v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-05-31 10:29:02    
চীন-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক

cri
**রাজনৈতিক সম্পর্ক

    ১৯৭৫ সালের ৪ অক্টোবর, চীন ও বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে। এর পর, দু'দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক সম্পর্কের সুষ্ঠু উন্নতির লক্ষে গতি-লাভ করে। রাজনীতি, অর্থনীতি, সামরিক ও সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু'পক্ষের মধ্যে ফলপ্রসূ সহযোগিতা হয়েছে। কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সমস্যার ব্যাপারে দু'দেশের ধারণা প্রায় অভিন্ন। আন্তর্জাতিক বিষয়ে দু'দেশ সব সময়ই পরস্পরকে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা করে। দু'দেশের উচ্চ পর্যায়ে নেতৃবৃন্দের সফর বিনিময় ও হচ্ছে ঘন ঘন। এ ছাড়াও, বিভিন্ন ধরনের যোগাযোগ অব্যাহতভাবে বাড়ছে এবং সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্রগুলো অব্যাহতভাবে সম্প্রসারিত হচ্ছে।

**আর্থ-বাণিজ্য সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তি সহযোগিতা

    সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, চীন-বাংলাদেশ আর্থ-বাণিজ্যিক সম্পর্কের বিরাট উন্নতি হয়েছে এবং সহযোগিতার ক্ষেত্র ধাপে ধাপে সম্প্রসারিত হচ্ছে। চীনের শুল্ক বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০৫ সালে চীন-বাংলাদেশ বাণিজ্যের পরিমাণ ২.৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা ২০০৪ সালের চেয়ে ২৬.৪ শতাংশ বেশী। চীন এ পর্যন্ত ২.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি করেছে। যা ২০০৪ সালের চেয়ে ২৬ শতাংশ বেশী। ৮ কোটি মার্কিন ডলার আমদানী করেছে। অনুরূপ সময়ের চেয়ে তা ৩৭.৯ শতাংশ বেশী।

    ১৯৮৩ সালের নভেম্বর মাসে, দু'দেশ অর্থনীত, বাণিজ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে যৌথ কমিটি গঠন করেছে। নীতিগতভাবে পালাক্রমে দু'দেশের রাজধানীতে নিয় সম্মেলন আয়োজিত হয়। এ পর্যন্ত, মোট ১১ বার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ২০০৬ সালের জানুয়ারী মাস থেকে, 'ব্যাংকক চুক্তি'-র কাঠামোয় চীন বাংলাদেশের প্রতি ৮৪ ধরনের পণ্যদ্রব্য শুন্য শুল্ক সুযোগ-সুবিধা দেয়।

    বাংলাদেশ থেকে চীনের আমদানী পণ্যদ্রব্য প্রধাণত রয়েছেঃ চামড়া, সুতা বস্ত্রপণ্য ও মাছ ইত্যাদি উপকরণ পণ্যদ্রব্য। চীনের রপ্তানী পণ্যদ্রব্য প্রধাণত রয়েছেঃ বস্ত্রপণ্য, যন্ত্রপাতি ও বৈদ্যুতিক সামগ্রি, সিমেন্ট, কৃষিসার, টায়ার ও শস্য।

    বাংলাদেশ হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে চীনের বৈদেশিক প্রকল্প চুক্তি সম্পাদনের ঐতিহ্যবাহী বাজার। ২০০৫ সালের শেষ নাগাদ পর্যন্ত, চীন বাংলাদেশের সঙ্গে ৩.৩৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঠিকা প্রকল্প ও শ্রম-শক্তি সংক্রান্ত সহযোগিতামূলক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এবং মোট এ পর্যন্ত ২.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে।

    ২০০৫ সালের শেষ নাগাদ পর্যন্ত, চীনে বাংলাদেশ ২২.৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পুঁজি বিনিয়োগ করেছে।

**বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা

    ১৯৭৮ সালের মার্চ মাসে, চীন ও বাংলাদেশ প্রথমবারের মত 'চীন-বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সহযোগিতা চুক্তি' স্বাক্ষর করে এবং ১৯৯০ সালে পুনরায় চুক্তিটি নবায়ন করে। ২০০৫ সালের এপ্রিল মাসে, দু'দেশ 'চীন-বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণভাবে পরমাণু জ্বালানী সম্পদ চুক্তি'ও স্বাক্ষর করেছে।

    বন্যা প্রতিরোধ ও পানি নিয়ন্ত্রণ ক্ষেত্রে দু'দেশের সহযোগিতায় বেশ অগ্রগতি হয়েছে। দু'দেশের জলসেচ বিভাগের কর্মকর্তা এবং বিশেষজ্ঞগণ পর পর সফর বিনিময় করছে। এ ছাড়া দু'দেশ প্রযুক্তিগত সহযোগিতা চালানো সংক্রান্ত সমঝোতা স্বারকলিপিও স্বাক্ষর করেছে।