v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-05-30 19:04:53    
এশিয়া ও ইউরোপের নতুন সমান অংশীদারিত্বের সম্পর্ক অব্যাহতভাবে উন্নত হচ্ছে

cri
    অষ্টম এশিয়া ও ইউরোপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলন ২৯ মে জার্মানীর হামবুর্গে শেষ হয়েছে। জনমত মনে করে, এবারের সম্মেলন এশিয়া ও ইউরোপের সহযোগিতা জোরদার করা, অভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করার কথাই প্রকাশিত হয়েছে। এশিয়া ও ইউরোপের নতুন পর্যায়ের সুষম অংশীদারিত্বপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষেত্রেও নতুন অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।

    জার্মানী এবারের সম্মেলনের স্বাগতিক দেশ হিসেবে প্রেসিডেন্টের বিবৃতি প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন সদস্য দেশের সম্মেলনের ব্যবস্থাগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে সংলাপ ও সহযোগিতাকে জোরদার করার ওপর জোর দেয়া হয়েছে। যাতে অভিন্ন সমস্যাগুলোকে মোকাবেলা করা সম্ভব হয়। জার্মানীর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রান্ক ওয়ালটার স্টেইনমেয়ার বলেছেন,

    কিছু সদস্য দেশ বিশ্বব্যাপীকরণ মোকাবেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। অন্য সবসদস্য দেশগুলোরও এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার চিন্তা করা উচিত। বেশির ভাগ সদস্য দেশই বিশ্বব্যাপীকরণের প্রক্রিয়া সত্যিকারভাবে কল্যাণকর হলে ন্যায্য ও যথাযথ আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা উঠবে বলে মনে করে। যদি এশীয় দেশগুলো এই প্রক্রিয়ায় অংশ নেয় নি, এ কারণে সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার ক্ষেত্রে অসুবিধা রয়ে গেছে। সুতরাং এশিয়া ও ইউরোপের সংলাপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

    এশিয়া ও ইউরোপের সম্মেলনের ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই দ্রুত উন্নয়নের প্রবণতা প্রকাশিত হয়েছে। সদস্য দেশগুলোর সংখ্যা ২৬টি থেকে ৪৫টি পর্যন্ত বেড়েছে। বর্তমানে এশিয়া ও ইউরোপের সদস্য দেশগুলোর লোক সংখ্যা বিশ্বের মোট সংখ্যার ৫৮ শতাংশ এবং বিশ্বের বাণিজ্যিক মোট সংখ্যার ৬০ শতাংশ । এশিয়া ও ইউরোপের সম্মেলন দু'মহাদেশের সেতু হিসেবে ধাপে ধাপে বিশ্বের মেরুকরণ ও অর্থনীতির বিশ্বায়নের গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি তা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আরো বেশি বিভিন্ন ভূখি ভূমিকা পালন করবে। অংশগ্রহণকারী চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াং চিয়ে ছি বলেছেন,

    এশিয়া ও ইউরোপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলন বিশ্ব ও বিভিন্ন আঞ্চলিক বিষয়ে সংলাপ ও সমন্বয় করা, এশিয়া ও ইউরোপের রাজনৈতিক সংলাপ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং সমাজ ও সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার ব্যাপারে মত বিনিময়ের জন্য দু'পক্ষ সহযোগিতাকে জোরদার করার কথা প্রকাশ করেছে।

    তিনি বলেছেন, বহুপক্ষবাদ ও যৌথ উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে সম্মেলনের সদস্য দেশগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ তাত্পর্য রয়েছে।

    সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ইরানের পারমাণবিক সমস্যা, ইরাকের সমস্যা, মধ্যপ্রাচ্য ও আফগানিস্তানের পরিস্থিতি, পারমাণবিক অস্ত্রের অবিস্তার এবং আবহাওয়ার পরিবর্তন, জ্বালানি সম্পদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসদমনে সহযোগিতাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়টি গভীর আলোচনা করেছেন এবং মতৈক্যে পৌঁছেছেন।

    ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈদেশিক সম্পর্ক পরিষদের সদস্য মাদাম বেনিটা ফেরেরো ওয়াল্ডনার বলেছেন,

    ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্মেলনের এশীয় সদস্য দেশগুলোকে বিভিন্ন অর্থনৈতিক সাহায্য দেয়া হবে। পরবর্তী চার বছরে সরকারী সাহায্য দেয়া ছাড়া, ই'ইউ এশীয় এলাকার উন্নয়নের জন্য ৭৭.৫ কোটি ইউরোর বিশেষ সাহায্য দেবে। যাতে দু'পক্ষের সংলাপ ত্বরান্বিত করা যায়। যেমন শিক্ষা, পরিবেশ সুরক্ষা করা, জ্বালানি সম্পদ সংশ্লিষ্ট নীতি এবং দু'পক্ষের সংস্কৃতি ও ধর্মীয় ক্ষেত্রের বিনিময়।