v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-05-30 21:21:45    
চীনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত আশফাকুর রহমানের দেয়া সাক্ষাত্কারের দ্বিতীয় অংশ

cri
    প্রঃ কুনমিং ছাড়া আপনি আর কোন কোন শহরে গিয়েছেন ? ভাল লেগেছে কি?

    উঃ চীনে ৬০০টি শহর আছে। এত যায়গায় তো যাওয়া সম্ভব নয়। আমি কয়েকটি প্রাদেশিক শহরে গিয়েছি। আর চীনে একটি জিনিষ খুব ভাল। আতিথেয়তা। যেখানেই গিয়েছি চমত্কার আতিথেয়তা পেয়েছি। আমি উত্তরে হেইলোংচিয়াং, লিয়াওনিং ও ইনার মঙ্গোলিয়া গিয়েছি। অনেক উন্নত। যেমন শাংহাই শহর। এটাকে বলা হয় সিটি অব দ্য ফিউচার। ভবিষ্যতের শহর কেমন হবে সেই আদলেই গড়ে তোলা হয়েছে সাংহাইকে। কুয়াংতুং-এ গিয়েছি। শ্রোতারা শুনে আনন্দিত হবেন, প্রায় ১৪০০ বছর আগে কুয়াংতুংয়ের হাইনানে অনেক মুসলমান এসেছিলেন আরব দেশ থেকে। এ কারণে ওখানে অনেক বড় বড় মসজিদ আছে। শিআন শহরেও বিরাট মসজিদ আছে। চীনে প্রায় ২০ মিলিয়ন মুসলিম আছে। হংকংয়ে গিয়েছি। ওখানে ইংরেজী বেশি। কারণ ওটা কলোনি ছিল। ম্যাকাওতে আবার পর্তুগিজ বেশি। আসলে চীন একটি বৈচিত্রময় দেশ।

    প্রঃ দু'দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় আপনি নানা যায়গায় ঘুরেছেন। অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠানে গিয়েছেন। এসব করতে গিয়ে কোন কাজ কি আপনার মনে গভীর ছাপ ফেলেছে?

    উঃ অনেক স্মৃতি আছে। যেমন আমি প্রথম এসে যখন স্টেট লিডার ও প্রাদেশিক নেতাদের সঙ্গে কথা বললাম, লক্ষ্য করলাম ওরা কত উষ্ণ আমাদের ব্যাপারে। আমি খুব অবাক হয়েছি। এদের অনেকেই বাংলাদেশ দেখেন নি। কিন্তু বাংলাদেশ সম্পর্কে কত উষ্ণ। যেমন প্রাদেশিক ভাইস গভর্ণর প্রথম আমাদের জন্য মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করেন। লান্চে আমরা অনেকগুলো সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমরা কাজ শুরু করে দিলাম।

    আমি উত্সাহিত করবো বাংলাদেশীদের চীন সফরে আসতে। একই সঙ্গে চীনাদেরও বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানাবো। কারণ বাংলাদেশও একটি বৈচিত্রময় দেশ। চীনা বন্ধুদের খুব ভাল লাগবে।

    প্রঃ আপনি কবে চীনে এসেছেন? চীনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগের খবর জানার পর আপনার অনুভূতি কেমন ছিল? চীনে আসার জন্য আপনি কী কী প্রস্তুতিমূলক কাজ করেছিলেন?

    উঃ আমি চীনে এসেছি গত নভেম্বর ২০০৩। এই তিন বছরের উপরে আমি চীনে অবস্থান করছি। চীনে আসার আগে আমি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলাম জার্মানীতে। আমার এই যে ৩৬ বছরের ক্যারিয়ার এর মধ্যে একবারই পূর্ব দেশগুলোতে ছিলাম। আমি সিঙ্গাপুরে চাকরী করেছি রাষ্ট্রদূত হিসেবে। তো আসার আগে আমাকে চীন সম্পর্কে বেশ কিছু পড়তে হয়েছে। প্রথমে আমি চীনের ইতিহাস পড়ি। ইতিহাস পড়ে আমি একটা ভিন্ন জগতে এসে গেলাম এবং আমি খুব ইন্টারেস্ট পেলাম চীন সম্পর্কে। এবং চীনের মানুষ সম্পর্কে এবং চীনের সিভিলাইজেসন সম্পর্কে। এটার ওপরে পড়তে পড়তে চীনের বর্তমান অবস্থা কী জানার জন্য জার্মানীতে চীনের যে রাষ্ট্রদূত ছিলেন ওনার সাথে আমি আলাপ করেছিলাম। উনি আমাকে বেশ সুন্দরভাবে বুঝিয়ে ছিলেন যে তার দেশের অবস্থা কি এবং কোন দিকে চীন অগ্রসর হচ্ছে। এটা জেনে খুবই খুশী হয়েছিলাম আমি।

    প্রঃ কেন?

    উঃ বাংলাদেশ চীনের একটি প্রতিবেশী দেশ। প্রতিবেশী দেশ এবং এত বিশাল এবং এত বড় দেশে আমি রাষ্ট্রদূত হচ্ছি তা আমার কাছে ভাল লেগেছিল।

    প্রঃ চীনে আসার আগে আপনার কি কোন ঘনিষ্ঠ চীনা বন্ধু ছিল?

    উঃ জি আছে, এটা আপনি একটি ভালো প্রশ্ন করেছেন। ৯০ এর দশকে আমি যখন মস্কোতে পোষ্টেড ছিলাম বাংলাদেশ দূতাবাসে। আমার দূতাবাসে আমি নাম্বার ২ কর্মকর্তা ছিলাম। আমাকে মিনিষ্টার বলা হতো। চীনা দূতাবাস মস্কোতে আমার যে কাউন্টারপার্ট ছিলেন। ওনার সাথে আমার খুব বন্ধুত্ব হয়ে যায়। উনি আমার থেকে বয়সে অনেক বড়। কিন্তু ওনার সাথে আশ্চর্য রকম একটা বন্ধুত্ব হয়। যদিও বয়সে বড় আমার , তবে আমরা একত্রে অনেক কাজ করেছিলাম মস্কোতে। আমাদের ডিপ্লোমেটিক কমিউনিটির জন্যে এবং আমরা আসা যাওয়া করতাম নিজেদের ভেতরে। ওনার থেকেও চীন সম্পর্কে আমার আইডিয়া হয়। আমি যখন বেইজিং-এ আসলাম , ওনাকে আমি খুঁজে বের করেছি। উনি এখন কিন্তু রিটায়ার্ড এ্যমব্যাসাডর। পরে উনি আমার চীনের বাসায়ও এসেছেন। বেইজিংয়ে তো আমাদের বন্ধুত্বও হয়েছে গভীর।

    প্রঃ আপনার এই মৈত্রী কম্টিনিউ হয়েছে?

    উঃ জ্বি, আমি কান্টিনিউ করেছি এই জন্যে চীন একটা খুব বড় ও বিশাল দেশ , এর মানুষও অনেক। এই দেশটাকে বুঝতে হলে যত বেশী বন্ধু হবে তত বেশী ভালোভাবে আপনার এই দেশটাকে বুঝতে পারা যাবে। সেই জন্যে যত পেরেছি আমি বন্ধুত্বের ওপর ইনভেষ্টমেস্ট করেছি।