v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-05-23 11:13:12    
চীনে বিদায়ী বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আশফাকুর রহমানের দেয়া সাক্ষাত্কারের প্রথম অংশ(ছবি)

cri

    প্রঃ রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালনকালে আপনার উদ্যোগে চীন-বাংলাদেশের মধ্যে কূটনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বাণিজ্যসহ নানা ক্ষেত্রে কী কী উন্নয়ন হয়েছে এবং এর মধ্যে কোন বিষয়টির ব্যাপারে আপনি সবচেয়ে সন্তুষ্ট?

    উঃ চীন এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর এবং ভাল। আপনি জানেন যে, বাংলাদেশ বরাবরই এক চীন নীতিতে বিশ্বাস করে। বাংলাদেশ তাইওয়ানকে চীনের একটি প্রদেশ মনে করে। এবং আশা করে তাইওয়ান শীঘ্রই চীনের সঙ্গে মিশে যাবে। দ্বিতীয়তঃ তিব্বত, মানবাধিকার ইত্যাদি বিষয়ে বাংলাদেশ সবসময় চীনের অবস্থান সমর্থন করে। আন্তর্জাতিক ফোরামেও, যেমন জাতিসংঘে চীনের অবস্থানে সমর্থন জানায়। চীনও আমাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে। কোন বিষয়ে সহযোগিতা চাইলে ইতিবাচক সাড়া দেয়। আমাদের রাজনৈতিক সম্পর্কও চমত্কার। অর্থনৈতিক সম্পর্ক গত তিন বছরে অত্যন্ত মধুর হয়েছে। আমি আপনাকে একটা পরিসংখ্যান দিই।

    তিন বছর আগে আমরা যখন আসলাম তখন বাংলাদেশ থেকে চীনে রফতানি মাত্র ২০ মিলিয়ন ডলার ছিল। এ বছর এটা ১০০ মিলিয়ন হয়ে যাবে। একইভাবে আমরা যখন আসি তখন চীন থেকে বাংলাদেশে রফতানি ছিল ১ বিলিয়ন ডলার। গত বছর হয়েছে ৩ বিলিয়ন ডলার। এটা দেখুন কত বেড়েছে। তারপরও আমি সন্তুষ্ট নই। কারণ চীন অনেক বেশি রফতানি করে। তবে চীন আমাদের দেশ থেকে ৮৪টি পণ্য আমদানি শুল্কমুক্ত ঘোষণা করেছে। এতে অনেক বাংলাদেশী পণ্যের রফতানি বেড়েছে। তা ছাড়া আমরাও অনেক বাণিজ্য মেলায় অংশ নিয়েছি। আমাদের পণ্য নিয়ে আসছি। এতে খুব উপকার হয়। চীনে যে কোন জিনিষ বিক্রি করা খুব শক্ত। কারণ চীনই সব জিনিষ কম দামে দেয়। যেমন কাপড়, নীটওয়্যার। আমরা দু'বছর আগে এগুলো বিক্রি করতে শুরু করি। তবে পূর্ব চায়নায় না, পশ্চিম চায়নায়। কারণ সেখানে আমাদের পণ্য প্রতিযোগিতায় টিকে  থাকতে পারছে। চীন বিশাল দেশ, শুধু একদিকে দৃষ্টি দিলে হবে না। এখন আমরা ওষুধ, কাকড়া বিক্রির চেষ্টা করছি। এগুলো করে দু'দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করছি।

    প্রঃ এই বাজার ডেভলাপ করার জন্য আপনি অবশ্যই গবেষণা করেছেন।

    উঃ ঠিক গবেষণা না। আমি নিজে ঘুরেছি। অনেক শহরে গিয়েছি। বিভিন্ন পণ্যের দাম নিজে দেখেছি। আমি পশ্চিম চায়নায় দেখেছি, জার্মানীর তৈরী ওষুধ বিক্রি করছে। আমি জার্মানীতে নিজে রাষ্ট্রদূত ছিলাম। দেখেছি ওখানে ওষুধের দাম অনেক বেশি। ভাবলাম কেন চীনারা এত দামী ওষুধ কিনবেন। বাংলাদেশেও একই মানের ওষুধ জার্মান মেশিনেই তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশ এত কাছে। কেন আমরা বিক্রি করতে পারব না। তখন আমি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করেছি। আসলে অনেক ব্যাপার আছে।

    প্রঃ চীনে থাকাকালীন কোন কাজ আপনার মনে সবচেয়ে গভীর ছাপ ফেলেছে ?

    উঃ আমার কার্যকালে কুনমিং-ঢাকা সরাসরি ফ্লাইট চালু হয়েছে । দু'ঘন্টা মাত্র। আগে আমরা হংকং হয়ে আসতাম। অনেক  টাকা  লাগত। আমাদের এখন খুব সুবিধা হয়েছে। ব্যবসা, বাণিজ্য, ট্যুরিজম সব ক্ষেত্রে।

    প্রঃ কুনমিং-চট্টগ্রাম মৈত্রী শহর হয়েছে। এটা কি আপনার প্রচেষ্টায়?

    উঃ আমার প্রচেষ্টায় কিভাবে বলব। আমরা একটি বন্ধু শহরের কথা চিন্তা করছিলাম। যাতে পূর্ব চায়নার ব্যবসা বাণিজ্য বাড়ানো যায়। সেক্ষেত্রে আমরা কুনমিংয়ের সঙ্গে চট্টগ্রামকে মৈত্রী শহর হিসেবে বেছে নিই। আমরা প্রস্তাব দিলে চীনের কেন্দ্রীয় নেতারা সঙ্গে সঙ্গে তা অনুমোদন করেন এবং প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাওয়ের সফরের সময় এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এখন চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষ খুব সহজে কুনমিং আসতে পারেন। তারা স্টোন ফরেস্টসহ অনেক কিছু খুব সহজে দেখতে পারেন। খরচও খুব বেশি নয়। আপনি শুনে অবাক হবেন। বাংলাদেশের অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আছে। সেখানে ভাল কাজ করলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কুনমিংয়ে রিক্রিয়েশন ট্রিপে পাঠান। ফ্যামিলি নিয়ে তারা বেড়াতে আসেন। আমি একবার দেখি ১০০ জন বাংলাদেশি বসেছেন পরিবার নিয়ে। তেমনি চাইনিজরাও চট্টগ্রাম যাচ্ছে। সমুদ্র দেখতে যায়। কম পয়েসায় বিদেশ চলে যায়। এই বিনিময় খুব দরকার। ব্যবসা অনেক বেড়ে যাচ্ছে।