v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-05-21 18:34:08    
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক সম্পর্ক দু দেশের স্বার্থের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ

cri
    চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অর্থনৈতিক সংলাপ ২২ ও ২৩ মে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে । চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্বন্ধে প্রায়ই যুক্তরাষ্ট্রের অসন্তোষের কথা শোনা যায় । যেমন , দুদেশের বাণিজ্যে বিপুল পরিমানের উদ্বৃত্ত রয়েছে , বাণিজ্যিক উদ্বৃত্ত যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ন্যায়সংগত নয় । চীনের তৈরী পন্যদ্রব্য মার্কিন নাগরিকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ কমিয়ে দিয়েছে ইত্যাদি । বাস্তব ঘটনা কি এ সব অভিযোগের সঙ্গে মিলে ? চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যের মূল সমস্যা কি ? চীনের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ইনস্টিটিউটের উপপ্রধান প্রফেসার চিং ছান রোন সি-আর- আইয়ের সংবাদদাতাকে দেয়া একটি সাক্ষাত্কারে চীন-মার্কিন বাণিজ্য সম্পর্কে নিজের মত প্রকাশ করেছেন ।

     এ বছর থেকে চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সম্পর্ক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের একটি প্রধান সমস্যায় পরিণত হয়েছে । প্রফেসর চিং ছান রোন বলেছেন , অর্থনীতিবিদ্যার দিক থেকে বলতে গেলে দুদেশের বাণিজ্যে কোনো বড় সমস্যা নেই  । অর্থনীতিবিদরা মনে করেন চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য স্বাভাবিকভাবে চলছে । এটা দুপক্ষের জন্যই উপকারী । দুদেশের মধ্যে কিছু বাণিজ্যিক বিরোধ আছে , তবে তা' স্বাভাবিক ও সহজেই নিয়ন্ত্রন করা যায় । তিনি বলেছেন , চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কিছু বানিজ্যিক বিরোধ রয়েছে সত্য , কিন্তু ঠিক এই সব বাণিজ্যিক বিরোধই প্রমাণ করেছে যে দুদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ভালো । দুদেশের মধ্যে ব্যাপক বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে । আমি মনে করি বাণিজ্যিক বিরোধ দুদেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক প্রসারের ফল । ১৯৯০ সালে দুদেশের বাণিজ্যের পরিমান ছিল মাত্র ১১.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার , বর্তমানে দুদেশের বাণিজ্যের পরিমান দাড়িয়েছে ২৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে । মার্কিন পক্ষের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দুদেশের বাণিজ্যের পরিমান তিন শ' বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে । ১৯৯০ সাল থেকে দুদেশের বাণিজ্য প্রতি বছর ১৭ থেকে ১৮ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে । এটা বিশ্বের গড়পড়তা বৃদ্ধিহারের তিন গুন বেশী। এতে প্রমাণিত হয়েছে , বাণিজ্য ক্ষেত্রে দুটি দেশের পারস্পরিক নির্ভরশীলতা বেশি ।

     বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র চীনের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশদার । ক্যানাডা ও মেক্সিকোর পর চীন যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশদার । বিশেষ করে ২০০০সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত চীনে যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানির পরিমান ১৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে , বিশ্বের অন্যান্য দেশে যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি মাত্র ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ।

    চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক পরিস্থিতি ভালো । তবুও যুক্তরাষ্ট্রের কিছু লোক মনে করেন তাদের ক্ষতি হয়েছে । তিনি বলেন , যুক্তরাষ্ট্র এখন চীন থেকে আমদানি করা পন্য অর্থাত্ নাগরিকদের জীবনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত মাঝারী ও নিম্ন মানের পন্য উত্পাদন করে না । যদি জোর করে মার্কিন বাজার থেকে চীনের পন্যগুলো তুলে নেয় , তাহলে মার্কিন শ্রমিকদের খুব ক্ষতি হবে । কারণ যুক্তরাষ্ট্রে এসব পন্যের উত্পাদন ইতিমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে । যুক্তরাষ্ট্র উচ্চমানের পন্য ও জ্বালানী সম্পদের বাজার দখল করেছে , মাঝারী ও নিম্ন মানের পন্যের বাজার যুক্তরাষ্ট্র পরিত্যাগ করেছে । চীন যুক্তরাষ্ট্রেএই ধরনের পন্য সরবরাহ করছে । চীনা পন্যের কম দাম ও ভালো গুনগতমানের জন্য বিশ্বে সুনাম পেয়েছে । যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা চীনের পন্য ব্যবহার করে সুবিধা পান । বিশ্বব্যাংকের একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে , চীনের রপ্তানি পন্য ব্যবহারের জন্য প্রতি বছর প্রত্যেক মার্কিন নাগরিকের এক হাজার মার্কিন ডলার বেঁচে যায় ।

    তিনি জোর দিয়ে বলেছেন , চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাজারের প্রতিদ্বন্দ্বিতার ফল , কোনো নেতার নির্দেশ বা সিদ্ধান্ত নয়। । দু দেশের ব্যবসায়ীরা নিজের স্বার্থ বিবেচনা করে বাণিজ্য করছেন । এতে প্রমাণিত হয়েছে দুদেশের বাণিজ্য দুপক্ষের স্বার্থের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ ।

    কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কিছু লোক একাধিক বার বলেছেন যে চীনের বিরুদ্ধে বাণিজ্যিক শাস্তি দেবে এবং আমদানি পন্যের উপর কোটা ব্যবস্থা নেবে । তার কারণ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রেরকিছু লোক বাণিজ্য সমস্যাকে রাজনীতিকরণের চেষ্টা করছেন এবং চীনের বাজার অর্থনীতির অবস্থান স্বীকার করতে চাচ্ছেন না ।