারে এ সম্মেলনের আলোচনায় বেশী অগ্রগতী অর্জিত হয়নি। এ ব্যাপারে আট রাষ্ট্র গোষ্টীর পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা সার্বিকভাবে মতৈক্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়নি। তিনি আরো বলেছেন, অনুষ্ঠিতব্য " জি আট" শীর্ষ সম্মেলনে আট রাষ্ট্র গোষ্ঠীর পররাষ্ট্র মন্ত্রীকসভোর সমস্যা নিয়ে অব্যাহতভাবে আলোচনা করার প্রচেষ্টা চালাতে ইচ্ছুক। জানা গেছে, জাতিসংঘের কসভো সমস্যা সংক্রান্ত একজন বিশেষ দূত কসভোর বিষয়টি ই ইউ'র তত্ত্বাবধানে একটি সীমিত সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বীকৃতর মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধান সম্পর্কিত একটি প্রস্তাব দাখিল করেছেন। এ প্রস্তাবকে যুক্তরাষ্ট্র ও ই ইউ স্বাগত জানিয়েছে। তবে সার্বিয়া এবং রাশিয়া এর বিরোধীতা করেছে। সংশ্লিষ্ট একজন বিশ্লেষক বলেছে, অধিকাংশ কসভোর অধিবাসী হচ্ছে আলবেনীয় জাতি। এ জন্য অনুষ্ঠিতব্য " জি আট" শীর্ষ সম্মেলনেও এ সমস্যার সমাধান হয়তো সম্ভব হবে না।তবে এবারের আট রাষ্ট্র গোষ্ঠীর পররাষ্ট্র মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের অধিকতর মতৈক্যে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

    আফগানিস্তান সমস্যাও এবারের সম্মেলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জানা গেছে, এদিন আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী রানগিন দাড্ফা স্পান্তা ও খুর্শিদ কাসুরির সঙ্গে আট রাষ্ট্র গোষ্ঠীর পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। দু'পক্ষ চলমান আফগানিস্তানের পরিস্থিতি, আফগানিস্তান - পাকিস্তানের নিরাপত্তা এবং যুদ্ধোত্তর পুনঃর্গঠনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সমস্যার বিষয়ে আলোচনা করেছে। স্টেইনমেয়ার বৈঠক শেষ হওয়ার পর অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, পাকিস্তান সহযোগিতা না করলে আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতা পুরো শুরু বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। তিনি আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সরকারকে আরো বেশি প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন। যাতে দু'পক্ষ সীমান্ত নিরাপত্তার বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্য বেশি কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে । আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী স্পানতা সংবাদ-মাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন, তালিবানের তত্পরতা পাকিস্তান সরকার বিশেষ করে তাদের গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠান এবং সামরিক পক্ষকে সুনিশ্চিত করেছে। তবে পাকিস্তান সরকার বলেছে, তালিবান গেরিলাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান এখনো তত্পর এবং নির্মূলের উপায় খুজছে। এ থেকে বুঝা যায় যে, তালিবান সমস্যার সমাধানে আট রাষ্ট্র গোষ্ঠীর পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের আলোচনায় ততটা অগ্রগতি অর্জিত হয়নি।

    তাছাড়া, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব ইউরোপে ক্ষেপণাস্ত্র-বিধ্বংসী সংক্রান্ত সমস্যা হচ্ছে এবারের সম্মেলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিয়ষ। ৩০ মে যুক্তরাষ্ট্র পোল্যান্ড ও চেক প্রজাতন্ত্রে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা সিস্টেম স্থাপনের আশা প্রকাশ করেছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী লাভরোভ এর তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ পরিকল্পনা হচ্ছে সমর প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে একটি গুরুতর হুমকি । যুক্তরাষ্ট্র পোল্যান্ড ও চেক প্রজাতন্ত্র ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা সিস্টেম স্থাপন করলে তা কৌশলগত ভারসাম্য ধ্বংস করবে বলে মনে করা হচ্ছে।