v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-05-24 18:46:21    
চীন -মার্কিন দ্বিতীয় কৌশলগত অর্থনৈতিক সংলাপ ফলপ্রসু হয়েছে

cri
    চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় কৌশলগত অর্থনৈতিক সংলাপ ২৩ মে ওয়াশিংটনে শেষ হয়েছে । সংলাপে দুপক্ষ ব্যাংকিং পরিসেবা , জ্বালানী সম্পদ , পরিবেশ রক্ষা ও অর্থনীতির ভারসাম্যমূলক উন্নয়ন নিয়ে মতবিনিময় করেছে এবং অনেক বিষয়ে মতৈক্য পৌঁচেছে।

    সংলাপের সমাপনী অনুষ্ঠানে চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাওয়ের বিশেষ প্রতিনিধি ,উপপ্রধানমন্ত্রী উ ই বলেছেন , দ্বিতীয় কৌশলগত অর্থনৈতিক সংলাপে পরিসেবা শিল্প , জ্বালানী সম্পদ ও পরিবেশ , অর্থনীতির ভারসাম্যমূলক উন্নয়ন ও সৃজনশীল শক্তি বাড়ানোর সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে । উ ই মনে করেন , দু পক্ষ সংলাপে সুফল পেয়েছে । তিনি বলেছেন , সংলাপে দু পক্ষ চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির কৌশলগত ও সার্বিক উন্নয়নের বিষয়ে মতবিনিময় করেছে এবং দু দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সমস্যার বহুলালোচিত সমস্যা আলোচনা করে কিছু বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে ।

    উ ই উল্লেখ করেছেন , জ্বালানী সম্পদ ক্ষেত্রের সহযোগিতা ও পরিবেশ সংরক্ষণ হল বর্তমান সংলাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । এ ক্ষেত্রে দুপক্ষেরই স্বার্থ রয়েছে । এ বিষয়ে দুপক্ষের মতের অনেক মিল আছে । বর্তমান বিশ্বের অনেক দেশই জ্বালানীর নিরাপত্তা ও পরিবেশ রক্ষার বিষয়কে গুরুত্ব দিচ্ছে । কাজেই এ ক্ষেত্রে দুদেশের ফলপ্রসু আলোচনা তাত্পর্যসম্পন্ন ব্যাপার ।

    সৃজনশীল শক্তি বাড়ানো বর্তমান সংলাপের আরেক আলোচ্য বিষয় ছিল । চীন এখন নতুন ধরনের দেশ গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে । এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক অভিজ্ঞতা আছে ,যা চীন শিখতে পারে । বর্তমান সংলাপ দু পক্ষের সহযোগিতার জন্য ভিত্তি প্রস্তর স্থাপিত হয়েছে ।

    উ ই বলেছেন , চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মোট ৩৩জন মন্ত্রী সংলাপে অংশ নিয়েছেন । এতে প্রমাণিত হয়েছে দুটি দেশই কৌশলগত সংলাপ ও দুদেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের বিকাশের উপর যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে ।

    উ ই আরো বলেছেন , চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ব্যাপক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে । দুদেশের বাণিজ্যিক বিরোধ সুষ্ঠুভাবে নিরসন করা উচিত , হুমকি প্রদর্শন ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া উচিত নয় । তিনি বলেছেন , চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিশ্বের অন্যতম সবচেয়ে জটিল অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক । এই ধরনের জটিল সম্পর্কের সুষ্ঠু নিরসন করে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য হুমকি প্রদর্শন ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার পরিবর্তে প্রত্যক্ষ মতবিনিময় ও সংলাপ দরকার ।

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশের বিশেষ প্রতিনিধি , অর্থমন্ত্রী হেনরী পাউলসোন বলেছেন , বর্তমান সংলাপে চীনের প্রতিনিধিরা যে মুক্তমন ও সক্রিয় মনোভাব দেখিয়েছেন , তা' আমাদের মনে গভীর ছাপ ফেলেছে । সংলাপে সুফল পাওয়া গেছে এবং অনেক বিষয়ে একমত হয়েছে । তিনি বলেছেন , ব্যাংকিং পরিসেবা , জ্বালানী ও পরিবেশ আর বেসামরিক বিমান যোগাযোগসহ অনেক বিষয়ে দুপক্ষ ব্যাপকভাবে একমত হয়েছে । যদিও আমাদের আরো অনেক কিছু করার আছে , তবে এ পর্যন্ত আমরা যে সব সুফল পেয়েছি , তা' চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘকালীন কৌশলগত সহযোগিতার পথের গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক হিসেবে দুপক্ষের আস্থা বাড়িয়ে দিয়েছে এবং আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে উত্সাহ দেবে ।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের সুষ্ঠু বিকাশ দুটি দেশের জনগণ তথা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ । যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের উচিত যোগাযোগ বাড়ানো , মতবিরোধ দূর করা এবং দ্বিপক্ষীয়অর্থনৈতিক সম্পর্কের ভারসাম্যমূলক বিকাশ বজায় রাখা ।

সংলাপে দুপক্ষ স্থির করেছে যে তৃতীয় চীন-মার্কিন কৌশলগত অর্থনৈতিক সংলাপ এ বছরের ডিসেম্বর মাসে পেইচিংয়ে অনুষ্ঠিত হবে ।