v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-05-28 20:20:53    
২১--২৭ মে,২০০৭

cri
১) বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ দলের সোমবার তিন দিন সীমান্তবর্তী বিভিন্ন ছিটমহল ও বিরোধপূর্ণ স্হান পরিদর্শন করার কখা ২০০৬ সালের জুলাই মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় যৌথ সীমান্ত ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা উভয় দেশের নিয়ন্ত্রণে থাকা এসব স্থান পরিদর্শন করবে।

    জানা গেছে ১৯৭৪ সালের ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি অনুযায়ী দহগ্রাম ও আঙ্গরপোতা ছাড়া বিভিন্ন ছিটমহল বিনিময় এবং বিরোধপূর্ণ স্থান থেকে লোকজন সরিয়ে নেওয়া হবে।

    বাংলাদেশে ভারতের ১১১টি ও ভারতে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল রয়েছে।

    সূত্র জানায়, বাস্তবে ছিটমহল বিনিময় সম্ভব নয়। তবে ভারতকে ছিটমহলগুলোতে আদমগুমারি কিংবা জরিপ চালানোর জন্য তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। কারণ ভারতের ছিটমহলগুলোতে অপরাধ ও সমাজবিরোধী কার্যকলাপ ছড়িয়ে পড়েছে। সূত্রমতে,জরিপ কিংবা আদমশুমারির পর উভয় দেশের ছিটমহলগুলোর বাসিন্দরা কোন দেশের নাগরিক হতে চান তা বেছে নেওয়ার জন্য তাদের সুযোগ দেওয়া হবে।

২) সাবেক মাওবাদী বিদ্রোহী ও শিক্ষক ইউনিয়নের ডাকা ধর্মঘটে ২৭ মে প্রায় অচল হয়ে পড়ে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু। পুলিশের বর্বর আচরণের প্রতিবাদে এই ধর্মঘট ডাকা হয়। কর্মকর্তারা একথা জানান।

    নেপাল এডুকেশনাল রিপাবলিক ফোরামের সভাপতি গুনা রাজ লোহানি বলেন, ' শুক্রবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশের বাড়াবাড়ি আচরণের প্রতিবাদে ডাকা ধর্মঘটে কাঠমান্ডু উপত্যকা প্রায় অচল হয়ে পড়ে। লোহানি আরো বলেন, 'পুলিশের হামলায় আহত ৭ শিক্ষককে বিনা খরচে চিকিত্সা দেয়ার জন্য আমরা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছি। সকালে কাঠমান্ডুতে দোকানপাট খুললেও প্রতিবাদকারীদের রাস্তায় হাঁটতে দেখে সব বন্ধ করে দেয়া হয়। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাওবাদী বিদ্রোহীরা টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেয়ায় বিভিন্ন মার্কেট বন্ধ রাখা হয়। ধর্মঘটে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্য দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়। কাঠমান্ডু জেলা পুলিশপ্রধান একথা জানান।

৩) ভুটান গণতন্ত্রের পথে আরেক দফা এগিয়ে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে ২৮ মে দ্বিতীয় দফা ডামি ভোট গ্রহণ করে দেশটির নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে তারা রাজধানী থেকে দূরের গ্রামগুলো থেকে সর্বোচ্চ ভোট গ্রহণ করতে সক্ষম হবে বলে আশা হচ্ছে।

    রাজাশাসিত বুড্ডিস্ট কান্ট্রি ভুটানের বেশির ভাগ লোকই চায়কই চায়না এবং ইনডিয়ান বংশোদ্ভূত। ২০০১ সাল থেকেই গণতন্ত্রের কথা বলে আসছেন দেশটির সাবেক রাজা জিগমে সিঙ্গে ওয়ান চুক। এজন্য তিনি গত বছর ডিসেম্বরে তার অক্রফোর্ড পডুয়া ছেলে জিগমে খেশর নামগেল ওয়ানচুকের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা ছেড়ে দেন এবং তখন থেকেই তার ছেলে কাউন্সিলরদের মাধ্যমে রাজ্য পরিচালনা করে আসছেন। আর এটাই তাদের গণতন্ত্রের পথে প্রথম পদক্ষেপ।

    ২০০৮ সালে দেশটি তাদের প্রথম গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের লক্ষ্যে ভোট গ্রহণ করবে। গত এপ্রিল তারা প্রথমবার গণতান্ত্রিক উপায়ে ডামি ভোট গ্রহণ করে। ৪ লাখ বৈধ ভোটারের মধ্যে তখন মাত্র ৩০ ভাগ লোক নির্বাচনী কেন্দ্রে ভোট দিতে আসে বলে জানান নির্বাচন কমিশন প্রধান ডাসো কুনজাং ওয়াংদি।

    ওয়াংদি বলেন,রিমোট ভিলেজগুলো থেকে গত রাউন্ডে সবচেয়ে কম ভোট কাউন্ট হয়। তিনি বলেন, এবার তারা আশাবাদী এজন্য যে,রিমোট এরিয়াগুলোতে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে। ২৮ মের নির্বাচনে তারা প্রচারণায় ভালো পাবেন বলে তিনি আশা করেন।

৪) ভারতে এক নতুন রেকর্ড গড়লেন জয়পুরের বাসিন্দা হাবিব মিয়া। ২০ মে রোববার তিনি পা দিলেন ১৩৯ বছর। এদিনই তিনি পালন করলেন ১৩৮তম জন্নবার্ষিকী। পৃথিবীর ইতিহাসে এতদিন বেঁচে থাকার এক নতুন নজির সৃষ্টি হলো। ভারতের রাজস্থান রাজ্যের রাজধানী জয়পুর শহরের ছোট্ট এক গলির একটি দীর্ণ কাড়িতে বাস হাবিব মিয়ার। সেখানেই তিনি থাকছেন তাঁর পুত্র-কন্যা আর নাতি-পুতিদের নিয়ে। বিরাট পরিবার। বেশ কয় বছর অভাবের জন্য হাবিব মিয়ার জন্নদিন পালন হয়নি। এবার নাতি-পুতিরা সিদ্ধান্ত নেয়, তারা ঘটা করে হাবিব মিয়ার জন্নদিন পালন করবে।

    ওই দিন আকাশে ওড়ানো হয় ১৩৯টি রঙিন বেলুন। বাড়িটিকে সাজানো হয়। আনা হয় কেক আর মিষ্টি ও মণ্ডা। হাবিব মিয়া কেক কাটলেন। শতকগ্ঠে ভেসে উঠল 'হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ'। অতিথিদের আগমনে বাড়িতে উপচেপড়া ভিড়। উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশ থেকে অতিথি এসেছেন। এলেন রাজস্থানের সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান যশবীর সিংও। কাঁপা হাতে হাবিব মেয়া যখন কেক কাটছেন, তখন বাড়িতে বাইরে বাজি ফুটছে। আর শত হাতে বাজছে তালি।

    সংবাদিকেরা তাঁর দীর্ঘায়ুর রহস্য জানতে চাইলে হাবিব মিয়া ঠাট্ট করে বলেন, 'সবই আল্লাহর দোয়া।' বললেন, 'আমার খাওয়ার কোনো বাছবিচার নেই , সবই ভালোবাসি। তবে খাসির কষা মাংস বেশি পছন্দ করি। কিন্ত্ত এত তেল এই বয়সে খাওয়া তো খারাপ, তাও জানি।' পাঁচ প্রজন্ন দেখা হাবিব মিয়া এখন চোখে দেখতে পান না। তবে তাঁর দাঁত ঠিক আছে। কৃত্রিম দাঁত লাগাতে হয়নি। নেই তাঁর উচ্চরক্তচাপ বা ডায়াবেটিস। এখনো তিনি ভোরবেলা ওঠেন। নামাজ পড়েন। প্রাতরাশ করেন দুই টুকরা পাউরুটি আর এক কাপ চা দিয়ে। দুপুরে খান ভাত, ডাল আর রাতে রুটি ও তরকারি। রোববার এলে বলেন একটু খাসির মাংস আনতে।

    হাবিব মিয়া দুবার পবিত্র হজ পালন করেছেন। এখনো থাকেন জয়রের সেই এঁদো গলির একটি ঘুপচি ঘরে। রাষ্ট্রপতি ড. কালাম ৩০ এপ্রিল যখন জয়পুর আসেন, তখন হাবিব মিয়ার সঙ্গে দেখা হয়।

৫) 'অক্মফোর্ড ডিকশনারি অফ ন্যাশনাল বায়োগ্রাফিজ'-এ নাম উঠলো এবার বাঙালি নারীদের। ইনডিয়ার স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতেম নেত্রী সরলা দেবী চৌধুরানি, শিক্ষাবিদ রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন এবং ভগিনী নিবেদিতার কল্যাণেই এ সম্মানের অধিকারী হয়েছেন বাঙালি নারী। ইনডিয়ার একটি পত্রিকা সম্প্রতি এক রিপোর্টে এ তথ্য জানিয়েছে।

    জীবনীর সবচেয়ে বড় এ অনলাইন ডিকশনারির অষ্টম সংস্করণে পৃথিবীর নানা প্রান্তের ৬০ জন বিশিষ্ট নর-নারীর নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তারা বৃটিশ সাম্রাজ্যের প্রসার ঠেকাতে অথবা কমনওয়লথের প্রথম দিককার গঠনে সাহায্য করেছেন। সেই অভিজাত নাম তালিকায় জ্বলজ্বল করছে এ তিন মহীয়সী ও যশস্বী মহিলার নামও। উচ্চশিক্ষতা সরলা দেবী জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট ছিলেন। গান ও লেখনীর মাধ্যমে তিনি তরুণ সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতীয়কাবোধ সঞ্চার করেন। গড়ে তোলেন দেশের প্রথস মহিলা সংগঠন। অন্যদিকে হিন্দু দর্শন, ধর্মের টানে স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে আয়ারল্যান্ড ছেড়ে ইনডিয়ায় যান মার্গারেট নোবেল। ভগিনী নিবেদিতা হয়ে তিনি বৃটিশ শাসন থেকে দেশকে মুক্ত বরতে ইনডিয়ানদের উদ্বুদ্ধ করে তোলেন। হিন্দু সংস্কৃতি সম্পর্কে নানা বইও লেখেন তিনি। আর বেগম রোকেয়া নারী, বিশেষ করে মুসলিম মেয়েদের মধ্যে শিক্ষার প্রসারে কাজ করেছেন। কলকাতার সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুলের প্রতিষ্ঠাত্রী তিনিই। তিনিই মুসলমান নারীদের শিক্ষার জন্য অন্তংপুর থেকে বাইরের আলোর জগতে নিয়ে এসেছিলেন।

৬) ভারতে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা গত তিন বছরে ৫০ শতাংশ কমে গেছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার(ডব্লিউআইআই) এক প্রাথমিক প্রতিবেদনে ২৪ মে এ কথা বলা হয়। চোরা শিকারিদের হাতে পড়ে এবং অভয়ারণ্য এলাকায় উন্নয়নকাজের জন্য বাঘের সংখ্যা হঠাত্ এত কমে গেছে বলে প্রতিবেধরটিতে উল্লোখ করা হয়।

    প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানান, ২৮টি অভয়ারণ্যের মধ্যে ১৬টিতে এই শুমারি চালানো হয়। এতে ৫০০ বাঘের সন্ধান পাওয়া গেছে। ভারতের চারটি প্রদেশে এই জরিপ চালানো হয়। ২০০২ সালে চালানো বাঘশুমারিতে তিন হাজার ৭০০ বাঘের সন্ধান পাওয়া গেয়েছিল। প্রথমিক অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে বাঘের সংখ্যা ৫০ শতাংশ কমে গেছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তারা জানান। ওই কর্মকর্তা বলেন, 'আমরা ভারতের মধ্যাঞ্চলে বাঘের সংখ্যা ৫০ শতাংশ কমে যাওয়ার আশঙ্ক করছি।'

    তবে বাঘের মোট সংখ্যা ঠিক কত কমেছে তা জানাননি ওই জরিপে কাজ করা অন্যতম বিজ্ঞনী কমর কুরেশি। তিনি বলেন, 'বাঘের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে এসেছে। তবে তা কত কমেছে সেটা আমরা বলতে পারব না। কারণ আগের জরিপ যে পদ্ধতিতে করা হয়েছিল তা গ্রহণযোগ্য নয়।'