বসন্তকালে অনেক সুন্দর সুন্দর ফুল ফুটে এবং তার সৌরভও ছড়িয়ে যায় চার দিকে । এর পাশাপাশি ফুলের পরাগরেণু বেশি ছড়িয়ে থাকার কারণে এলার্জি-জাত লোকজনের এ ধরনের বাতাসে নিশ্বাস নেয়ার ফলে সহজভাবেই তাদের চামড়ায় এলার্জি দেখা দেয় । আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদের জন্য এলার্জিপ্রবণতা প্রতিরোধক কয়েক ধরনের খাবারের কথা বলবো ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন ,প্রতিদিনই যদি এক চামুচ মধু এক কাপ বিশুদ্ধ পানিতে মিশিয়ে খাওয়া যায় তাহলে শরীরের সর্দি, কাঁশি, চামড়ার এলার্জিপ্রবণতা এবং চোখের শুষ্কতাসহ ঋতু পরিবর্তনের কারণে আক্রান্ত হওয়া বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে । কেন মধু খাওয়ার পর এসব রোগ প্রতিরোধ হচ্ছে? কারণ মধুর মধ্যে মাইক্রো পরিমাণ মৌমাছির বিষ রয়েছে । তা মানুষের কাঁশিসহ বিভিন্ন ধরনের এলার্জি- জাত রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম। তা ছাড়া, মধুর মধ্যে কিছু পরিমাণ ফুলের পরাগরেণুও রয়েছে, তাই সবসময় মধু খেলে ফুলের পরাগরেণু সহজেই শরীর গ্রহণ করতে পারে । ফুলের পরাগের এলার্জিপ্রবণতা প্রতিরোধ করার যথেষ্ট ক্ষমতা রয়েছে ।
লজেন্স: জাপানী বিশেষজ্ঞরা গবেষণার মাধ্যমে দেখতে পেয়েছেন যে ,লজেন্সের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ এলার্জিপ্রবণ প্রতিরোধক উপাদান রয়েছে । সব এলর্জি জাত লোকগণ সবসময় লজেন্স খেলে শরীরের জন্য তা অনেক সহায়ক হবে। বন্ধুরা , খাওয়ার পদ্ধতিগুলো হল:
১.প্রতিবার ১০টি লজেন্স বিশুদ্ধ পানিতে ফুটিয়ে নিয়ে প্রতিদিন তিন বার করে খাওয়া ।
২. প্রতিদিন তিন বার সরাসরি ১০ গ্রামের লজেন্স খাওয়া ।
৩. ১০টি লজেন্স এবং ১০০ গ্রাম যব পানির সঙ্গে ফুটিয়ে নিয়ে প্রতিদিন ২ বা ৩ বার খাওয়া ।
উল্লেখ্য যে , আপনাদের শরীরের এলার্জিপ্রবণতা কমে যাবার পর এসব খাওয়া বন্ধ করে দেয়া ভালো এবং পানির সঙ্গে লজেন্স ফুটানোর সময় কোনো চিনি তাতে মেশাবেন না ।
সোনালী মাশরুম : সবসময় সোনালী মাশরুম খেলে তা শরীরের রাসায়নিক রূপান্তরের সময় সৃষ্টি হওয়া বিষাক্ত উপাদানগুলো নির্মূল করতে পারে এবং কার্যকরভাবে শরীরের শক্তি বাড়াতে পারে । সোনালী মাশরুমের মধ্যে এক ধরনের প্রোটিন রয়েছে ,তা রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থার সামর্থ্যকে জোরদার করতে সক্ষম ।
গাজর : জাপানী বিশেষজ্ঞরা সম্প্রতি জানিয়েছেন যে ,গাজরের মধ্যে পেইটা গাজর উপাদান কার্যকরভাবে পরাগ এলার্জি -জাত রোগ এবং চামড়ার এলার্জিপ্রবণতা প্রতিরোধ করতে পারের । জানা গেছে, পরীক্ষার মাধ্যমে তারা প্রমাণ করেছেন যে, পেইটা গাজর উপাদান শরীরের সেলগুলোর স্বাভাবিক সামর্থ্যের সমন্বয় ও ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে ।
|