v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-05-23 13:33:43    
পেইচিং অলিম্পিক গেমস সম্পর্কে এক পোল্যান্ড পরিবারের গল্প

cri

    বিশ্বের দশ হাজার পাঁচ শো জন শ্রেষ্ঠ খেলোয়াডের জন্য পেইচিং অলিম্পিক গেমসের গুরুত্ব হয়তো পদক পাওয়া । ১.৩ কোটি পেইচিং নাগরিকদের জন্য পেইচিং অলিম্পিক গেমসের গুরুত্ব হল এতে অংশ নেয়া এবং এমন অভিজ্ঞতা অর্জন করা । তবে আপনি এভাবে ভাববেন না যে শুধু পেইচিংয়ের সাধারণ নাগরিকরাই পেইচিং অলিম্পিক গেমসের ওপর দৃষ্টি রাখছে । পেইচিংয়ে থাকা অনেক বিদেশি বন্ধু এর ওপর খুবই আগ্রহী ।

    পোল্যান্ড থেকে চীনে আসা জানুজ তাতেরা ও তাঁর পরিবারের সবাই পেইচিংয়ে থাকেন । গত ৯ এপ্রিল পেইচিং অলিম্পিক গেমস কমিশন সারা বিশ্বে অলিম্পিক গেমস পরিবার সংগ্রহের আবেদন জানিয়েছে । নাম তালিকা ভুক্ত করা সব পরিবারের মধ্যে দশটি পরিবার নির্বাচিত হবে । পেইচিং অলিম্পিক গেমস উল্ট গোণনার এক বছর বার্ষিকী উপলক্ষে এ দশটি পরিবারকে পেইচিংয়ে ভ্রমণ করার আমন্ত্রণ জানানো হবে । ৯ এপ্রিল তাতেরার পরিবার এ অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পর সর্বপ্রথম তালিকা ভুক্ত করা পরিবার হয়েছে ।

    তাতেরা সংবাদদাতাকে বলেন , তার পেইচিং অলিম্পিক গেমসের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক আছে । তাঁর নিজের কথা হল : তিনি পেইচিংয়ের অলিম্পিক গেমস আয়োজনের যোগ্যতা পাওয়ার পর পেইচিংকে অভিনন্দন জানানো প্রথম মানুষ ।

    আসলে তাতেরা ৯ বছর পোল্যান্ডের অলিম্পিক গেমস কমিশনের মহাসচিব ছিলেন । ২০০১ সালের জুলাই মাসে পোল্যান্ডের অলিম্পিক গেমস কমিশনের মহাসচিব হিসেবে তিনি পোল্যান্ডের অন্যান্য কর্মকর্তার সঙ্গে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক গেমস কমিশনের মস্কো সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন । সে সম্মেলনে ২০০৮ সালের অলিম্পিক গেমস আয়োজনকারী দেশ ঠিক করা হয় । তাতেরা বলেছেন , ২০০১ সালের ১৩ জুলাই সন্ধ্যায় তিনি কয়েকজন চীনাদের সঙ্গে বসে থাকেন , তাঁরা চীনের প্রতিনিধি দলের সদস্য । তিনি বলেছেন

    তখন আমি জানি না যে পেইচিং জয়ী হবে । আমি শুধু জানি পেইচিংয়ের চূড়ান্ত ব্যাখ্যা তাঁর মনে গভীর ছাপ ফেলেছে । আমি মনে করি , ২০০৮ সালের অলিম্পিক গেমস আয়োজনের অধিকার পেতে পেইচিং খুব আশাবাদী । যখন সামারান্চি পেইচিংয়ের জয়ী হওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন , তখন আমি পেইচিং এবং চীনাদেরকে অভিনন্দন জানিয়েছি ।

    দীর্ঘকাল ধরে ক্রীড়া ক্ষেত্রে কাজ করেন এবং পেইচিং অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হবে বলে তাতেরাকে পেইচিংয়ে পাঠানো হয়েছে । অলিম্পিক পরিবারের সংগ্রহ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার কারণ সম্পর্কে তাতেরা বলেছেন , পেইচিং অলিম্পিক গেমসের বিরাট আকর্ষণীয়তা রয়েছে । আরো বেশি লোক চীনে আসতে চান । তাঁরাও পেইচিং অলিম্পিক গেমসে অংশ নিতে চান ।

    তাতেরার পরিবার ৬ বার অলিম্পিক গেমসে অংশ নিয়েছিল । তার পরিবারকে অলিম্পিক পরিবার বলা যায় । ১৯৯৬ সালের আটলান্টা অলিম্পিক গেমস তাঁর পরিবারের সবার মনে গভীর ছাপ ফেলেছে , তাতেরার স্ত্রী বলেছেন :

    প্রত্যেকটি অলিম্পিক গেমসই আলাদা । আটলান্টা অলিম্পিক গেমস আমার মনে সবচেয়ে গভীর ছাপ ফেলেছে । কারণ তখন এ প্রথমবার অলিম্পিক গেমসে অংশ নেই । আমাদের মেয়ের বয়স তখন মাত্র ১১ বছর । সে পোল্যান্ড প্রতিনিধি দলের জন্য অনেক কাজ করেছে ।

    ছোটবেলায় অলিম্পিক গেমসের অভিজ্ঞতা তাতেরার মেয়ে বেয়াতার ওপর খুব ভালো প্রভাব ফেলেছে । ২২ বছর বয়সী বেয়াতা এখন পেইচিং ভাষা ও সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছে । সে খুব ভালো চীনা ভাষা বলতে পারে । সে এখন পেইচিং অলিম্পিক গেমসের স্বেচ্ছাসেবী হওয়ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে । বেয়াতা বলেছেন : আমার অনেক বন্ধু আমাকে জিজ্ঞেস করে পেইচিং কেমন একটি শহর ? তারা সবাই পেইচিংয়ে আসতে চায় । অলিম্পিক গেমসের সময় আমি সারা বিশ্বের বন্ধুদের সাহায্য করতে চাই ।

    তাতেরার স্ত্রী বলেন , তার পরিবারের অলিম্পিক গেমসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে । এখন পেইচিংয়ে সবাই ভিন্ন পদ্ধতিতে পেইচিং অলিম্পিক গেমসের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে । অলিম্পিক গেমস ঠিক যেন আমাদের হৃদয়ের কাছের ।