v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-05-24 18:25:15    
ভারতের পাইরেসি-দমন কাজে বেশী দায়িত্ব রয়েছে

cri

 

    ভারতে, পাইরেসি এখনও একটি গুরুতর সমস্যা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ভারত সরকার ও সমাজের বিভিন্ন মহল মেধা-স্বত্ব সংরক্ষণ এবং পাইরেসি দমন করার জন্য বহুবিধ পদক্ষেপ নিয়েছে এবং অনেক ক্ষেত্রে সাফল্যও অর্জন করেছে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে ভালো কাজ করা একটি দেশের জন্য দীর্ঘ পথ চলতে হবে।

    গত বছর, ভারতে একটি কল্পবিজ্ঞান ছায়াছবি 'কৃশ' মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু ছায়াছবিটি মুক্তির কয়েক দিনের মধ্যেই তার বহু পাইরেটেড নকল কপি বাজারে বিক্রি শুরু হয়। এর ফলে ছায়াছবির দর্শক সংখ্যা কমে যায় এবং ছবিটি তার নির্বাচিত আয় থেকেও বঞ্চিত হয়। ভারতের ছায়াছবি সমিতির অনুমান অনুযায়ী, প্রতি বছর প্রায় ১৭ বিলিয়ন রুপি এই সব নকলবাজদের পকেটে চলে যায়।

    সঙ্গীত ক্ষেত্রে ভারতের পাইরেসি হচ্ছে একটা জঘন্য তম দিক। ভারতের সঙ্গীত শিল্পী সমিতির সচিব সাভিও সৌজা বলেছেন, ভারতের সঙ্গীত ক্ষেত্রের অডিও ভিডিও পণ্যের মোট পরিমাণ ৬ বিলিয়ন থেকে ৭ বিলিয়ন রুপির মধ্যে। বরং নকল অডিও ভিডিওর পরিমাণ প্রায় ৪.৫ বিলিয়ন রুপি। প্রত্যক মাসে উত্পাদিত ও বিক্রি হওয়া ক্যাসেটের মধ্যে তিন ভাগের এক ভাগই হচ্ছে অবৈধ।

    সফটওয়্যার শিল্প হচ্ছে ভারতের সবচে' দ্রুত বৃদ্ধি প্রাপ্ত শিল্প। ভারতের সফটওয়্যার শিল্পের কেন্দ্র ও ভিত্তি হচ্ছে ইইউ ও আমেরিকার দেশগুলোর জন্য সফটওয়্যার প্যাকিং করা। বিদেশী ব্যবসায়ীদের জন্য গোপন ও মেধা-স্বত্ব সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে ভারত ভালো কাজ করেছে। কিন্তু ভারতের নিজের সফটওয়্যার বাজারে পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যাপক অংশ দখল করে রেখেছে। ভারতের জাতীয় সফটওয়্যার কোম্পানি সমিতির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০৫ সালে ভারতের পাইরেটেড সফটওয়্যারের হার ৭২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সাধারণ মানুষ সাধারণত সংযোজিত কম্পিউটার কিনে থাকে এ সব কম্পিউটারের অধিকাংশ সফটওয়্যারই হচ্ছে পাইরেটেড। অধিকাংশ লোক মনে করে, সফটওয়্যার হচ্ছে সাধারণ পণ্যদ্রব্য। তারা অন্য মানুষের মেধা-স্বত্ব লঙ্ঘন চেতনায় অনুভব করে না। পাইরেটেড সফটওয়্যার পুরো শিল্পের জন্য অশনি সংকেত হয়ে দাঁড়িয়েছে। তা গুরুতরভাবে সফটওয়্যার উন্নয়নকারীদের প্রবল আগ্রহে বাধার সৃষ্টি করছে এবং সফটওয়্যার কোম্পানির নতুন পণ্যদ্রব্য উন্নয়নের সমর্থ্যের ওপর প্রভাব বিস্তার করেছে।

    ভারতের মেধা-স্বত্ব সংরক্ষণ সংক্রান্ত আইন ব্যবস্থা তুলনামূলকভাবে চমত্কার। শাস্তির ব্যবস্থাও খুব কঠোর। পরিস্থিতির উন্নয়ন অনুযায়ী ভারত সরকার সংশ্লিষ্ট আইনটিকে সুবিন্যস্ত ও সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। ভারতের সংশ্লিষ্ট শিল্প সমিতি স্বতঃস্ফুর্তভাবে নিজেদের শিল্পের স্বার্থ সংরক্ষণ করে পাইরেসির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছে।

    কিন্তু ভারতের সাধারণ মানুষের মধ্যে সক্রিয়ভাবে পাইরেটেড পণ্যদ্রব্য সম্পর্কে সচেতনতা খুব কম। সংশ্লিষ্ট মামলাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া আইনী ব্যবস্থা এখনো ধীরলয়ে চলছে। কঠোরভাবে আইন প্রয়োগের প্রক্রিয়ায় পুলিশের সামর্থ্য খুবই সীমিত। ফলে ভারতের পাইরেসির মৌলিক পরিবর্তন হয়নি। পাইরেসি সমস্যা ভালোভাবে সমাধানের লক্ষে ভারতকে দীর্ঘকাল ধরে কঠিন প্রয়াস চালাতে হবে।